তানজিল হাসান, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুতুড়ে বিলের ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহক। পরিশোধিত বিলকে বকেয়া ধরে আবার পরিশোধের জন্য বিল বানিয়ে গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন হয়রানি হলেও মিলছে না কোনো সমাধান।
জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের বিষয়টি নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহক। সচেতন গ্রাহকেরা ভুতুড়ে বিলের কপি নিয়ে নিজেদের কাজকর্ম বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের অফিসে দৌড়াচ্ছেন। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে নিজের কর্মঘণ্টা নষ্ট করে বিল ঠিক করে নিতে হচ্ছে।
খালইস্টের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অনেককেই ভুতুড়ে বিল দেয়। আমাদেরও একবার পরিশোধিত বিল পুনরায় বকেয়া ধরে বিল দিয়েছিল। ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসের বিলের সঙ্গে পরিশোধিত আগস্টের বিল যোগ করে জরিমানাসহ করে দিয়েছিল। প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ করেছিল। আমরা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করে বিল ঠিক করে নিয়ে আসি। সেই বিলের কপি এখনো আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।’
এই ভুতুড়ে বিলের সমস্যার সমাধান তো হয়নি। বরং দিন দিন এটা আরও বাড়ছে। গ্রাহকদের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই। শত শত গ্রাহককে প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিসে লাইন ধরে বিল ঠিক করে নিতে হচ্ছে।
মানিকপুরের গ্রাহক আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার বাড়িসহ মানিকপুরের ছয়টি বাড়িতে পরিশোধিত বিলকে বকেয়া ধরে বিল করা হয়েছি। গত এপ্রিল মাসের বিলের সঙ্গে মার্চের পরিশোধিত বিলও ধরে দেওয়া হয়েছিল। পরে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিল ঠিক করে নিয়ে আসে। এটা এমন এক অবস্থা, যা দেখে মনে হচ্ছে ডিজিটালের বিড়ম্বনা।’
মুক্তারপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক সুমন ইসলাম বলেন, ‘আমার বিদ্যুৎ বিলে দুই ধরনের ভুল করেছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। আমাকে গত মাসের পরিশোধিত বিলকে বকেয়া ধরে নতুন করে বিল দিয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েক মাসের ব্যবহৃত ইউনিটের তুলনায় এবার অনেক গুণ বেশি ইউনিট ধরে দিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এতে করে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
মানিকপুরের বাসিন্দা অনিক বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৩টি আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলে গত মাসের পরিশোধিত বিল বকেয়া হিসেবে ধরে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে করে সবার বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিলগুলো ঠিক করে এনেছি। গত সোমবার আমার মতো প্রায় ৫০ জন ভুক্তভোগী একই কারণে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেছে বিল ঠিক করার জন্য।’
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মোবারকউল্ল্যাহ বলেন, সফটওয়্যারে সমস্যার কারণে এটা হয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের লোকজনদের ত্রুটিও আছে। দেখা গেছে, গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে বিল পরিশোধ করেছে। কিন্তু আমাদের স্টাফ ব্যাংক থেকে সে বিল আনতে বিলম্ব করেছে। কিছু লোকজন ২-১ মাসের বকেয়া রাখে। দেখা যায়, বিলম্ব করে বিল পরিশোধ করলে তখন সফটওয়্যারে সেটি পরিশোধ হয় না। এটাকে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। তা ছাড়া জনবলের সংকট আছে। এর জন্য আমরা বিব্রত ও লজ্জিত। চেষ্টা করি বিল পরিশোধ করার পর সঙ্গে সঙ্গে সফটওয়্যারেও পরিশোধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার।’
মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুতুড়ে বিলের ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহক। পরিশোধিত বিলকে বকেয়া ধরে আবার পরিশোধের জন্য বিল বানিয়ে গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন হয়রানি হলেও মিলছে না কোনো সমাধান।
জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের বিষয়টি নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহক। সচেতন গ্রাহকেরা ভুতুড়ে বিলের কপি নিয়ে নিজেদের কাজকর্ম বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের অফিসে দৌড়াচ্ছেন। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে নিজের কর্মঘণ্টা নষ্ট করে বিল ঠিক করে নিতে হচ্ছে।
খালইস্টের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অনেককেই ভুতুড়ে বিল দেয়। আমাদেরও একবার পরিশোধিত বিল পুনরায় বকেয়া ধরে বিল দিয়েছিল। ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসের বিলের সঙ্গে পরিশোধিত আগস্টের বিল যোগ করে জরিমানাসহ করে দিয়েছিল। প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ করেছিল। আমরা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করে বিল ঠিক করে নিয়ে আসি। সেই বিলের কপি এখনো আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।’
এই ভুতুড়ে বিলের সমস্যার সমাধান তো হয়নি। বরং দিন দিন এটা আরও বাড়ছে। গ্রাহকদের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই। শত শত গ্রাহককে প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিসে লাইন ধরে বিল ঠিক করে নিতে হচ্ছে।
মানিকপুরের গ্রাহক আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার বাড়িসহ মানিকপুরের ছয়টি বাড়িতে পরিশোধিত বিলকে বকেয়া ধরে বিল করা হয়েছি। গত এপ্রিল মাসের বিলের সঙ্গে মার্চের পরিশোধিত বিলও ধরে দেওয়া হয়েছিল। পরে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিল ঠিক করে নিয়ে আসে। এটা এমন এক অবস্থা, যা দেখে মনে হচ্ছে ডিজিটালের বিড়ম্বনা।’
মুক্তারপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক সুমন ইসলাম বলেন, ‘আমার বিদ্যুৎ বিলে দুই ধরনের ভুল করেছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। আমাকে গত মাসের পরিশোধিত বিলকে বকেয়া ধরে নতুন করে বিল দিয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েক মাসের ব্যবহৃত ইউনিটের তুলনায় এবার অনেক গুণ বেশি ইউনিট ধরে দিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এতে করে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
মানিকপুরের বাসিন্দা অনিক বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৩টি আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলে গত মাসের পরিশোধিত বিল বকেয়া হিসেবে ধরে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে করে সবার বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিলগুলো ঠিক করে এনেছি। গত সোমবার আমার মতো প্রায় ৫০ জন ভুক্তভোগী একই কারণে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেছে বিল ঠিক করার জন্য।’
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মোবারকউল্ল্যাহ বলেন, সফটওয়্যারে সমস্যার কারণে এটা হয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের লোকজনদের ত্রুটিও আছে। দেখা গেছে, গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে বিল পরিশোধ করেছে। কিন্তু আমাদের স্টাফ ব্যাংক থেকে সে বিল আনতে বিলম্ব করেছে। কিছু লোকজন ২-১ মাসের বকেয়া রাখে। দেখা যায়, বিলম্ব করে বিল পরিশোধ করলে তখন সফটওয়্যারে সেটি পরিশোধ হয় না। এটাকে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। তা ছাড়া জনবলের সংকট আছে। এর জন্য আমরা বিব্রত ও লজ্জিত। চেষ্টা করি বিল পরিশোধ করার পর সঙ্গে সঙ্গে সফটওয়্যারেও পরিশোধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে