Ajker Patrika

ব্যবসায়ীদের দখলে সেতু

ত্রিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৮
ব্যবসায়ীদের দখলে সেতু

ত্রিশাল পৌরসভার মূল সড়কে সেতুর দুই পাশ দখল করে বসছে অবৈধ দোকান। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারীদের। সুতিয়া নদীর ওপর তৈরি এই সেতু দখল করে ব্যবসায়ীরা নিয়মিত দোকান বসিয়ে এলেও কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার মূল সড়কের ওপর সুতিয়া নদীতে তৈরি সেতু দখল করে কিছু লোক অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন। পথচারীদের সেতু পারাপারে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

সেতুর দুই পাশে শাড়ি, লুঙিসহ বিভিন্ন পোশাকের দোকানও রয়েছে। এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন মসলা জাতীয় ভোগ্যপণ্যও বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও দ্রব্যাদি বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন পথচারীরা।

এ ছাড়া মূল সড়কের ফুটপাত দখলে নিয়ে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিয়মিতই অবৈধ দোকান নিয়ে বসেন। এই দোকানগুলোর কারণে পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে হেঁটে সেতু পার হতে হয়। এতে মূল সড়কে চলাচলকারী যানবাহন পড়ছে জটে।

বাজার করতে আসা সুমন বলেন, সপ্তাহের প্রতিদিনই দোকানপাট বসানো হয় এখানে। এই সড়কে অতিমাত্রায় যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে নির্বিঘ্নে পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে যায়। এভাবে অস্থায়ী দোকান-পাট বসানোয় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

মো. তোফাজ্জল হোসেন নামে জনৈক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বাজারে খুব বেশি আসা হয় না। আজ পরিবারের বিশেষ প্রয়োজনে আসতে হলো। তবে পায়ে হেঁটে এই ব্রিজ পাড়ি দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখানে রাস্তার পাশে দোকান থাকাটা সমীচীন নয়।’

পথচারী মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘এই ব্রিজের ওপর দোকানপাট বসার কারণে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। এ কারণে আমাদের মতো পথচারীদের চলাচল করা কষ্ট হয়ে পড়ে। তবুও কী আর করা। প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল তো করতেই হবে।’

রিকশাচালক দুলাল মিয়া বলেন, মানুষ মূল রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করে। হর্ন বাজালেও তাদের সরার জায়গা থাকে না। মূল রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা ও ভারী যানবাহনের কারণে পাঁচ মিনিটের রাস্তা ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে অতিক্রম করতে হয়।’

বিক্রেতা কয়েকজন বলেন, ব্রিজ ও ফুটপাতের ওপর বসে দোকানদারি করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও কী আর করা। জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বসতে হয়।’

এ বিষয়ে ইউএনও মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমি যোগদানের পরই এই বিষয়টি লক্ষ করছি। এ অবৈধ দোকানগুলোর জন্য স্বাভাবিক চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। যেহেতু এটি পৌরসভার এরিয়া তাই ইতিমধ্যে পৌরসভার মেয়র মহোদয়কে জানিয়েছি। ওনার সহযোগিতা নিয়ে অচিরেই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত