সিরাজদিখানে নৌকার ভরাডুবি যে কারণে

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ২৪
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৪১

চতুর্থ ধাপের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ৭টি ইউপিতে পরাজিত হয়েছেন। হারের নেপথ্যে দলীয় কোন্দল ও প্রার্থী বাছাইকে দায়ী করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

জানা যায়, ইছাপুরা ইউপিতে নৌকার হেভিওয়েট প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। ইছাপুরা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন হাওলাদার পরাজিত এবং ৩ নম্বর হন। লতব্দী ইউপিতে এস এম সোহরাব হোসেন পরাজিত হন। জৈনসার ইউপির মো. আবুল খায়ের ব্যাপারী পরাজিত হন। রশুনিয়া ইউপিতে বমো. ইকবাল হোসেন পরাজিত হন। কোলা ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. কপাসের হোসেনের কারণে মীর লিয়াকত আলী পরাজিত হন। কোলা ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) প্রতীকের এ এইচ এম সাইফুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন তাঁরা হলেন, বালুরচর ইউপিতে এএস এম শাহাদাত হোসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে দলীয় কোন্দল দেখা দেয়। এতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে প্রার্থী বাছাই নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা হেরেছেন। এ ছাড়া এবারের ইউপি নির্বাচনে বিএনপির ব্যাপক সমর্থন ছিল বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। তাঁরা নৌকার ভরাডুবি চেয়েছে। তারা বোঝাতে চেয়েছে নৌকার ভোট নেই, জনগণের তাঁদের প্রতি আস্থা নেই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৪টি ইউনিয়নের জন্য তৃণমূলে মতামতের ভিত্তিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কেন্দ্র থেকে এক নম্বরে থাকা নামগুলো বাদ দিয়ে অন্যদের নৌকা দেওয়া হয়। বাদ পড়া ব্যক্তিরা বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করে। তারা জয়লাভ করে। মূলত তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের মতামতকে উপেক্ষা করার করণেই ৭টি ইউনিয়নে নৌকার পরাজয় হয়েছে। একটিতে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত