রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমিতে গড়ে উঠছে ইটভাটা ও শিল্পকারখানাসহ নানা স্থাপনা। এতে গত ৫ বছরে আবাদি জমি কমেছে প্রায় ২০০ হেক্টর। স্থানীয়রা জানান, কৃষি নীতিমালা থাকলেও এর বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের নেই কোনো তৎপরতা। এতে করে যে হারে জমি কমছে, তাতে আগামীতে আবাদি জমির সংকট দেখা যেতে পারে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহীনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ইটভাটাসহ স্থাপনা নির্মাণে কৃষি অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাড়িঘর নির্মাণ, ইটভাটা ও শিল্পকারখানা ও পুকুর খননসহ নানা কারণে দিন দিন ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মাটি কেটে কিংবা অন্যভাবে ফসলি জমির ক্ষতি করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলায় মোট ফসলি জমির পরিমাণ ৯ হাজার ২৬০ হেক্টর। এর মধ্যে এক ফসলি জমি ১৯০, দো-ফসলি জমি ৬ হাজার ৭৪৭, তিন ফসলি ২ হাজার ২৯৩ এবং চার ফসলি জমির পরিমাণ ৩০ হেক্টর। গত ৫ বছরে আবাদি জমি হ্রাস পেয়েছে প্রায় ২০০ হেক্টর।
জানা গেছে, উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে প্রায় ৪০টি এবং কলকারখানার সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। এগুলোর অধিকাংশই গড়ে উঠেছে ফসলি জমিতে। ১৯৯৯ সালে সরকার জাতীয় কৃষি নীতি প্রণয়ন করে। এতে বলা হয় ফসলি জমিতে কোনা ধরনের ইটভাটা ও শিল্পকারখানাসহ কোনো স্থাপনা গড়ে তোলা যাবে না। তবে কৃষির সেই নীতিমালা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকার কৃষিজমিতে একের পর এক গড়ে উঠেছে কলকারখানা ও ইটভাটা। এতে পরিবেশ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। আবার জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বসতি স্থাপনেও কমছে আবাদি জমি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন অবৈধভাবে আবাদি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। অনেক এলাকা থেকে ভেকু মেশিন (খননযন্ত্র) দিয়ে অবৈধভাবে মাটি খনন করে ইটভাটা ও শিল্পকারখানায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের তমুজ উদ্দীন নামে এক কৃষক বলেন, ‘এই ইউনিয়নে মাত্র ২০০ গজের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে তিনটি ইটভাটা। এভাবে কৃষিজমির ওপর একের পর এক ইটভাটা গড়ে ওঠায় ফসলি জমি কমে যাচ্ছে।’
একই ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন, কাওসার মিয়া, আলমগীর হোসেন ও তারেক হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করছি শৈশবকাল থেকেই। দাদা-বাবার হাত ধরে কৃষিকাজে হাতেখড়ি। আগে যে পরিমাণ জমিতে আমাদের পরিবার চাষাবাদ করত, এখন তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ জমিতে ফসল ফলাই।’
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ইটভাটা ও শিল্পকারখানা যেভাবে কৃষিজমি গিলে খাচ্ছে দেখা যাবে এ উপজেলায় ফসল ফলানোর মতো কোনো জমিই আর হয়তো থাকবে না। এতে করে খাদ্যসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন, প্রতিবছর বেশ কয়েক শতাংশ হারে কমছে সৈয়দপুরে আবাদি জমির পরিমাণ। এতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এ অঞ্চলে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমিতে গড়ে উঠছে ইটভাটা ও শিল্পকারখানাসহ নানা স্থাপনা। এতে গত ৫ বছরে আবাদি জমি কমেছে প্রায় ২০০ হেক্টর। স্থানীয়রা জানান, কৃষি নীতিমালা থাকলেও এর বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের নেই কোনো তৎপরতা। এতে করে যে হারে জমি কমছে, তাতে আগামীতে আবাদি জমির সংকট দেখা যেতে পারে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহীনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ইটভাটাসহ স্থাপনা নির্মাণে কৃষি অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাড়িঘর নির্মাণ, ইটভাটা ও শিল্পকারখানা ও পুকুর খননসহ নানা কারণে দিন দিন ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মাটি কেটে কিংবা অন্যভাবে ফসলি জমির ক্ষতি করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলায় মোট ফসলি জমির পরিমাণ ৯ হাজার ২৬০ হেক্টর। এর মধ্যে এক ফসলি জমি ১৯০, দো-ফসলি জমি ৬ হাজার ৭৪৭, তিন ফসলি ২ হাজার ২৯৩ এবং চার ফসলি জমির পরিমাণ ৩০ হেক্টর। গত ৫ বছরে আবাদি জমি হ্রাস পেয়েছে প্রায় ২০০ হেক্টর।
জানা গেছে, উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে প্রায় ৪০টি এবং কলকারখানার সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। এগুলোর অধিকাংশই গড়ে উঠেছে ফসলি জমিতে। ১৯৯৯ সালে সরকার জাতীয় কৃষি নীতি প্রণয়ন করে। এতে বলা হয় ফসলি জমিতে কোনা ধরনের ইটভাটা ও শিল্পকারখানাসহ কোনো স্থাপনা গড়ে তোলা যাবে না। তবে কৃষির সেই নীতিমালা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকার কৃষিজমিতে একের পর এক গড়ে উঠেছে কলকারখানা ও ইটভাটা। এতে পরিবেশ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। আবার জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বসতি স্থাপনেও কমছে আবাদি জমি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন অবৈধভাবে আবাদি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। অনেক এলাকা থেকে ভেকু মেশিন (খননযন্ত্র) দিয়ে অবৈধভাবে মাটি খনন করে ইটভাটা ও শিল্পকারখানায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের তমুজ উদ্দীন নামে এক কৃষক বলেন, ‘এই ইউনিয়নে মাত্র ২০০ গজের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে তিনটি ইটভাটা। এভাবে কৃষিজমির ওপর একের পর এক ইটভাটা গড়ে ওঠায় ফসলি জমি কমে যাচ্ছে।’
একই ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন, কাওসার মিয়া, আলমগীর হোসেন ও তারেক হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করছি শৈশবকাল থেকেই। দাদা-বাবার হাত ধরে কৃষিকাজে হাতেখড়ি। আগে যে পরিমাণ জমিতে আমাদের পরিবার চাষাবাদ করত, এখন তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ জমিতে ফসল ফলাই।’
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ইটভাটা ও শিল্পকারখানা যেভাবে কৃষিজমি গিলে খাচ্ছে দেখা যাবে এ উপজেলায় ফসল ফলানোর মতো কোনো জমিই আর হয়তো থাকবে না। এতে করে খাদ্যসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন, প্রতিবছর বেশ কয়েক শতাংশ হারে কমছে সৈয়দপুরে আবাদি জমির পরিমাণ। এতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এ অঞ্চলে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে