খননের নামে জলমহাল শুকিয়ে মাছ নিধন

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৯
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৫৫

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে জলমহালে পানি শুকিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, উপজেলার বড়চাটুয়া গ্রুপ জলমহালের তলা শুকিয়ে মাছ ধরছে ইজারাদারেরা। এ জলমহালের বর্তমান ইজারাদার উপজেলার মাতারগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতি থেকে জলমহালটি কয়েক দফা বিভিন্ন ব্যক্তির হাতবদল হয়ে সবশেষে উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের বিছনা গ্রামের রফিক মিয়া গং-এর সাব ইজারার দখলদারিতে চলে যায়।

এ জলমহালের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চারটি অংশে রয়েছে। এগুলো হলো ঘইন্যার বিল, বড় চাটুয়া, ছোট চাটুয়া, ঠাকুরাই।

এদিকে প্রতি বছর জলমহালের তলা শুকিয়ে মাছ নিধনের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কাজ হয়নি। বরং চলতি বছর সমিতির সদস্যরা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন।

এলাকাবাসীকে তাঁরা জানিয়েছেন, বিলের চারটি অংশের জলমহাল খনন করে এটি অভয়াশ্রম করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছেন। তাই জলমহালের তলা শুকাতে হবে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দুই দশক ধরেই এই বিশাল জলমহালটি খনন আর অভয়াশ্রম করার গল্প শুনে আসছি। জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার পর আর কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের অধীনে সিবিআরএমপি/হিলিপ প্রকল্প একই গল্প শুনিয়ে গেছে। কেউই এই ব্যয়বহুল কাজ হাতে নেয়নি। জলমহাল খননের নামে বিলের তলা শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে খনন আর হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে সমিতির সাবেক সভাপতি পিযুস তালুকদার জানান, গত বছর জলমহালটি সমিতির নিজ খরচে খনন করে অভয়াশ্রম করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে অনুমতি পেয়েছেন।

জামালগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনন্দা রানী মোদক বলেন, ‘বিল খননের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখনো প্রকল্প আসেনি। তা ছাড়া বিলের তলা শুকিয়ে মাছ ধরার কোনো বিধান নেই। কেউ এ রকম করলে উপজেলা প্রশাসন তাঁর ব্যবস্থা নিবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত