সাইফুল মাসুম, ঢাকা
বাড়ির পাশের ছোট মাঠে গা এলিয়ে দেওয়া কিংবা বন্ধুরা মিলে ফুটবল খেলা—এমন দুরন্ত শৈশবের গল্প শোনাচ্ছিলেন ফজলুল বারী। মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় পরিবার নিয়ে পাকিস্তান আমল থেকেই বসবাস করে আসছেন বারী। বাসার পাশে থাকা মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক খেলার মাঠ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আক্ষেপ করে ফজলুল বারী বলেন, ‘আগে আমাদের সোনালি শৈশব ছিল। বাসার পাশে খেলাধুলার জন্য অনেক খালি জায়গা ছিল। এখন জায়গাগুলো ইট-পাথরের জঞ্জাল হয়ে গেছে।’ বারী বলেন, ‘রাজধানীর দু-একটি জায়গায় যে পার্ক ও খেলার মাঠ রয়েছে, সেখানেও উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর তালা ঝুলছে। সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারছে না। আমাদের সন্তানেরা খেলাধুলা বিমুখ হচ্ছে, আসক্ত হচ্ছে মোবাইল গেমসে।’
মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান (হাবু) বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজের নকশায় মাঠের জায়গা ছোট করা হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে মাঠটি বন্ধ। কাজ কবে শেষ হবে, তা-ও বলতে পারছি না।’ উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বেশ কয়েকটি পার্ক ও খেলার মাঠ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বন্ধ হওয়া পার্কগুলোর মধ্যে রয়েছে, গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক, গুলশান ফজলে রাব্বি পার্ক, মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক, কারওয়ান বাজার পার্ক ও বনানী রোড-২৭ পার্ক। এ ছাড়া মধুবাগ খেলার মাঠ ও সোনালি মাঠও বন্ধ করে রাখা রয়েছে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ‘উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ একনেক অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। করোনার কারণে পরবর্তী সময়ে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। পার্ক ও খেলার মাঠ সবগুলোর কাজ শেষ না হওয়ায় সবশেষ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয় প্রকল্পের সময়। ধাপে ধাপে তিনবার প্রকল্পের সময় বাড়ানো হলেও, এখনো শেষ হয়নি বেশ কিছু পার্ক ও খেলার মাঠের উন্নয়নকাজ। সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ২৭৯ দশমিক ৫০ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত ব্যয় ধরা হয় ২০২ দশমিক ৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় সিটি করপোরেশনের ২২টি পার্ক এবং ৪টি খেলার মাঠেরও আধুনিকায়নের কথা বলা হয়। সংশোধিত প্রকল্পে চারটি পার্ক বাদ রাখা হয়। চলতি মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ডিএনসিসির ১৩টি পার্ক ও ৩টি খেলার মাঠের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৫টি পার্ক ও একটি মাঠের উন্নয়নকাজ শেষের দিকে রয়েছে। অথচ সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান ফজলে রাব্বি পার্ক ও মোহাম্মদপুর শহীদ পার্কের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পার্ক ও মাঠের অসমাপ্ত কাজ শেষ হতে আরও কয়েক মাস লাগবে।
ডিএনসিসির ‘উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ প্রকল্পের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, করোনা মহামারি, অবৈধ দখল, দোকান-সংশ্লিষ্ট জটিলতা (শহীদ পার্ক), নকশা পরিবর্তন, ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে কিছু পার্ক ও মাঠের কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ কারণে জুনের মধ্যে কোনো মাঠ বা পার্কের কাজ শেষ না হলে, নতুন প্রকল্পের আওতায় কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
পার্ক ও খেলার মাঠ বছরের পর বছর বন্ধ রাখা উদ্বেগজনক বলে মনে করেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেখানে মাঠ-পার্কের এত সংকট, সেখানে এত দিন ধরে এতগুলো উন্মুক্ত স্থান বন্ধ রাখা অযৌক্তিক। সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি বুঝতে হবে। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাজ শেষ হলে মাঠ-পার্ক দ্রুত খুলে দেওয়া হবে।
বাড়ির পাশের ছোট মাঠে গা এলিয়ে দেওয়া কিংবা বন্ধুরা মিলে ফুটবল খেলা—এমন দুরন্ত শৈশবের গল্প শোনাচ্ছিলেন ফজলুল বারী। মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় পরিবার নিয়ে পাকিস্তান আমল থেকেই বসবাস করে আসছেন বারী। বাসার পাশে থাকা মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক খেলার মাঠ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আক্ষেপ করে ফজলুল বারী বলেন, ‘আগে আমাদের সোনালি শৈশব ছিল। বাসার পাশে খেলাধুলার জন্য অনেক খালি জায়গা ছিল। এখন জায়গাগুলো ইট-পাথরের জঞ্জাল হয়ে গেছে।’ বারী বলেন, ‘রাজধানীর দু-একটি জায়গায় যে পার্ক ও খেলার মাঠ রয়েছে, সেখানেও উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর তালা ঝুলছে। সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারছে না। আমাদের সন্তানেরা খেলাধুলা বিমুখ হচ্ছে, আসক্ত হচ্ছে মোবাইল গেমসে।’
মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান (হাবু) বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজের নকশায় মাঠের জায়গা ছোট করা হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে মাঠটি বন্ধ। কাজ কবে শেষ হবে, তা-ও বলতে পারছি না।’ উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বেশ কয়েকটি পার্ক ও খেলার মাঠ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বন্ধ হওয়া পার্কগুলোর মধ্যে রয়েছে, গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক, গুলশান ফজলে রাব্বি পার্ক, মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক, কারওয়ান বাজার পার্ক ও বনানী রোড-২৭ পার্ক। এ ছাড়া মধুবাগ খেলার মাঠ ও সোনালি মাঠও বন্ধ করে রাখা রয়েছে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ‘উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ একনেক অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। করোনার কারণে পরবর্তী সময়ে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। পার্ক ও খেলার মাঠ সবগুলোর কাজ শেষ না হওয়ায় সবশেষ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয় প্রকল্পের সময়। ধাপে ধাপে তিনবার প্রকল্পের সময় বাড়ানো হলেও, এখনো শেষ হয়নি বেশ কিছু পার্ক ও খেলার মাঠের উন্নয়নকাজ। সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ২৭৯ দশমিক ৫০ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত ব্যয় ধরা হয় ২০২ দশমিক ৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় সিটি করপোরেশনের ২২টি পার্ক এবং ৪টি খেলার মাঠেরও আধুনিকায়নের কথা বলা হয়। সংশোধিত প্রকল্পে চারটি পার্ক বাদ রাখা হয়। চলতি মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ডিএনসিসির ১৩টি পার্ক ও ৩টি খেলার মাঠের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৫টি পার্ক ও একটি মাঠের উন্নয়নকাজ শেষের দিকে রয়েছে। অথচ সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান ফজলে রাব্বি পার্ক ও মোহাম্মদপুর শহীদ পার্কের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পার্ক ও মাঠের অসমাপ্ত কাজ শেষ হতে আরও কয়েক মাস লাগবে।
ডিএনসিসির ‘উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ প্রকল্পের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, করোনা মহামারি, অবৈধ দখল, দোকান-সংশ্লিষ্ট জটিলতা (শহীদ পার্ক), নকশা পরিবর্তন, ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে কিছু পার্ক ও মাঠের কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ কারণে জুনের মধ্যে কোনো মাঠ বা পার্কের কাজ শেষ না হলে, নতুন প্রকল্পের আওতায় কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
পার্ক ও খেলার মাঠ বছরের পর বছর বন্ধ রাখা উদ্বেগজনক বলে মনে করেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেখানে মাঠ-পার্কের এত সংকট, সেখানে এত দিন ধরে এতগুলো উন্মুক্ত স্থান বন্ধ রাখা অযৌক্তিক। সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি বুঝতে হবে। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাজ শেষ হলে মাঠ-পার্ক দ্রুত খুলে দেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে