হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল আরাফাতুল ইসলামের। আশা ছিল বিশ্ব দরবারে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার। কিন্তু যে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর এত প্রেম, সেই ক্রিকেটই ভয়ানক এক খেলা খেলে গেল আরাফাতের জীবনের সঙ্গে। এই ক্রিকেটই কেড়ে নেয় আরাফাতের বাম চোখ। এরপরও দমে যাননি আরাফাত। অন্ধত্বকে সঙ্গী করেই চালিয়ে যান ক্রিকেট। যে ক্রিকেট তাঁর চোখের আলো কেড়ে নেয়, সেই ক্রিকেটই তাঁর জীবনে এনে দিয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। প্রথমবারের মতো আরাফাত ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ভারতে খেলতে যাচ্ছেন তিনি।
আরাফাতুল ইসলাম চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের ফতেপুর তেলপারই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় আরাফাত। বর্তমানে তিনি চিটাগং ডিসঅ্যাবল স্পোর্টিং ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১১ সালের ২৮ মে দুর্ঘটনার শিকার হন আরাফাত। তখন তিনি ফটিকছড়ির জাফতনগর লতিফ রহমান উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়েন। বিদ্যালয় ছুটির পর অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলতে যান। খেলা চলাকালে হঠাৎ প্রতিপক্ষের ব্যাটারের শট থেকে আসা বলে বাম চোখে আঘাত পান আরাফাত। তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে। কিন্তু তাতেও কাজে আসেনি। এরপর ভারতে চিকিৎসা নেওয়ার পরও চোখের আলো আর ফিরে পাননি আরাফাত। ওই দুর্ঘটনার পর হারিয়ে যায় তাঁর দুচোখের আলো।
আরাফাতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম বড় ক্রিকেটার হওয়ার। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় চোখের আলো হারাই। কিন্তু এরপরও দমে যাইনি। ছেলেটি স্কুলে পড়ার সময় কয়েকজন সহপাঠীর মাধ্যমে জানতে পারি, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্যও বিশেষ ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা আছে। তখন ভাবলাম, এ সুযোগকে কাজে না লাগানোর কোনো মানেই হয় না! এমনকি এই স্পেশাল ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে দেশকেও প্রতিনিধিত্ব করা যায়—এটা জানতে পেরে খেলায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর পুনরায় শুরু করি ক্রিকেট খেলা। খেলতে গিয়ে প্রথমে সুযোগ পাই চট্টগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করার। এরপর এখন ডাক পেয়েছি বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমের হয়ে খেলার। আর প্রথমবারের মতো আগামী ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ খেলতে যাচ্ছি ভারতে।’
২০১১ সালে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে অন্ধত্ব বরণ করার পর ২০১২ সালে মুরাদপুরের সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে আবার শুরু হয় আরাফাতের শিক্ষাযাত্রা। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেই স্কুলে পড়েন তিনি। এরপর নবম শ্রেণীতে আরাফাত ভর্তি হন চট্টগ্রামের রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাশের পর উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন নগরীর হাজেরা-তুজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। সেখান থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে আরাফাত ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। বর্তমানে তিনি সেখানে ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়ছেন।
চিটাগং ডিসঅ্যাবল স্পোর্টিং ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, ভারতে খেলতে যাওয়া এই ট্যুরের প্লেয়ার লিস্টের ক্যাটাগরি বি-১-এ তাঁর (আরাফাত) জায়গা হয়েছে। বি-১ ক্যাটাগরিতে (একেবারে ব্লাইন্ড) ৫ জন আছেন। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ ফয়সাল, মোহাম্মদ আজমত আলী, মোহাম্মদ আলী, আরাফাতুল ইসলাম ও আবিদ হাসান রাব্বি। ক্যাটাগরি বি-২-তে আছেন চারজন এবং ক্যাটাগরি বি-৩-তে আছেন ৫ জন।
চিটাগং ডিসঅ্যাবল স্পোর্টিং ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক, নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আরাফাত খুব ভালো ক্রিকেট খেলেন। ২০১২ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলছে। এবার সে বাংলাদেশের হয়ে ভারতে খেলতে যাচ্ছে। আমরা তাঁকে নিয়ে আশাবাদী। আশা করছি, সে এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলবে।’
আরাফাতের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আরাফাতের বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায়। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা খুব ভেঙে পড়ে ছিলাম। কিন্তু সে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অন্য ছেলে মেয়েদের মতো স্কুল, কলেজ শেষ করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। এখন বাংলাদেশের হয়ে ভারতে খেলতে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল আরাফাতুল ইসলামের। আশা ছিল বিশ্ব দরবারে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার। কিন্তু যে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর এত প্রেম, সেই ক্রিকেটই ভয়ানক এক খেলা খেলে গেল আরাফাতের জীবনের সঙ্গে। এই ক্রিকেটই কেড়ে নেয় আরাফাতের বাম চোখ। এরপরও দমে যাননি আরাফাত। অন্ধত্বকে সঙ্গী করেই চালিয়ে যান ক্রিকেট। যে ক্রিকেট তাঁর চোখের আলো কেড়ে নেয়, সেই ক্রিকেটই তাঁর জীবনে এনে দিয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। প্রথমবারের মতো আরাফাত ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ভারতে খেলতে যাচ্ছেন তিনি।
আরাফাতুল ইসলাম চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের ফতেপুর তেলপারই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় আরাফাত। বর্তমানে তিনি চিটাগং ডিসঅ্যাবল স্পোর্টিং ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১১ সালের ২৮ মে দুর্ঘটনার শিকার হন আরাফাত। তখন তিনি ফটিকছড়ির জাফতনগর লতিফ রহমান উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়েন। বিদ্যালয় ছুটির পর অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলতে যান। খেলা চলাকালে হঠাৎ প্রতিপক্ষের ব্যাটারের শট থেকে আসা বলে বাম চোখে আঘাত পান আরাফাত। তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে। কিন্তু তাতেও কাজে আসেনি। এরপর ভারতে চিকিৎসা নেওয়ার পরও চোখের আলো আর ফিরে পাননি আরাফাত। ওই দুর্ঘটনার পর হারিয়ে যায় তাঁর দুচোখের আলো।
আরাফাতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম বড় ক্রিকেটার হওয়ার। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় চোখের আলো হারাই। কিন্তু এরপরও দমে যাইনি। ছেলেটি স্কুলে পড়ার সময় কয়েকজন সহপাঠীর মাধ্যমে জানতে পারি, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্যও বিশেষ ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা আছে। তখন ভাবলাম, এ সুযোগকে কাজে না লাগানোর কোনো মানেই হয় না! এমনকি এই স্পেশাল ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে দেশকেও প্রতিনিধিত্ব করা যায়—এটা জানতে পেরে খেলায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর পুনরায় শুরু করি ক্রিকেট খেলা। খেলতে গিয়ে প্রথমে সুযোগ পাই চট্টগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করার। এরপর এখন ডাক পেয়েছি বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমের হয়ে খেলার। আর প্রথমবারের মতো আগামী ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ খেলতে যাচ্ছি ভারতে।’
২০১১ সালে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে অন্ধত্ব বরণ করার পর ২০১২ সালে মুরাদপুরের সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে আবার শুরু হয় আরাফাতের শিক্ষাযাত্রা। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেই স্কুলে পড়েন তিনি। এরপর নবম শ্রেণীতে আরাফাত ভর্তি হন চট্টগ্রামের রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাশের পর উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন নগরীর হাজেরা-তুজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। সেখান থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে আরাফাত ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। বর্তমানে তিনি সেখানে ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়ছেন।
চিটাগং ডিসঅ্যাবল স্পোর্টিং ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, ভারতে খেলতে যাওয়া এই ট্যুরের প্লেয়ার লিস্টের ক্যাটাগরি বি-১-এ তাঁর (আরাফাত) জায়গা হয়েছে। বি-১ ক্যাটাগরিতে (একেবারে ব্লাইন্ড) ৫ জন আছেন। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ ফয়সাল, মোহাম্মদ আজমত আলী, মোহাম্মদ আলী, আরাফাতুল ইসলাম ও আবিদ হাসান রাব্বি। ক্যাটাগরি বি-২-তে আছেন চারজন এবং ক্যাটাগরি বি-৩-তে আছেন ৫ জন।
চিটাগং ডিসঅ্যাবল স্পোর্টিং ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক, নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আরাফাত খুব ভালো ক্রিকেট খেলেন। ২০১২ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলছে। এবার সে বাংলাদেশের হয়ে ভারতে খেলতে যাচ্ছে। আমরা তাঁকে নিয়ে আশাবাদী। আশা করছি, সে এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলবে।’
আরাফাতের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আরাফাতের বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায়। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা খুব ভেঙে পড়ে ছিলাম। কিন্তু সে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অন্য ছেলে মেয়েদের মতো স্কুল, কলেজ শেষ করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। এখন বাংলাদেশের হয়ে ভারতে খেলতে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে