শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার ‘চাষি বাজারে’ কৃষকের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রি করা হয়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এই পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ টাকা দরে। ওই মিষ্টি কুমড়াই পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা। শুধু মিষ্টি কুমড়া নয়, কৃষকের উৎপাদিত প্রতিটি সবজিই দু-তিন গুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে খুচরা বাজারে। কৃষকের থেকে সবজি ক্রয়ের পর মধ্যস্বত্বভোগীদের তিন-চার দফা হাতবদলের কারণে দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা শহরসহ আশপাশের অন্তত ১২টি সবজির বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। কৃষকপর্যায়ে দাম কম থাকলেও ভোক্তাপর্যায়ে কয়েক গুণ বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে সবজি।
পাইকারি, খুচরাপর্যায়ের বিক্রেতা ও ক্রেতারা জানান, কৃষকদের উৎপাদিত সবজি সঠিক দামে সরাসরি ভোক্তাপর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের পাশে জাজিরার মিরাশার এলাকায় কৃষিবাজার স্থাপন করা হয়। জাজিরা ও নড়িয়ার স্থানীয় কৃষকেরা ওই বাজারে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন। এই চাষি বাজার থেকে রাজধানী ঢাকা, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ আশপাশের জেলার পাইকাররা সবজি কেনেন।
মিরাশার ‘চাষি বাজার’ গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১১-১৩, টমেটো ১২-১৫, কাঁচা মরিচ ৩০-৩৫, উস্তে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মিরাশার চাষি বাজার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরের পালং বাজার, আঙ্গারিয়া বাজার, কোর্ট বাজারসহ আশপাশের বাজারে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে দু-তিন গুণ বেশি দামে। প্রতিটি বাজারে বেগুন ৬০ থেকে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ২৫-৩০, কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০, উস্তে ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাইকারি বাজারে শসা ১৫ টাকা বিক্রি করা হলেও খুচরায় তা ২৫-৩০। ধুন্দল ও ঝিঙে ৩০ টাকা, খুচরা বাজারে ৭০ টাকা। কাঁচা কলা প্রতি হালি ১০ থেকে ১২ টাকা, খুচরা ২৫-৩০ টাকা। ডাঁটা প্রতি আঁটি ৫ টাকা, খুচরা ২৫ টাকা। ধনেপাতা কেজি ৮০ টাকা, খুচরা বাজারে ২০০ টাকা।
জাজিরার মুলনা ইউনিয়নের ডুবিসায়বর গ্রামের কৃষক ইউনুস মাদবর বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। মিরাশার চাষি বাজারে ৬ টাকা কেজি দরে ১৩৫ কেজি কুমড়া বিক্রি করেছি। এতে উৎপাদন ব্যয় ও পরিবহন খরচ উঠবে না। বছরের পর বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সবজি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হবে।’
নাওডোবা ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামের সুরুজ মাদবর ৩৫ টাকা দরে ১২০ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করে হতাশ। মিরাশার চাষি বাজারে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় সুরুজ মাদবরের। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঋণের টাকায় ফসল ফলাই। অথচ বিক্রির সময় কম মূল্যে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের এই সবজিই অন্য হাটবাজার দু-তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করতে দেখে হতাশ হই। আমাদের বিষয়ে ভাবার কেউ নেই।’
জেলা শহরের পালং বাজারে সবজি কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শান্তিনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সবুজ ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘সবকিছুর দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ পাইকারি বাজারে এসবের দাম দু-তিন গুণ কম। এতে করে কৃষককে ঠকানো হচ্ছে, মাঝখান থেকে সিন্ডিকেট করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদারকি করার দাবি জানাই।’
মিরাশার চাষি বাজারের সভাপতি আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, ‘কৃষকেরা পণ্যটি কোনো ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করেন, সেখান থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা সংগ্রহ করেন। পাইকাররা তা বিভিন্ন বাজারের আড়তে বিক্রি করেন। আড়ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা ক্রয় করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। এভাবে কয়েক দফা হাতবদলের কারণে সবজির দাম দু-তিন গুণ বেড়ে যায়।’
শরীয়তপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইউসূফ হোসেন বলেন, ‘কৃষকের সঙ্গে সরাসরি ভোক্তার সংযোগ নেই। কৃষকের পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে অন্তত চারটি হাতবদল হয়। এতে দাম বেড়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি অন্তত কৃষকের সঙ্গে খুচরা বিক্রেতাদের যোগসূত্র গড়ে তুলতে। তাহলে কৃষকও ন্যায্যমূল্য পাবেন, আবার ভোক্তাও সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।’
শরীয়তপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী জানান, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।’
শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার ‘চাষি বাজারে’ কৃষকের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রি করা হয়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এই পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ টাকা দরে। ওই মিষ্টি কুমড়াই পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা। শুধু মিষ্টি কুমড়া নয়, কৃষকের উৎপাদিত প্রতিটি সবজিই দু-তিন গুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে খুচরা বাজারে। কৃষকের থেকে সবজি ক্রয়ের পর মধ্যস্বত্বভোগীদের তিন-চার দফা হাতবদলের কারণে দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা শহরসহ আশপাশের অন্তত ১২টি সবজির বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। কৃষকপর্যায়ে দাম কম থাকলেও ভোক্তাপর্যায়ে কয়েক গুণ বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে সবজি।
পাইকারি, খুচরাপর্যায়ের বিক্রেতা ও ক্রেতারা জানান, কৃষকদের উৎপাদিত সবজি সঠিক দামে সরাসরি ভোক্তাপর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের পাশে জাজিরার মিরাশার এলাকায় কৃষিবাজার স্থাপন করা হয়। জাজিরা ও নড়িয়ার স্থানীয় কৃষকেরা ওই বাজারে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন। এই চাষি বাজার থেকে রাজধানী ঢাকা, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ আশপাশের জেলার পাইকাররা সবজি কেনেন।
মিরাশার ‘চাষি বাজার’ গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১১-১৩, টমেটো ১২-১৫, কাঁচা মরিচ ৩০-৩৫, উস্তে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মিরাশার চাষি বাজার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরের পালং বাজার, আঙ্গারিয়া বাজার, কোর্ট বাজারসহ আশপাশের বাজারে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে দু-তিন গুণ বেশি দামে। প্রতিটি বাজারে বেগুন ৬০ থেকে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ২৫-৩০, কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০, উস্তে ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাইকারি বাজারে শসা ১৫ টাকা বিক্রি করা হলেও খুচরায় তা ২৫-৩০। ধুন্দল ও ঝিঙে ৩০ টাকা, খুচরা বাজারে ৭০ টাকা। কাঁচা কলা প্রতি হালি ১০ থেকে ১২ টাকা, খুচরা ২৫-৩০ টাকা। ডাঁটা প্রতি আঁটি ৫ টাকা, খুচরা ২৫ টাকা। ধনেপাতা কেজি ৮০ টাকা, খুচরা বাজারে ২০০ টাকা।
জাজিরার মুলনা ইউনিয়নের ডুবিসায়বর গ্রামের কৃষক ইউনুস মাদবর বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। মিরাশার চাষি বাজারে ৬ টাকা কেজি দরে ১৩৫ কেজি কুমড়া বিক্রি করেছি। এতে উৎপাদন ব্যয় ও পরিবহন খরচ উঠবে না। বছরের পর বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সবজি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হবে।’
নাওডোবা ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামের সুরুজ মাদবর ৩৫ টাকা দরে ১২০ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করে হতাশ। মিরাশার চাষি বাজারে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় সুরুজ মাদবরের। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঋণের টাকায় ফসল ফলাই। অথচ বিক্রির সময় কম মূল্যে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের এই সবজিই অন্য হাটবাজার দু-তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করতে দেখে হতাশ হই। আমাদের বিষয়ে ভাবার কেউ নেই।’
জেলা শহরের পালং বাজারে সবজি কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শান্তিনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সবুজ ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘সবকিছুর দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ পাইকারি বাজারে এসবের দাম দু-তিন গুণ কম। এতে করে কৃষককে ঠকানো হচ্ছে, মাঝখান থেকে সিন্ডিকেট করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদারকি করার দাবি জানাই।’
মিরাশার চাষি বাজারের সভাপতি আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, ‘কৃষকেরা পণ্যটি কোনো ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করেন, সেখান থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা সংগ্রহ করেন। পাইকাররা তা বিভিন্ন বাজারের আড়তে বিক্রি করেন। আড়ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা ক্রয় করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। এভাবে কয়েক দফা হাতবদলের কারণে সবজির দাম দু-তিন গুণ বেড়ে যায়।’
শরীয়তপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইউসূফ হোসেন বলেন, ‘কৃষকের সঙ্গে সরাসরি ভোক্তার সংযোগ নেই। কৃষকের পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে অন্তত চারটি হাতবদল হয়। এতে দাম বেড়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি অন্তত কৃষকের সঙ্গে খুচরা বিক্রেতাদের যোগসূত্র গড়ে তুলতে। তাহলে কৃষকও ন্যায্যমূল্য পাবেন, আবার ভোক্তাও সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।’
শরীয়তপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী জানান, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে