কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে, যা পরে হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে দুজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, মেসেঞ্জার গ্রুপে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর ব্যাচ মেটদের। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গালিব ও তাঁর বন্ধু আবদুল্লাহ আল কাউসারকে মারধর করেন। পরবর্তীতে গালিব ১৩ তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে নিয়ে যান ৷ এ সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে বঙ্গবন্ধু হল ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হাজির হন, যা পরবর্তী কালে বড় আকার ধারণ করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টিকে মীমাংসা করতে পার্টি অফিসে যান। পরে সেখানে দুই হলের নেতারা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন, যা থেকে হলগুলোতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা, রড, গাছের ডাল ও পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ভেঙে হল থেকে বেরিয়ে আসেন। ওই সময় হল নেতারা তাঁদের থামিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
মারধরের শিকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল কাউসার (আপন) বলেন, ‘আমরা গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় রসায়ন বিভাগের ১৪ ব্যাচের ও দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলভী ও আইসিটি ১৪ তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী আমাদের সামনে আসেন। এ সময় আলভী আমাকে বলেন ‘তুই নাকি ডিপার্টমেন্টে পাকনামি করিস?’ এ কথা বলে আমাকে দুটি থাপ্পড় দেন। এ সময় গালিব এর প্রতিবাদ জানালে আলভী ও তাঁর সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা মুজাহিদসহ আমাদের মারধর করেন।’
যে ছাত্রীকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে তিনি বলেন, ‘মেসেঞ্জার গ্রুপের কথা-কাটাকাটির সূত্র ধরে যে মারামারির কথা বলা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে আমার ও আমার স্বামীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যাঁরা এসব বলছেন আমি তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেব।’
অভিযুক্ত আলভী ভূঁইয়া বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়ার সামনে কাউসারের সঙ্গে আমার ধাক্কা লাগে। তারপর তাঁর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে তিনি আমার শার্টের কলার চেপে ধরেন। তারপর আমরা দুজন তাঁকে থাপ্পড় দিই। পরে বঙ্গবন্ধু হলের সেলিমসহ কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।’ আলভীও মেসেঞ্জার গ্রুপের কথোপকথনের সূত্র ধরে মারামারির ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘কি কারণে মারামারির ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। উত্তেজনা কমলে ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার করে মিটমাট করা হবে।’ সম্প্রতি হলকেন্দ্রিক এ ধরনের কয়েকটি ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘হলগুলোর দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা হলের সবকিছু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হল ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে।’
সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। উভয় পক্ষকে শান্ত করে হলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবে। কারও দোষ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে, যা পরে হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে দুজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, মেসেঞ্জার গ্রুপে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর ব্যাচ মেটদের। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গালিব ও তাঁর বন্ধু আবদুল্লাহ আল কাউসারকে মারধর করেন। পরবর্তীতে গালিব ১৩ তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে নিয়ে যান ৷ এ সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে বঙ্গবন্ধু হল ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হাজির হন, যা পরবর্তী কালে বড় আকার ধারণ করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টিকে মীমাংসা করতে পার্টি অফিসে যান। পরে সেখানে দুই হলের নেতারা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন, যা থেকে হলগুলোতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা, রড, গাছের ডাল ও পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ভেঙে হল থেকে বেরিয়ে আসেন। ওই সময় হল নেতারা তাঁদের থামিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
মারধরের শিকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল কাউসার (আপন) বলেন, ‘আমরা গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় রসায়ন বিভাগের ১৪ ব্যাচের ও দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলভী ও আইসিটি ১৪ তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী আমাদের সামনে আসেন। এ সময় আলভী আমাকে বলেন ‘তুই নাকি ডিপার্টমেন্টে পাকনামি করিস?’ এ কথা বলে আমাকে দুটি থাপ্পড় দেন। এ সময় গালিব এর প্রতিবাদ জানালে আলভী ও তাঁর সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা মুজাহিদসহ আমাদের মারধর করেন।’
যে ছাত্রীকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে তিনি বলেন, ‘মেসেঞ্জার গ্রুপের কথা-কাটাকাটির সূত্র ধরে যে মারামারির কথা বলা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে আমার ও আমার স্বামীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যাঁরা এসব বলছেন আমি তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেব।’
অভিযুক্ত আলভী ভূঁইয়া বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়ার সামনে কাউসারের সঙ্গে আমার ধাক্কা লাগে। তারপর তাঁর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে তিনি আমার শার্টের কলার চেপে ধরেন। তারপর আমরা দুজন তাঁকে থাপ্পড় দিই। পরে বঙ্গবন্ধু হলের সেলিমসহ কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।’ আলভীও মেসেঞ্জার গ্রুপের কথোপকথনের সূত্র ধরে মারামারির ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘কি কারণে মারামারির ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। উত্তেজনা কমলে ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার করে মিটমাট করা হবে।’ সম্প্রতি হলকেন্দ্রিক এ ধরনের কয়েকটি ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘হলগুলোর দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা হলের সবকিছু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হল ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে।’
সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। উভয় পক্ষকে শান্ত করে হলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবে। কারও দোষ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে