জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের একমাত্র রেলওয়ে সেতু কারখানায় আট বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইয়ার্ডজুড়ে খোলা জায়গায় রয়েছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও লোহার মালপত্র। ব্যবহার আর যত্নের অভাবে ইতিমধ্যে অনেক যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
কারখানাটি পুনরায় চালু করার দাবিতে রেলওয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। রেলওয়ে ট্রেড ইউনিয়নের ব্যানারে কয়েক দিনের মধ্যে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে।
সৈয়দপুরে ১৮৬৫ সালে ১৮ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয় রেলওয়ে সেতু কারখানা। এখানে ছিল তিনটি উপকারখানা। যেগুলোতে রেলওয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি হতো। একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ পৃথক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই কারখানায় নব্বই দশক পর্যন্ত সহস্রাধিক কর্মী কাজ করতেন।
তৎকালীন সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে ১৯৯২ সালে অনেক কর্মী অবসরে চলে যান। পরে কারখানায় মঞ্জুরীকৃত পদ দাঁড়ায় ১২৭টি। তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন কর্মচারী বর্তমানে বহাল আছেন। তবে ২০১৫ সালেই কারখানার উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আনসার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য এখন কারখানাটিতে পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকা ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ। রয়েছে আবর্জনার স্তূপও। মাটিতে পড়ে রয়েছে বিকল স্টিম ক্রেনসহ নানা যন্ত্রপাতি ও লোহার তৈরি সামগ্রী। দেখভালের অভাবে এগুলো মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে খোয়াও যাচ্ছে অনেক মালপত্র। এসব যন্ত্রাংশ ও মালপত্রের বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগ সৈয়দপুর কারখানার সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন বলেন, রেলওয়ে সেতু কারখানাটি বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকার মেশিনপত্র ও মালপত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ সামান্য আধুনিকায়ন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিলে এটি পুনরায় সচল করা সম্ভব হবে। তিনি অবিলম্বে কারখানাটি চালুর দাবি জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রেলওয়ে উন্নয়নে বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়েছে। তাই রেলপথের বিভিন্ন স্থানে সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সৈয়দপুরের সেতু কারখানাটির প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি স্থাপন করে কারখানাটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের একমাত্র রেলওয়ে সেতু কারখানায় আট বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইয়ার্ডজুড়ে খোলা জায়গায় রয়েছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও লোহার মালপত্র। ব্যবহার আর যত্নের অভাবে ইতিমধ্যে অনেক যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
কারখানাটি পুনরায় চালু করার দাবিতে রেলওয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। রেলওয়ে ট্রেড ইউনিয়নের ব্যানারে কয়েক দিনের মধ্যে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে।
সৈয়দপুরে ১৮৬৫ সালে ১৮ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয় রেলওয়ে সেতু কারখানা। এখানে ছিল তিনটি উপকারখানা। যেগুলোতে রেলওয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি হতো। একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ পৃথক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই কারখানায় নব্বই দশক পর্যন্ত সহস্রাধিক কর্মী কাজ করতেন।
তৎকালীন সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে ১৯৯২ সালে অনেক কর্মী অবসরে চলে যান। পরে কারখানায় মঞ্জুরীকৃত পদ দাঁড়ায় ১২৭টি। তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন কর্মচারী বর্তমানে বহাল আছেন। তবে ২০১৫ সালেই কারখানার উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আনসার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য এখন কারখানাটিতে পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকা ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ। রয়েছে আবর্জনার স্তূপও। মাটিতে পড়ে রয়েছে বিকল স্টিম ক্রেনসহ নানা যন্ত্রপাতি ও লোহার তৈরি সামগ্রী। দেখভালের অভাবে এগুলো মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে খোয়াও যাচ্ছে অনেক মালপত্র। এসব যন্ত্রাংশ ও মালপত্রের বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগ সৈয়দপুর কারখানার সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন বলেন, রেলওয়ে সেতু কারখানাটি বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকার মেশিনপত্র ও মালপত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ সামান্য আধুনিকায়ন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিলে এটি পুনরায় সচল করা সম্ভব হবে। তিনি অবিলম্বে কারখানাটি চালুর দাবি জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রেলওয়ে উন্নয়নে বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়েছে। তাই রেলপথের বিভিন্ন স্থানে সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সৈয়দপুরের সেতু কারখানাটির প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি স্থাপন করে কারখানাটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে