বিলাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শেষ হয়ে গেলেও রাঙামাটির বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি ৪৪৫ শিক্ষার্থী। অনলাইনে ভর্তির আবেদনের সুস্পষ্ট তথ্য না জানার কারণে পাহাড়ের দুর্গম এলাকার এসব শিক্ষার্থী এবার আবেদন করতে পারেনি। অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, ভর্তির বিষয়ে প্রতিবছর স্কুলের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে প্রচার করা হলেও এবার কোনো প্রচারই করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০২২ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছিল। পরে সরকারি স্কুলে ১০ ডিসেম্বর এবং বেসরকারি স্কুলে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এ বিষয়ে কোনো প্রচারই করা হয়নি। এদিকে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা দুর্গম ও নেটওয়ার্কবিহীন। এজন্য এসব বিষয়ে কোনো খোঁজ পাইনি অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ের উচ্চমান হিসাবরক্ষক শ্যামা পাংখোয়া জানান, এ বছর বিলাইছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে শিক্ষার্থী ছিল ৫৯৬ জন। যাদের ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণিতে যাওয়ার কথা। বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এবার আসন সংখ্যা ১৮০। কিন্তু প্রচারের অভাবে অনলাইনে আবেদন করেছে মাত্র ১৫১ জন শিক্ষার্থী। এতে করে বাকি ৪৪৫ শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটি নিতান্তই কর্তৃপক্ষের অবহেলা বলে অভিযোগ করছেন অভিভাবকেরা।
এদিকে বাইরে কোথাও গিয়ে পড়ালেখা করার অর্থ-সামর্থ্যও অনেকের নেই। কোনোভাবে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করা না হলে অনেকের শিক্ষাজীবন এখানেই সমাপ্ত হবে। তা ছাড়া অনলাইনে ভর্তি আবেদন না থাকায় অন্য কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করবে কি না, সে সংশয় নিয়েও দিন যাপন করছেন তাঁরা।
হারুন নামের এক স্কুলশিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, প্রতিবছর স্কুলে ভর্তির জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানানো হতো। কিন্তু এ বছর এমন ব্যানার ও প্রচার কিছুই দেখা যায়নি। ফলে কোনো সূত্র থেকে অনলাইন ভর্তির আবেদনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
একই এলাকার আরেক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এখন যদি কোনোভাবে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভর্তির সুযোগ না পায়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, স্কুলে ভর্তির জন্য পাঁচটি ব্যানার ছাপানো হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয় বাজারসহ বিভিন্ন জংশনে টানিয়ে দেওয়ার। কিন্তু সেই পাঁচটি ব্যানার স্কুলে পচে যাচ্ছে।
বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলে ১৮০ শিক্ষার্থীর কোটার বিপরীতে অনলাইনে আবেদন পাওয়া গেছে ১৫১ জনের। বেশি শিক্ষার্থী হলে শিক্ষার মান থাকবে না। সে কারণে আমি অনলাইনে আবেদনের চেয়ে আর বেশি ছাত্র ভর্তি নেব না। ছাত্র ভর্তির আবেদন টার্গেটের কম হওয়ায় এ বছর লটারির প্রয়োজন পড়েনি।’
প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম আরও বলেন ‘ব্যানার ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু অনলাইনে ভর্তির আবেদন হওয়ায় ব্যানার টানানো হয়নি। এ বিষয়ে ২৪ তারিখ মিটিং হবে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনলাইন ভর্তির তথ্য না জানার তো কথা না। তবু সমস্যা নেই, আমরা তাদের ভর্তি করে নেব।’
সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শেষ হয়ে গেলেও রাঙামাটির বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি ৪৪৫ শিক্ষার্থী। অনলাইনে ভর্তির আবেদনের সুস্পষ্ট তথ্য না জানার কারণে পাহাড়ের দুর্গম এলাকার এসব শিক্ষার্থী এবার আবেদন করতে পারেনি। অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, ভর্তির বিষয়ে প্রতিবছর স্কুলের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে প্রচার করা হলেও এবার কোনো প্রচারই করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০২২ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছিল। পরে সরকারি স্কুলে ১০ ডিসেম্বর এবং বেসরকারি স্কুলে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এ বিষয়ে কোনো প্রচারই করা হয়নি। এদিকে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা দুর্গম ও নেটওয়ার্কবিহীন। এজন্য এসব বিষয়ে কোনো খোঁজ পাইনি অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ের উচ্চমান হিসাবরক্ষক শ্যামা পাংখোয়া জানান, এ বছর বিলাইছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে শিক্ষার্থী ছিল ৫৯৬ জন। যাদের ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণিতে যাওয়ার কথা। বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এবার আসন সংখ্যা ১৮০। কিন্তু প্রচারের অভাবে অনলাইনে আবেদন করেছে মাত্র ১৫১ জন শিক্ষার্থী। এতে করে বাকি ৪৪৫ শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটি নিতান্তই কর্তৃপক্ষের অবহেলা বলে অভিযোগ করছেন অভিভাবকেরা।
এদিকে বাইরে কোথাও গিয়ে পড়ালেখা করার অর্থ-সামর্থ্যও অনেকের নেই। কোনোভাবে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করা না হলে অনেকের শিক্ষাজীবন এখানেই সমাপ্ত হবে। তা ছাড়া অনলাইনে ভর্তি আবেদন না থাকায় অন্য কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করবে কি না, সে সংশয় নিয়েও দিন যাপন করছেন তাঁরা।
হারুন নামের এক স্কুলশিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, প্রতিবছর স্কুলে ভর্তির জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানানো হতো। কিন্তু এ বছর এমন ব্যানার ও প্রচার কিছুই দেখা যায়নি। ফলে কোনো সূত্র থেকে অনলাইন ভর্তির আবেদনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
একই এলাকার আরেক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এখন যদি কোনোভাবে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভর্তির সুযোগ না পায়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, স্কুলে ভর্তির জন্য পাঁচটি ব্যানার ছাপানো হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয় বাজারসহ বিভিন্ন জংশনে টানিয়ে দেওয়ার। কিন্তু সেই পাঁচটি ব্যানার স্কুলে পচে যাচ্ছে।
বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলে ১৮০ শিক্ষার্থীর কোটার বিপরীতে অনলাইনে আবেদন পাওয়া গেছে ১৫১ জনের। বেশি শিক্ষার্থী হলে শিক্ষার মান থাকবে না। সে কারণে আমি অনলাইনে আবেদনের চেয়ে আর বেশি ছাত্র ভর্তি নেব না। ছাত্র ভর্তির আবেদন টার্গেটের কম হওয়ায় এ বছর লটারির প্রয়োজন পড়েনি।’
প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম আরও বলেন ‘ব্যানার ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু অনলাইনে ভর্তির আবেদন হওয়ায় ব্যানার টানানো হয়নি। এ বিষয়ে ২৪ তারিখ মিটিং হবে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনলাইন ভর্তির তথ্য না জানার তো কথা না। তবু সমস্যা নেই, আমরা তাদের ভর্তি করে নেব।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে