পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি
শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। মল নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় তা উপচে বাথরুমের বাইরে চলে আসে। দুর্গন্ধে আশপাশে যাওয়া দুঃসাধ্য। বাথরুমে দরজার অধিকাংশ ছিটকিনি নষ্ট। প্রস্রাবের জায়গাতে পানি জমে আছে। গোসলখানার ট্যাপ এবং ঝরনাগুলোর অধিকাংশই নষ্ট। এ চিত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি হলের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এটির। এ সব সমস্যা সমাধানের জন্য হলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দিলেও মিলছে না সমাধান। খোদ হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এটি আবাস যোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে হলকে হাসপাতাল নামে অভিহিত করেন। হলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। হলের আঙিনা থেকে রুম পর্যন্ত সর্বত্রেই অব্যবস্থাপনায় টইটম্বুর। হলটিতে সিট বরাদ্দ দিলেও রুম নম্বর দিতে পারে না হল কর্তৃপক্ষ। এতে করে সিট পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারেন না। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক থাকেন না ক্যাম্পাসের প্রভোস্ট ভবনে। তিনি থাকেন কুষ্টিয়া শহরে। প্রভোস্ট ভবনে হল প্রভোস্টের বরাদ্দকৃত রুমে থাকেন হলটির হাউস টিউটর সহযোগী অধ্যাপক শামীম হোসেন। হলটির ইনডোরে খেলাধুলার নেই পর্যাপ্ত সুবিধা। খাবারের মান নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। দাম বাড়লেও বাড়েনি এর মান।
শিক্ষার্থীরা জানান, হল প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ দিয়েও তাঁরা প্রতিকার পাচ্ছেন না। হল প্রভোস্ট অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, তাঁকে হলের কাজে সহযোগিতা করছে না হলের কর্মকর্তা ও হাউস টিউটররা।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, অথচ হল সংস্কার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে হলের কাজ করছে নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। লেপ ছেপ দিয়ে কাজ চলছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এত টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেও শৌচাগারগুলোর সমস্যা সমাধানের স্থায়ী ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। টাকাগুলো একেবারে না খেতে পেরে এ রকম কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে হল প্রভোস্ট মনজুরুল হক নিজের অক্ষমতা অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘হলে কিছু লোকবল ও কম্পিউটার দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বারবার লোকবল ও কম্পিউটার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে না। হল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হলে তাঁরা আমাকে কয়েক বছর আগের পুরোনো তালিকা দিয়ে দেন। তাঁদের নির্দেশ দিয়েছি নতুন তালিকা করার। হলে হাউস টিউটর আছেন ছয়জন। হলের অভ্যন্তরীণ মিটিং এ সবাইকে পাওয়া যায় না। কল করলে অন্য হাউস টিউটররা বলেন, মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত পরে জেনে নেব স্যার।’
হলের সার্বিক অব্যবস্থাপনার বিষয়ে মনজুরুল হক আরও বলেন, ‘আমি আসলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। কিন্তু সবাই আমাকে সহযোগিতা করে না। আমার হলে একটা কম্পিউটার নেই কোনো নোটিশ করতে হলে সেটা আমি বাসা থেকে টাইপ করে নিয়ে আসি। পরে কর্মকর্তাদের সেটা সরবরাহ করি। এক মাসের মধ্যে হলকে সব অব্যবস্থাপনা থেকে মুক্ত করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘যত সমস্যা ওই হলটার মাঝেই। হল কর্তৃপক্ষকে চাহিদা মোতাবেক সবকিছু সরবরাহ করা হবে। হলের সুস্থ পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।’
শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। মল নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় তা উপচে বাথরুমের বাইরে চলে আসে। দুর্গন্ধে আশপাশে যাওয়া দুঃসাধ্য। বাথরুমে দরজার অধিকাংশ ছিটকিনি নষ্ট। প্রস্রাবের জায়গাতে পানি জমে আছে। গোসলখানার ট্যাপ এবং ঝরনাগুলোর অধিকাংশই নষ্ট। এ চিত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি হলের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এটির। এ সব সমস্যা সমাধানের জন্য হলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দিলেও মিলছে না সমাধান। খোদ হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এটি আবাস যোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে হলকে হাসপাতাল নামে অভিহিত করেন। হলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। হলের আঙিনা থেকে রুম পর্যন্ত সর্বত্রেই অব্যবস্থাপনায় টইটম্বুর। হলটিতে সিট বরাদ্দ দিলেও রুম নম্বর দিতে পারে না হল কর্তৃপক্ষ। এতে করে সিট পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারেন না। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক থাকেন না ক্যাম্পাসের প্রভোস্ট ভবনে। তিনি থাকেন কুষ্টিয়া শহরে। প্রভোস্ট ভবনে হল প্রভোস্টের বরাদ্দকৃত রুমে থাকেন হলটির হাউস টিউটর সহযোগী অধ্যাপক শামীম হোসেন। হলটির ইনডোরে খেলাধুলার নেই পর্যাপ্ত সুবিধা। খাবারের মান নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। দাম বাড়লেও বাড়েনি এর মান।
শিক্ষার্থীরা জানান, হল প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ দিয়েও তাঁরা প্রতিকার পাচ্ছেন না। হল প্রভোস্ট অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, তাঁকে হলের কাজে সহযোগিতা করছে না হলের কর্মকর্তা ও হাউস টিউটররা।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, অথচ হল সংস্কার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে হলের কাজ করছে নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। লেপ ছেপ দিয়ে কাজ চলছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এত টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেও শৌচাগারগুলোর সমস্যা সমাধানের স্থায়ী ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। টাকাগুলো একেবারে না খেতে পেরে এ রকম কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে হল প্রভোস্ট মনজুরুল হক নিজের অক্ষমতা অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘হলে কিছু লোকবল ও কম্পিউটার দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বারবার লোকবল ও কম্পিউটার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে না। হল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হলে তাঁরা আমাকে কয়েক বছর আগের পুরোনো তালিকা দিয়ে দেন। তাঁদের নির্দেশ দিয়েছি নতুন তালিকা করার। হলে হাউস টিউটর আছেন ছয়জন। হলের অভ্যন্তরীণ মিটিং এ সবাইকে পাওয়া যায় না। কল করলে অন্য হাউস টিউটররা বলেন, মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত পরে জেনে নেব স্যার।’
হলের সার্বিক অব্যবস্থাপনার বিষয়ে মনজুরুল হক আরও বলেন, ‘আমি আসলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। কিন্তু সবাই আমাকে সহযোগিতা করে না। আমার হলে একটা কম্পিউটার নেই কোনো নোটিশ করতে হলে সেটা আমি বাসা থেকে টাইপ করে নিয়ে আসি। পরে কর্মকর্তাদের সেটা সরবরাহ করি। এক মাসের মধ্যে হলকে সব অব্যবস্থাপনা থেকে মুক্ত করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘যত সমস্যা ওই হলটার মাঝেই। হল কর্তৃপক্ষকে চাহিদা মোতাবেক সবকিছু সরবরাহ করা হবে। হলের সুস্থ পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে