জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
চলতি বন্যায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বানের পানিতে তলিয়ে যায় শত শত ঘরবাড়ি, সড়ক ও ফসলি জমি। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বর্তমানে পানি কমছে, স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরছেন বাড়িতে। ক্ষতচিহ্ন বলে দিচ্ছে কতটা ভয়াবহ ছিল বন্যার দিনগুলো। স্থানীয়রা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা করা হলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। নয়তো দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, সুরমা, বৌলাই ও রক্তি নদীর পানি কদিন আগেও ৭৮ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সুরমা ও পার্শ্ববর্তী ছোট নদ-নদীর পানি কমেছে। এখনো পানিবন্দী রয়েছেন ২০০ গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে গেছে উপজেলার উজ্জ্বলপুর এলাকার সড়কটিও। এক সপ্তাহ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও বর্তমানে উপজেলা সদর এলাকায় স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এদিকে পানি কমলেও কপালে চিন্তার ভাঁজ হাওরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের। একদিকে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ফসল। অন্যদিকে আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, গরু ছাগলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে নিঃস্ব হয়েছে পড়েছেন তাঁরা।
বেহেলী, ফেনারবাঁক ও জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক রাতের মধ্যে ঘরে বন্যার পানি ঢুকে যায়। এভাবে ঘরে পানি ঢুকবে তা ভাবতেও পারেননি তাঁরা।
কামলাবাজ গ্রামের মো. সাইফ আলম আরিফ বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে দেখি ঘরের ভেতর হাঁটুপানি। এতে ঘরের মধ্যে থাকা ফ্রিজ, মোটরসহ বিভিন্ন মালামাল ক্ষতি হয়েছে, যা পুষিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। তবে আমরা আশাবাদী। আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
আলিপুরের বাসিন্দা মো. আশিকুর মিয়া বলেন, ‘আমার গোয়ালঘরে তিনটি গরু ছিল। মধ্য রাতে বন্যার পানিতে একটি গরু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।’
এই প্রতিবেদককে স্থানীয়রা জানান, তাঁদের গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিসহ পোষ্য প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির কথা। তাঁরা আরও জানান, বৈশাখের সময় হাওর ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় অনেক ধানের জমি। সারা বছর খাদ্যের সংকটে ভুগবেন, এই চিন্তায় দিন পার করছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে আবার বন্যার হানা, যা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার’ মতোই।
প্রথম দফার বন্যায় ফসল নষ্টের পর চলতি বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; পরবর্তী সময়ে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি না, এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সরকারি ত্রাণসহায়তা সাময়িক। সরকার থেকে এসব ক্ষতিগ্রস্তকে সহায়তা করা হলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। নয়তো দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিত দেব জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ইতিমধ্যে ৪০ টন চাল, আট টন চিড়া, দুই টন মুড়ি ও দুই টন গুড় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে।
ইউএনও বলেন, সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ খাদ্যসংকটে থাকলে বা কোনো গ্রামে এখন পর্যন্ত ত্রাণ না পৌঁছালে উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তা ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে দূরবর্তী এলাকায় মেডিকেল টিমের কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইনও মজুত আছে। বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজ-খবর নিতে এবং সহযোগিতা দিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
চলতি বন্যায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বানের পানিতে তলিয়ে যায় শত শত ঘরবাড়ি, সড়ক ও ফসলি জমি। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বর্তমানে পানি কমছে, স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরছেন বাড়িতে। ক্ষতচিহ্ন বলে দিচ্ছে কতটা ভয়াবহ ছিল বন্যার দিনগুলো। স্থানীয়রা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা করা হলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। নয়তো দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, সুরমা, বৌলাই ও রক্তি নদীর পানি কদিন আগেও ৭৮ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সুরমা ও পার্শ্ববর্তী ছোট নদ-নদীর পানি কমেছে। এখনো পানিবন্দী রয়েছেন ২০০ গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে গেছে উপজেলার উজ্জ্বলপুর এলাকার সড়কটিও। এক সপ্তাহ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও বর্তমানে উপজেলা সদর এলাকায় স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এদিকে পানি কমলেও কপালে চিন্তার ভাঁজ হাওরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের। একদিকে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ফসল। অন্যদিকে আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, গরু ছাগলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে নিঃস্ব হয়েছে পড়েছেন তাঁরা।
বেহেলী, ফেনারবাঁক ও জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক রাতের মধ্যে ঘরে বন্যার পানি ঢুকে যায়। এভাবে ঘরে পানি ঢুকবে তা ভাবতেও পারেননি তাঁরা।
কামলাবাজ গ্রামের মো. সাইফ আলম আরিফ বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে দেখি ঘরের ভেতর হাঁটুপানি। এতে ঘরের মধ্যে থাকা ফ্রিজ, মোটরসহ বিভিন্ন মালামাল ক্ষতি হয়েছে, যা পুষিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। তবে আমরা আশাবাদী। আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
আলিপুরের বাসিন্দা মো. আশিকুর মিয়া বলেন, ‘আমার গোয়ালঘরে তিনটি গরু ছিল। মধ্য রাতে বন্যার পানিতে একটি গরু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।’
এই প্রতিবেদককে স্থানীয়রা জানান, তাঁদের গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিসহ পোষ্য প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির কথা। তাঁরা আরও জানান, বৈশাখের সময় হাওর ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় অনেক ধানের জমি। সারা বছর খাদ্যের সংকটে ভুগবেন, এই চিন্তায় দিন পার করছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে আবার বন্যার হানা, যা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার’ মতোই।
প্রথম দফার বন্যায় ফসল নষ্টের পর চলতি বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; পরবর্তী সময়ে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি না, এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সরকারি ত্রাণসহায়তা সাময়িক। সরকার থেকে এসব ক্ষতিগ্রস্তকে সহায়তা করা হলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। নয়তো দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিত দেব জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ইতিমধ্যে ৪০ টন চাল, আট টন চিড়া, দুই টন মুড়ি ও দুই টন গুড় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে।
ইউএনও বলেন, সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ খাদ্যসংকটে থাকলে বা কোনো গ্রামে এখন পর্যন্ত ত্রাণ না পৌঁছালে উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তা ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে দূরবর্তী এলাকায় মেডিকেল টিমের কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইনও মজুত আছে। বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজ-খবর নিতে এবং সহযোগিতা দিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে