Ajker Patrika

আগৈলঝাড়ায় স্টুডিও ব্যবসায় ধস

মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৩
আগৈলঝাড়ায় স্টুডিও ব্যবসায় ধস

জীবনের বিশেষ মুহূর্তগুলো ধরে রাখার অন্যতম পদ্ধতি হলো ছবি। তাই এক সময় আগৈলঝাড়া উপজেলার স্টুডিওগুলোর ছিল রমরমা ব্যবসা। তবে এখন ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন সেটের ক্যামেরাগুলো অত্যাধুনিক। পাশাপাশি বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের ক্যামেরা সহজলভ্য। তাই স্টুডিওর ব্যবসাও আগের মতো নেই।

স্থানীয় হাবুল সরদার জানান, আগে একটি ছবি তুলতে হলে দুই-তিন এলাকা ঘুরে একটি স্টুডিওতে যেতে হতো। অনেক সময় অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরেও যেতে হতো। একাধিক ছবি ছাড়া সাধারণত স্টুডিওর ফটোগ্রাফাররা ছবি তুলতেন না। তাও পাওয়া যেত দুই-তিন দিন পর। তখনকার দিনে জমজমাট ছিল বিভিন্ন এলাকার স্টুডিও ব্যবসা।

স্টুডিও ব্যবসায়ী দিপংকর মুন্সি জানান, দিনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে স্টুডিও ব্যবসায় নেমেছে ধস। আগের মতো কেউ সেজে গুঁজে আর স্টুডিওতে যান না। কারণ এখন সাজগোজ ও ছবি তোলা চাইলেই পাওয়া যায়। শার্ট, টাই চাইলেই পরিবর্তন করে দেওয়া যায়, সেভ করা না থাকলেও সেভিংয়ের পয়সা বাঁচিয়ে দেওয়া ছাড়াও চেহারাকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। তাই এখন মানুষ শুধু ছবি প্রিন্ট করতে দোকানে যায়।

দিপংকর মুন্সিসহ অন্য স্টুডিও ব্যবসায়ীরা জানান, অত্যাধুনিক সব ক্যামেরা দামে যেমন সস্তা ঠিক তেমনি সহজলভ্য। এ ছাড়া সমসাময়িক মোবাইল সেটগুলো ক্যামেরা ফাংশনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। অর্থাৎ ভিডিও, ছবি ধারণের জন্য এখন আর মানুষের স্টুডিওমুখী হতে হয় না। তাই উপজেলার স্টুডিওগুলোতে নেই মানুষের ভিড়।

চৈতি স্টুডিওর পরিচালক অশোক কুমার বলেন, মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল, স্টাফদের বেতন দৈনন্দিন খরচ মিলিয়ে দিনকে দিন স্টুডিও ব্যবসার লোকসানের ঘানি টেনে ক্লান্ত ব্যবসায়ীরা। যে কারণে বর্তমানে অনেকেই গুটিয়ে নিচ্ছেন তাদের স্টুডিও ব্যবসা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গৈলা বাজারের স্টুডিও ব্যবসায়ী রিপন রায় জানান, ডিজিটাল যুগে কেউ আর ছবি প্রিন্ট চায় না। কারণ সবাই এখন নিজেরাই ছবি তুলে। আর তা মোবাইলে ও নিজস্ব কম্পিউটারে সংগ্রহ করে রাখে। যে কারণে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশাকে বেছে নিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত