জাহাঙ্গীর হোসেন, নকলা (শেরপুর)
শেরপুরের নকলায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রায় বাড়িতেই কেউ না কেউ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, জ্বর ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসকেরা বলছেন, সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হলে অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসতে চান না। আসলেও অনেকে নমুনা পরীক্ষা করাতে রাজি হন না। যারা আসছেন তাদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৪০ জনের জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথার সমস্যা রয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ ঠান্ডাজনিত সমস্যাকে করোনার উপসর্গ মনে করে। অনেকেই ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছেন। করোনা ধরা পড়ার ভয়ে চিকিৎসার জন্য অনেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে চাচ্ছেন না।
উরফা ইউনিয়নের শালখা চান্দেরকান্দা গ্রামের আব্দুল হাকিম (২৫) জানান, ‘তিনিসহ তার পরিবারের সবাই জ্বর, শরীর ব্যথা ও সর্দিকাশিতে আক্রান্ত। এসবকে মৌসুমি রোগবালাই মনে করে তারা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করছেন।’
পৌরসভার কায়দা মহল্লার সুরুজ্জামান (৭০) জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৬ দিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। তিনি জানালেন, জ্বর একটু কমলেও শ্বাসকষ্ট এখনো কমছে না।
কলাপাড়া মহল্লার নজরুল ইসলাম (৫০) কয়েক দিন ধরে সর্দিকাশি ও জ্বর ভুগছেন। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে পারছিলেন না। উপায়ান্ত না দেখে ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এখন তিনি কিছুটা সুস্থ বলে জানান।
গণপদ্দী ইউনিয়নের বন্দগজারিয়া গ্রামের এক সন্তানের জননী ফেরদৌসী বেগম (২০) জানান, জ্বর, শরীর ব্যথা ও পেটের ব্যথা নিয়ে ৪ দিন আগে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এখন পেটের ব্যথা একটু কমলেও জ্বর ও শরীর ব্যথা কমছে না।
পৌরসভার লাভা মহল্লার পারভীন বেগম (৪০) বলেন, ‘প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৯ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এখন তার সমস্যা কিছুটা কমেছে।’
উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) ডাটা অপারেটর ফারুক হোসেন জানান, ‘তার চার সদস্যের পরিবারে তিনজন সর্দিকাশি ও জ্বরে ভুগছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করে সবাই এখন সুস্থ্যের দিকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রতিবছর শীতের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা দেয়। তবে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি চলছে। মানুষ সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হলেও করোনার শনাক্তের ভয়ে কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে চায় না। আসলেও নমুনা পরীক্ষা করাতে রাজি হন না। যারা আসছেন তাদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৪০ জনের জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথার মথ সমস্যা রয়েছে। অনেকে এসব সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক গোলাম মোল্লা জানান, ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। আপাতত সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। মানুষের ভেতরে সচেতনতাবোধ কম। তা ছাড়া করোনা নিয়েও একটা ভীতি কাজ করছে। জ্বর, ঠান্ডা কাশি হলে অনেকেই মনে করেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শেরপুরের নকলায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রায় বাড়িতেই কেউ না কেউ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, জ্বর ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসকেরা বলছেন, সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হলে অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসতে চান না। আসলেও অনেকে নমুনা পরীক্ষা করাতে রাজি হন না। যারা আসছেন তাদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৪০ জনের জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথার সমস্যা রয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ ঠান্ডাজনিত সমস্যাকে করোনার উপসর্গ মনে করে। অনেকেই ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছেন। করোনা ধরা পড়ার ভয়ে চিকিৎসার জন্য অনেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে চাচ্ছেন না।
উরফা ইউনিয়নের শালখা চান্দেরকান্দা গ্রামের আব্দুল হাকিম (২৫) জানান, ‘তিনিসহ তার পরিবারের সবাই জ্বর, শরীর ব্যথা ও সর্দিকাশিতে আক্রান্ত। এসবকে মৌসুমি রোগবালাই মনে করে তারা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করছেন।’
পৌরসভার কায়দা মহল্লার সুরুজ্জামান (৭০) জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৬ দিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। তিনি জানালেন, জ্বর একটু কমলেও শ্বাসকষ্ট এখনো কমছে না।
কলাপাড়া মহল্লার নজরুল ইসলাম (৫০) কয়েক দিন ধরে সর্দিকাশি ও জ্বর ভুগছেন। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে পারছিলেন না। উপায়ান্ত না দেখে ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এখন তিনি কিছুটা সুস্থ বলে জানান।
গণপদ্দী ইউনিয়নের বন্দগজারিয়া গ্রামের এক সন্তানের জননী ফেরদৌসী বেগম (২০) জানান, জ্বর, শরীর ব্যথা ও পেটের ব্যথা নিয়ে ৪ দিন আগে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এখন পেটের ব্যথা একটু কমলেও জ্বর ও শরীর ব্যথা কমছে না।
পৌরসভার লাভা মহল্লার পারভীন বেগম (৪০) বলেন, ‘প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৯ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এখন তার সমস্যা কিছুটা কমেছে।’
উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) ডাটা অপারেটর ফারুক হোসেন জানান, ‘তার চার সদস্যের পরিবারে তিনজন সর্দিকাশি ও জ্বরে ভুগছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করে সবাই এখন সুস্থ্যের দিকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রতিবছর শীতের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা দেয়। তবে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি চলছে। মানুষ সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হলেও করোনার শনাক্তের ভয়ে কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে চায় না। আসলেও নমুনা পরীক্ষা করাতে রাজি হন না। যারা আসছেন তাদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৪০ জনের জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথার মথ সমস্যা রয়েছে। অনেকে এসব সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক গোলাম মোল্লা জানান, ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। আপাতত সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। মানুষের ভেতরে সচেতনতাবোধ কম। তা ছাড়া করোনা নিয়েও একটা ভীতি কাজ করছে। জ্বর, ঠান্ডা কাশি হলে অনেকেই মনে করেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে