গাজীপুর প্রতিনিধি
সারা দেশের মতো মুজিববর্ষ উপলক্ষে গাজীপুরেও ভূমিহীনদের উপহার দেওয়া হচ্ছে জমিসহ ঘর। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় খাসজমিতে এগুলো নির্মিত হচ্ছে। তবে গাজীপুর সদর উপজেলা ও মহানগরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের নির্দেশে শতাধিক ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে।
৩ মার্চ ঘরগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। এর পর থেকে গত কয়েক দিনে ঘরগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে উপজেলা পর্যায়ে একটি কমিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে। এ কমিটিতে ইউএনও ছাড়াও সদস্যসচিব থাকছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। কমিটিতে আরও আছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া, পিরুজালী ও ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়ন এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি স্থানে নির্মিত হচ্ছিল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৬০টি ঘর। ঘরগুলোর কাজ প্রায় ২৫ থেকে ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল।
নির্মাণাধীন ঘরসমূহের মধ্যে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কেশরিতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ৬টি, খুন্দিয়া এলাকায় ৯টি, ভাওয়াল মির্জাপুর নয়াপাড়া খালপাড় এলাকায় ১৫টি, পিরুজালী পাতিলবান্দা এলাকায় ৬০টি, মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিমপুর গোবিন্দপুর এলাকায় ১৭টি, একই ওয়ার্ডে হাতিমারা কলেজের পাশে ৮টি, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাতিয়াবো এলাকায় ১৪টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্মাণকাজ চলার সময় আশপাশের কোনো লোককে প্রকল্পের ধারেকাছে আসতে দিত না নির্মাণকারীরা। বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণে নামমাত্র সিমেন্ট দেওয়া হতো। ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের খোয়া এবং বালু।
ঘরের বিমে যেখানে চারটি রড দেওয়ার কথা, সেখানে দেওয়া হয় একটি মাত্র রড। আবার কোনোটিতে রড দেওয়াই হতো না। আবার যেসব পিলার তৈরি হয়, তাতে দেওয়া হয়েছে মাত্র দুটি করে চিকন রড।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সাদিক তানভীর বলেন, ‘যে সমস্ত ঘর নির্মাণে অনিয়ম এবং কারচুপি ধরা পড়েছে, সে সমস্ত ঘর ও এর অংশবিশেষ ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেসব ঘর পুনরায় মেরামত ও নির্মাণ শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘর নির্মাণকাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘গোপন সূত্রে জানতে পারি মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে গাজীপুর সদর উপজেলায় অনিয়ম হচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে ৩ মার্চ সরেজমিনে সদর উপজেলার বারিয়া ইউনিয়নসহ কয়েকটি এলাকায় পরিদর্শন করি। এ সময় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, দুজন এডিসিসহ অন্য কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন।’
জেলা প্রশাসক বলেন, পরিদর্শনের সময় নির্মাণাধীন ঘরের কিছু অংশ ভাঙা হয়। এ সময় নির্মাণকাজে অনিয়ম ধরা পড়ে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে এসব ঘর ভাঙার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘর নির্মাণে অনিয়ম হওয়ায় সদর ও সিটি এলাকার শতাধিক নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে পুনরায় নতুনভাবে নকশা অনুযায়ী ঘর নির্মাণ করা হবে।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘এ জন্য যারা দায়ী তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামানকে প্রধান কনে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন সরদার ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বারেক। কমিটির প্রতিবেদন পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারা দেশের মতো মুজিববর্ষ উপলক্ষে গাজীপুরেও ভূমিহীনদের উপহার দেওয়া হচ্ছে জমিসহ ঘর। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় খাসজমিতে এগুলো নির্মিত হচ্ছে। তবে গাজীপুর সদর উপজেলা ও মহানগরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের নির্দেশে শতাধিক ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে।
৩ মার্চ ঘরগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। এর পর থেকে গত কয়েক দিনে ঘরগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে উপজেলা পর্যায়ে একটি কমিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে। এ কমিটিতে ইউএনও ছাড়াও সদস্যসচিব থাকছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। কমিটিতে আরও আছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া, পিরুজালী ও ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়ন এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি স্থানে নির্মিত হচ্ছিল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৬০টি ঘর। ঘরগুলোর কাজ প্রায় ২৫ থেকে ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল।
নির্মাণাধীন ঘরসমূহের মধ্যে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কেশরিতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ৬টি, খুন্দিয়া এলাকায় ৯টি, ভাওয়াল মির্জাপুর নয়াপাড়া খালপাড় এলাকায় ১৫টি, পিরুজালী পাতিলবান্দা এলাকায় ৬০টি, মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিমপুর গোবিন্দপুর এলাকায় ১৭টি, একই ওয়ার্ডে হাতিমারা কলেজের পাশে ৮টি, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাতিয়াবো এলাকায় ১৪টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্মাণকাজ চলার সময় আশপাশের কোনো লোককে প্রকল্পের ধারেকাছে আসতে দিত না নির্মাণকারীরা। বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণে নামমাত্র সিমেন্ট দেওয়া হতো। ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের খোয়া এবং বালু।
ঘরের বিমে যেখানে চারটি রড দেওয়ার কথা, সেখানে দেওয়া হয় একটি মাত্র রড। আবার কোনোটিতে রড দেওয়াই হতো না। আবার যেসব পিলার তৈরি হয়, তাতে দেওয়া হয়েছে মাত্র দুটি করে চিকন রড।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সাদিক তানভীর বলেন, ‘যে সমস্ত ঘর নির্মাণে অনিয়ম এবং কারচুপি ধরা পড়েছে, সে সমস্ত ঘর ও এর অংশবিশেষ ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেসব ঘর পুনরায় মেরামত ও নির্মাণ শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘর নির্মাণকাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘গোপন সূত্রে জানতে পারি মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে গাজীপুর সদর উপজেলায় অনিয়ম হচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে ৩ মার্চ সরেজমিনে সদর উপজেলার বারিয়া ইউনিয়নসহ কয়েকটি এলাকায় পরিদর্শন করি। এ সময় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, দুজন এডিসিসহ অন্য কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন।’
জেলা প্রশাসক বলেন, পরিদর্শনের সময় নির্মাণাধীন ঘরের কিছু অংশ ভাঙা হয়। এ সময় নির্মাণকাজে অনিয়ম ধরা পড়ে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে এসব ঘর ভাঙার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘর নির্মাণে অনিয়ম হওয়ায় সদর ও সিটি এলাকার শতাধিক নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে পুনরায় নতুনভাবে নকশা অনুযায়ী ঘর নির্মাণ করা হবে।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘এ জন্য যারা দায়ী তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামানকে প্রধান কনে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন সরদার ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বারেক। কমিটির প্রতিবেদন পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪