সম্পাদকীয়
আবদুল বারেক সরকার ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একজন পিয়ন ছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালে অবসরে গিয়েও এই অফিসের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তিনি হয়েছেন ২০০ কোটি টাকার মালিক! কীভাবে হলেন? তিনি কি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন?
আজকের পত্রিকায় গত মঙ্গলবার আবদুল বারেক সরকারকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সরকার বদলের পর অবশ্য আবদুল বারেক সরকার গা-ঢাকা দিয়েছেন। পরিশ্রম করে, সৎপথে সম্পদ অর্জন করলে তো সরকার গঠন বা পতনে তাঁর ভয় বা উৎসাহী হওয়ার কিছু থাকতে পারে না। তাঁর সম্পদের মালিক হওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই বিগত সরকারের কোনো না কোনো ভূমিকা ছিল। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তাঁর খুঁটির জোর ছিল মূলত দুটি—তিনি সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের চাচা এবং নিজেদের জায়গায় ভাড়ায় সাবরেজিস্ট্রি অফিস পরিচালিত হতো। সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন তিনি। নকলনবিশ থেকে পদোন্নতি পেয়ে পিয়ন হয়েছিলেন বারেক। এই ‘সামান্য’ চাকরি করেই তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হতে পারলে প্রতিমন্ত্রীর চাচা ২০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হতে পারবেন না কেন? আবদুল বারেকের সম্পদের মধ্যে রয়েছে তারাকান্দা শহরে ৬০ শতাংশ জমি, এর বাইরে আড়াই একর কৃষিজমি, দুই একর জমির মৎস্য খামার, গ্রামের বাড়িতে বহুতল ভবন এবং ময়মনসিংহ শহরে শেয়ারে ছয়তলা বাড়ি ও মার্কেট।
বাংলাদেশে ‘সিস্টেম’মতো কাজ করতে পারলে বিশাল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কোনো অসম্ভব ব্যাপার না! বারেক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দলিল করার একটা নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। সেটা ছিল সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। এর কমে কোনো কাজ করাতে পারতেন না কেউ। টাকা না দিলে তো কাজই হতো না। এ রকম একটি জবরদস্তির সিন্ডিকেট বারেকের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল।
সরকার এবং সরকারি দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই বারেকের মতো লোভী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের উত্থান ঘটে। আবার সাধারণ মানুষের নীরবতাও অনেক সময় এই ধরনের ব্যক্তিদের ভয়ংকর করে তোলে। বিগত সরকারের আমলে দেশের আনাচকানাচে আবদুল বারেক সরকারের মতো অনেকেই যে সম্পদশালী হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন, সে খবর সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। শুধু তারাকান্দায় একজন আবদুল বারেক সরকারের উত্থান হয়েছে, তা তো নয়। সারা দেশে এমন আলাউদ্দিনের চেরাগ পাওয়া আরও অনেকেই আছেন, যাঁরা সরকার পরিবর্তনের পর বিপদের আশঙ্কায় গা-ঢাকা দিয়েছেন। যাঁরা গা-ঢাকা দিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সঙ্গে করে নিয়ে যেতে সক্ষম হননি। এই ‘পলাতক’ ব্যক্তিদের পাওয়া না গেলেও অবৈধভাবে অর্জিত তাঁদের সম্পদ যদি সরকার বাজেয়াপ্ত করে তা সম্পদহীন মানুষের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা করে, তাহলে কি বিষয়টি ভালো হয় না? বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটা কিছুটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
আবদুল বারেক সরকার ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একজন পিয়ন ছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালে অবসরে গিয়েও এই অফিসের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তিনি হয়েছেন ২০০ কোটি টাকার মালিক! কীভাবে হলেন? তিনি কি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন?
আজকের পত্রিকায় গত মঙ্গলবার আবদুল বারেক সরকারকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সরকার বদলের পর অবশ্য আবদুল বারেক সরকার গা-ঢাকা দিয়েছেন। পরিশ্রম করে, সৎপথে সম্পদ অর্জন করলে তো সরকার গঠন বা পতনে তাঁর ভয় বা উৎসাহী হওয়ার কিছু থাকতে পারে না। তাঁর সম্পদের মালিক হওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই বিগত সরকারের কোনো না কোনো ভূমিকা ছিল। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তাঁর খুঁটির জোর ছিল মূলত দুটি—তিনি সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের চাচা এবং নিজেদের জায়গায় ভাড়ায় সাবরেজিস্ট্রি অফিস পরিচালিত হতো। সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন তিনি। নকলনবিশ থেকে পদোন্নতি পেয়ে পিয়ন হয়েছিলেন বারেক। এই ‘সামান্য’ চাকরি করেই তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হতে পারলে প্রতিমন্ত্রীর চাচা ২০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হতে পারবেন না কেন? আবদুল বারেকের সম্পদের মধ্যে রয়েছে তারাকান্দা শহরে ৬০ শতাংশ জমি, এর বাইরে আড়াই একর কৃষিজমি, দুই একর জমির মৎস্য খামার, গ্রামের বাড়িতে বহুতল ভবন এবং ময়মনসিংহ শহরে শেয়ারে ছয়তলা বাড়ি ও মার্কেট।
বাংলাদেশে ‘সিস্টেম’মতো কাজ করতে পারলে বিশাল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কোনো অসম্ভব ব্যাপার না! বারেক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দলিল করার একটা নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। সেটা ছিল সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। এর কমে কোনো কাজ করাতে পারতেন না কেউ। টাকা না দিলে তো কাজই হতো না। এ রকম একটি জবরদস্তির সিন্ডিকেট বারেকের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল।
সরকার এবং সরকারি দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই বারেকের মতো লোভী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের উত্থান ঘটে। আবার সাধারণ মানুষের নীরবতাও অনেক সময় এই ধরনের ব্যক্তিদের ভয়ংকর করে তোলে। বিগত সরকারের আমলে দেশের আনাচকানাচে আবদুল বারেক সরকারের মতো অনেকেই যে সম্পদশালী হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন, সে খবর সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। শুধু তারাকান্দায় একজন আবদুল বারেক সরকারের উত্থান হয়েছে, তা তো নয়। সারা দেশে এমন আলাউদ্দিনের চেরাগ পাওয়া আরও অনেকেই আছেন, যাঁরা সরকার পরিবর্তনের পর বিপদের আশঙ্কায় গা-ঢাকা দিয়েছেন। যাঁরা গা-ঢাকা দিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সঙ্গে করে নিয়ে যেতে সক্ষম হননি। এই ‘পলাতক’ ব্যক্তিদের পাওয়া না গেলেও অবৈধভাবে অর্জিত তাঁদের সম্পদ যদি সরকার বাজেয়াপ্ত করে তা সম্পদহীন মানুষের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা করে, তাহলে কি বিষয়টি ভালো হয় না? বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটা কিছুটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৫ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্র পরিচালনায় যে দল বা জোট এসেছে, তারা কেউই জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নেয়নি। এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যন্ত এমনভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা জনগণের শাসক ও শোষকে পরিণত হয়েছেন। নতুন
৫ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী সফল ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের তিন মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারেরও তিন মাস পূর্ণ হলো। এ কথা ঠিক, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ছিল মূলত মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আর বেদনার বহিঃপ্রকাশ। তবে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, এটা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফল। তাঁরা বলার চেষ্টা করেন, আন্দো
৫ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
৯ দিন আগে