কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের অধিকাংশ গবাদিপশু লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হচ্ছে। খামারিদের দাবি, উপজেলায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও প্রাণিসম্পদ অফিসের নেই কোনো তৎপরতা। এতে গ্রাম্য চিকিৎসকেরা আক্রান্ত পশুদের চিকিৎসা দিচ্ছেন নিষিদ্ধ ওষুধে।
কোটচাঁদপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, এলএসডি ভাইরাসজনিত চর্মরোগ। এ রোগে শুধু গরু ও মহিষ আক্রান্ত হয়, যা ৩ বছর আগে এ দেশে দেখা দিয়েছিল। গত ২ বছর দেখা না গেলেও এ বছরের জুলাই থেকে এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে বেশি গরু আক্রান্ত হয়েছে।
আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘এই উপজেলায় ৩৯ হাজার ৭৮২টি গরু-মহিষ আছে। এগুলোর মধ্যে আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী ৬৫৫টি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে হাতে গোনা কয়েকটি। তবে এর বাইরে আরও পশু আক্রান্ত ও মৃত্যু হতে পারে। তবে ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এ অফিসে যাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেন, তাঁরাও মানুষকে সচেতন করছেন।’
তবে এ কথা মানতে নারাজ উপজেলা তালসার গ্রামের আকিমুল ইসলাম সাজু। তিনি বলেন, ‘এ গ্রামের অনেক পশু আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গেছে বেশ কয়েকটি। এ ছাড়া এখনো বাড়িতে ভুগছে অনেক পশু। এ পশুগুলোর চিকিৎসা দিচ্ছেন সার্টিফিকেটবিহীন স্থানীয় পশুচিকিৎসকেরা।’
সাজু আরও বলেন, এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার পর থেকে প্রাণিসম্পদ অফিসের কাউকে দেখা যায়নি তালসারে। এ ছাড়া সচেতনতামূলক কোনো সভাও চোখে পড়েনি।
এ রোগের চিকিৎসা নিয়ে অফিসের এলডিডিপি প্রকল্পের বকুল আহম্মেদ বলেন, ‘এই ইউনিয়নে শতকরা ৭০-৮০টি গরুর এ রোগ ধরা পড়েছে। এতে মূলত ইরাসেফ ২ গ্রাম, পিপাভেট, কিটোফেন, ডেক্সামেট দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ চিকিৎসায় ভালো হতে কোনো গরুর তিন দিন, কোনো সাত দিন, আবার কোনো গরুর বেশি দিন সময় লাগছে।’
চিকিৎসা ব্যয় প্রসঙ্গে বকুল আহম্মেদ বলেন, ‘সব মিলিয়ে দিন ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা লাগছে। কিটোপ্রোফেন, অ্যান্টিবায়োটিক আর ডেক্সামেট ব্যবহার করছি। এ রোগে এসব ওষুধ ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও কেন ব্যবহার করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব না দিলে গরুর চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবহার করা।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ইআইপি প্রকল্পের রানা আহম্মেদও বলেছেন একই কথা। তিনিও নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন এ রোগের গরুগুলোকে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) ডা. রেজাউল করিম বলেন, ‘এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে মৃত্যুহার কম। এ রোগে ছোট বাছুরের মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, এ রোগের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। সাপোর্টিং চিকিৎসা দিয়ে পশুকে সুস্থ করতে হবে। আর স্থানীয় চিকিৎসকদের নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হবে।’
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের অধিকাংশ গবাদিপশু লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হচ্ছে। খামারিদের দাবি, উপজেলায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও প্রাণিসম্পদ অফিসের নেই কোনো তৎপরতা। এতে গ্রাম্য চিকিৎসকেরা আক্রান্ত পশুদের চিকিৎসা দিচ্ছেন নিষিদ্ধ ওষুধে।
কোটচাঁদপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, এলএসডি ভাইরাসজনিত চর্মরোগ। এ রোগে শুধু গরু ও মহিষ আক্রান্ত হয়, যা ৩ বছর আগে এ দেশে দেখা দিয়েছিল। গত ২ বছর দেখা না গেলেও এ বছরের জুলাই থেকে এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে বেশি গরু আক্রান্ত হয়েছে।
আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘এই উপজেলায় ৩৯ হাজার ৭৮২টি গরু-মহিষ আছে। এগুলোর মধ্যে আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী ৬৫৫টি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে হাতে গোনা কয়েকটি। তবে এর বাইরে আরও পশু আক্রান্ত ও মৃত্যু হতে পারে। তবে ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এ অফিসে যাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেন, তাঁরাও মানুষকে সচেতন করছেন।’
তবে এ কথা মানতে নারাজ উপজেলা তালসার গ্রামের আকিমুল ইসলাম সাজু। তিনি বলেন, ‘এ গ্রামের অনেক পশু আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গেছে বেশ কয়েকটি। এ ছাড়া এখনো বাড়িতে ভুগছে অনেক পশু। এ পশুগুলোর চিকিৎসা দিচ্ছেন সার্টিফিকেটবিহীন স্থানীয় পশুচিকিৎসকেরা।’
সাজু আরও বলেন, এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার পর থেকে প্রাণিসম্পদ অফিসের কাউকে দেখা যায়নি তালসারে। এ ছাড়া সচেতনতামূলক কোনো সভাও চোখে পড়েনি।
এ রোগের চিকিৎসা নিয়ে অফিসের এলডিডিপি প্রকল্পের বকুল আহম্মেদ বলেন, ‘এই ইউনিয়নে শতকরা ৭০-৮০টি গরুর এ রোগ ধরা পড়েছে। এতে মূলত ইরাসেফ ২ গ্রাম, পিপাভেট, কিটোফেন, ডেক্সামেট দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ চিকিৎসায় ভালো হতে কোনো গরুর তিন দিন, কোনো সাত দিন, আবার কোনো গরুর বেশি দিন সময় লাগছে।’
চিকিৎসা ব্যয় প্রসঙ্গে বকুল আহম্মেদ বলেন, ‘সব মিলিয়ে দিন ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা লাগছে। কিটোপ্রোফেন, অ্যান্টিবায়োটিক আর ডেক্সামেট ব্যবহার করছি। এ রোগে এসব ওষুধ ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও কেন ব্যবহার করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব না দিলে গরুর চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবহার করা।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ইআইপি প্রকল্পের রানা আহম্মেদও বলেছেন একই কথা। তিনিও নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন এ রোগের গরুগুলোকে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) ডা. রেজাউল করিম বলেন, ‘এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে মৃত্যুহার কম। এ রোগে ছোট বাছুরের মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, এ রোগের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। সাপোর্টিং চিকিৎসা দিয়ে পশুকে সুস্থ করতে হবে। আর স্থানীয় চিকিৎসকদের নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে