রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘২০২৩ সালের জুনে পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার আন্তনগর ট্রেন চালু হবে। উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করে এখানকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও কৃষি-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘উত্তরের আটটি জেলা এখন সম্ভাবনার দ্বার হিসেবে বিবেচিত। এ অঞ্চলের সমতলের চাসহ কৃষিজাত পণ্য দেশের বড় অংশের চাহিদা পূরণ করছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে দেশের অর্থ-বাণিজ্য মজবুত হবে।’

গতকাল শনিবার পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে পঞ্চগড়-সান্তাহার রুটে আন্তনগর ট্রেন দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দোলনচাঁপা ট্রেনটি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন-সান্তাহার (ভায়া রংপুর-বগুড়া) রুটে চলাচল করবে।

পঞ্চগড় রেল স্টেশন আরও আধুনিকায়ন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে পাঁচ তলা ভবন হবে। ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থাকবে। যাত্রীদের থাকার আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। কমিউনিটি সেন্টার করা হবে। রেলের সর্বোচ্চ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে।’

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী) মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলামসহ রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সান্তাহার থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত রেলরুটে চলাচলকারী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ১৯৮৬ সালে উদ্বোধন করা হলেও পঞ্চগড়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। পঞ্চগড়সহ ঠাকুরগাঁওবাসীর অনেক দিনের দাবির প্রেক্ষিতে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিসটি গতকাল শনিবার থেকে চালু হলো।

পঞ্চগড়-সান্তাহার রেল রুটে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হওয়ার খবরে স্বস্তির পাশাপাশি অনেকটাই খুশির আমেজ দেখা গেছে পঞ্চগড়বাসী ও এই রুটে চলাচলকারীদের মাঝে।

এ নিয়ে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, ‘চিকিৎসা ক্ষেত্রে বা অন্য কাজে রেলপথে পঞ্চগড়ের মানুষের রংপুর যেতে অনেকটাই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ট্রেনটির। কিছুদিন আগে রেলপথমন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের উপস্থিতি রেলস্টেশনে জেলাবাসীর পক্ষ থেকে ট্রেনটি চেয়ে দাবি তোলা হয়। আজ (শনিবার) পঞ্চগড়-সান্তাহার রুটে আমাদের দাবির ট্রেনটি উদ্বোধনের মাধ্যমে চলাচল শুরু হলো। এতে উত্তরাঞ্চলের সব স্তরের মানুষ উপকৃত হতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে পঞ্চগড়ের সঙ্গে রংপুর বিভাগের যে সম্পর্ক তা ট্রেন চালু হওয়ায় আরও প্রভাব ফেলবে।’