বান্দরবানের ‘সবজি ভান্ডারে’ শিমের ভালো ফলন

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ৩৩
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ০১

বান্দরবান সদর উপজেলার ‘সবজি ভান্ডার’খ্যাত গোয়ালিয়াখোলা এলাকায় চলছে শিম চাষের মৌসুম। খরচের তুলনায় ভালো ফলন ও বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকেরা শিম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১০৮ হেক্টরে সবজিটির আবাদ হয়েছে। এক একর জমিতে গড়ে প্রায় ২৫ মণ (৮০০ কেজি) ফলন হয়েছে এবার।

সরেজমিন দেখা গেছে, চলতি বছর গোয়ালিয়াখোলা এলাকা ছাড়াও ডলুপাড়া, কুহালং, গুংগুরুপাড়া, ক্যামলংপাড়া, ভরাখালী, রেইচা, রেইচা লম্বা ঘোনা, থলিপাড়া, রেইচা লম্বা রাস্তা, মুসলিমপাড়া, সুয়ালক, মাঝেরপাড়া, ছাইঙ্গা এলাকায় শিমের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় ফলন ভালো বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি খেত থেকে মৌসুমে অন্তত পাঁচবার শিম তোলা হয়। ইতিমধ্যে কোনো কোনো খেতে তিন-চারবার তোলা হয়েছে। আরও প্রায় দুই মাস শিমের ফলন থাকবে।

শিমচাষি মো. মুছা, আবদুর রাজ্জাক, হরিপদ দাশ জানান, খেত থেকে প্রথমবার শিম তুলে পাইকারি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। পর্যায়ক্রমে দাম কমে গত সপ্তাহে খেত থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আগামীতে দাম আবার বাড়বে।

গোয়ালিয়াখোলা এলাকার রেইচা লম্বাঘোনায় শিমচাষি মো. রুবেল বলেন, চলতি মৌসুমে ৩ একর ৬০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছেন। একরে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এই শিম প্রায় ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এ ছাড়া ১০০টি রেড লেডি জাতের পেঁপের চাষ করেছেন তিনি। একটি পেঁপেগাছে খরচ ৩০০ টাকা। প্রতিটি গাছে ১২০ কেজি পেঁপের ফলন হয়। এ ছাড়া বেগুন, শসা বিক্রি করেও তাঁর ভালো আয় হয়। এতে বছরে তাঁর খরচ দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। সবজি বিক্রি থেকে আয় ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা।

বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, সদর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০৮ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে অন্তত ১৫ টন ফলন হবে। এবার বান্দরবানে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় শিমের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ শিমচাষিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে আসছে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত