আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ইট উৎপাদনের মৌসুমে কয়লার দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ফলে উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রতিটি ইটের দাম ৩-৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বহু ইটভাটা এবার উৎপাদনে যায়নি। যেসব ভাটা চালু আছে তাদের উৎপাদন ব্যয় ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। এতে ইট উৎপাদন কমায় আসন্ন নির্মাণ মৌসুমে উন্নয়নকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামের মিরসরাই, সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়ার ভাটামালিকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কয়লার মূল্য বাড়ায় এ বছর প্রায় ৬০ শতাংশ ইটভাটায় এবার উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
রাঙ্গুনিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন বলেন, ‘গত বছর এ সময়ে আমরা ভাটার প্রধান উপকরণ কয়লা টনপ্রতি ৮ থেকে সাড়ে আট হাজার টাকায় কিনেছি। এ বছর সেই কয়লার দাম বেড়েছে প্রায় দেড়গুণ। বর্তমানে ১৮ থেকে ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি টন কয়লা কিনতে হচ্ছে।’ এতে অনেক ভাটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে ৩০-৪০ শতাংশ। ফলে নির্মাণ মৌসুমে সাধারণ ক্রেতাদের ভবন নির্মাণ এবং সরকারি উন্নয়নকাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখছেন তিনি।
ইকবাল হোসেন আরও বলেন, এসব কারণে আনুমানিক ৬০ শতাংশ মালিক এ বছর ইটভাটা চালু করছেন না।
চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা এ বিষয়ে বলেন, ইটের সংকট দেখা দিলে উন্নয়নও ব্যাহত হতে পারে।
সাতকানিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল ইসলাম বলেন, কয়লার দাম প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। যে কারণে ভাটায় ইট উৎপাদন খরচ ও বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে ভাটামালিকেরা চাইলেই আগের মতো ইট তৈরি করতে পারছেন না। তা ছাড়া উৎপাদন খরচ বাড়লেও ইটের দাম সে অনুপাতে বাড়ানো যাচ্ছে না। সবকিছু মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ইটভাটাগুলো বড় লোকসানে পড়ছে।
সাধারণত প্রতি বছর বর্ষার শেষে শুরু হয় নির্মাণ মৌসুম। এ সময় সারা দেশে ভবন নির্মাণ ছাড়াও অবকাঠামো নির্মাণসহ সরকারি উন্নয়নকাজ পুরোদমে শুরু হয়। এতে ব্যবহৃত হয় বিপুল পরিমাণ ইট। কিন্তু আমদানি করা কয়লার অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রভাব এবার ইটের বাজারে পড়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রতিটি ইটের দাম ৩-৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও শিপিং চার্জ বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লা বাজার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমদানিকারকদের দাবি।
চট্টগ্রাম আবাসন শিল্প সমিতির (রিহ্যাব) সভাপতি মো. আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘আগে প্রতিটি ইট ৮ টাকায় কিনলেও বর্তমানে ১১ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আবাসন খাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ইটের চাহিদা রয়েছে। এবার দাম বাড়ায় ফ্ল্যাট তৈরিতে খরচ বাড়বে। বর্তমানে রড-সিমেন্ট ও ইটসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাট বিক্রিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা শিগগিরই বসে একটি সিদ্ধান্ত নেব।’
মিরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি এলাকার এমএবি ইটভাটার মালিক ও কয়লা ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব আলী জানান, ‘এ বছর কয়লার দাম অনেক বেশি। গত অক্টোবরে আমরা ২১ হাজার ৫০০ টাকা দরে কিনে ভাটায় প্রথম আগুন দিই। এরপর টনপ্রতি ১৮ থেকে ২১ হাজার পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে।’
খাগড়াছড়ির আলম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নজরুল ইসলাম ও বান্দরবানের এমবিএম ইটভাটার মালিক মো. নাসিরুল হক জানান, অনেকে এ বছর ভাটায় ইট উৎপাদনে যাননি। যে কারণে ইট উৎপাদন অনেক কম হবে। ফলে ইটের দামও বাড়বে।
ইট উৎপাদনের মৌসুমে কয়লার দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ফলে উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রতিটি ইটের দাম ৩-৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বহু ইটভাটা এবার উৎপাদনে যায়নি। যেসব ভাটা চালু আছে তাদের উৎপাদন ব্যয় ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। এতে ইট উৎপাদন কমায় আসন্ন নির্মাণ মৌসুমে উন্নয়নকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামের মিরসরাই, সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়ার ভাটামালিকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কয়লার মূল্য বাড়ায় এ বছর প্রায় ৬০ শতাংশ ইটভাটায় এবার উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
রাঙ্গুনিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন বলেন, ‘গত বছর এ সময়ে আমরা ভাটার প্রধান উপকরণ কয়লা টনপ্রতি ৮ থেকে সাড়ে আট হাজার টাকায় কিনেছি। এ বছর সেই কয়লার দাম বেড়েছে প্রায় দেড়গুণ। বর্তমানে ১৮ থেকে ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি টন কয়লা কিনতে হচ্ছে।’ এতে অনেক ভাটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে ৩০-৪০ শতাংশ। ফলে নির্মাণ মৌসুমে সাধারণ ক্রেতাদের ভবন নির্মাণ এবং সরকারি উন্নয়নকাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখছেন তিনি।
ইকবাল হোসেন আরও বলেন, এসব কারণে আনুমানিক ৬০ শতাংশ মালিক এ বছর ইটভাটা চালু করছেন না।
চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা এ বিষয়ে বলেন, ইটের সংকট দেখা দিলে উন্নয়নও ব্যাহত হতে পারে।
সাতকানিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল ইসলাম বলেন, কয়লার দাম প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। যে কারণে ভাটায় ইট উৎপাদন খরচ ও বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে ভাটামালিকেরা চাইলেই আগের মতো ইট তৈরি করতে পারছেন না। তা ছাড়া উৎপাদন খরচ বাড়লেও ইটের দাম সে অনুপাতে বাড়ানো যাচ্ছে না। সবকিছু মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ইটভাটাগুলো বড় লোকসানে পড়ছে।
সাধারণত প্রতি বছর বর্ষার শেষে শুরু হয় নির্মাণ মৌসুম। এ সময় সারা দেশে ভবন নির্মাণ ছাড়াও অবকাঠামো নির্মাণসহ সরকারি উন্নয়নকাজ পুরোদমে শুরু হয়। এতে ব্যবহৃত হয় বিপুল পরিমাণ ইট। কিন্তু আমদানি করা কয়লার অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রভাব এবার ইটের বাজারে পড়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রতিটি ইটের দাম ৩-৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও শিপিং চার্জ বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লা বাজার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমদানিকারকদের দাবি।
চট্টগ্রাম আবাসন শিল্প সমিতির (রিহ্যাব) সভাপতি মো. আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘আগে প্রতিটি ইট ৮ টাকায় কিনলেও বর্তমানে ১১ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আবাসন খাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ইটের চাহিদা রয়েছে। এবার দাম বাড়ায় ফ্ল্যাট তৈরিতে খরচ বাড়বে। বর্তমানে রড-সিমেন্ট ও ইটসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাট বিক্রিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা শিগগিরই বসে একটি সিদ্ধান্ত নেব।’
মিরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি এলাকার এমএবি ইটভাটার মালিক ও কয়লা ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব আলী জানান, ‘এ বছর কয়লার দাম অনেক বেশি। গত অক্টোবরে আমরা ২১ হাজার ৫০০ টাকা দরে কিনে ভাটায় প্রথম আগুন দিই। এরপর টনপ্রতি ১৮ থেকে ২১ হাজার পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে।’
খাগড়াছড়ির আলম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নজরুল ইসলাম ও বান্দরবানের এমবিএম ইটভাটার মালিক মো. নাসিরুল হক জানান, অনেকে এ বছর ভাটায় ইট উৎপাদনে যাননি। যে কারণে ইট উৎপাদন অনেক কম হবে। ফলে ইটের দামও বাড়বে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪