চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলার জাফরপুর ও হায়দারপুর গ্রামের ফসলি জমি সরকারি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষক-কৃষাণীরা। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন নিজেদের জমির সামনে থেকে এক মানববন্ধনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে তাঁরা এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
জমির মালিক ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের জাফরপুর ও হায়দারপুর গ্রামের মাঝখানে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ রোডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর। সেখানে একটি ট্রেনিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কৃষকদের দাবি, জাফরপুর ও হায়দারপুরের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর মৌজার যে জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে তা তিন ফসলি জমি। এ সকল জমিতে ১৪ মাসে ৪টি ফসল হয়। এ জমি অধিগ্রহণের জন্য দিতে রাজি নন তাঁরা।
মানববন্ধনে কৃষকেরা বলেন, ৩৮ ও ৩৯ নম্বর মৌজায় বিজিবির ট্রেনিং সেন্টারের জন্য বসত বাড়িসহ প্রায় ৩০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হবে। আমরা আমাদের কৃষি জমি হারাতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি নষ্ট করা হবে না, কোনো কৃষি জমিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে না। আমরা কোনো মূল্যেই আমাদের কৃষি জমি দিতে চাই না।
মানববন্ধনে আসা কৃষক রজব আলী বলেন, জাফরপুর ও হায়দারপুরের গ্রামের মানুষেরা চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। ৩৮ ও ৩৯ নম্বর মৌজায় যে সকল চাষযোগ্য জমি রয়েছে সেখানে ১৪ মাসে ৪ ফসল উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কী?
এ সময় কৃষক-কৃষাণীরা আরও বলেন, আমাদের জমি নিয়ে নেওয়া চেষ্টা করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব। কোনোভাবেই আমাদের থেকে জমি নিতে দেব না।
কৃষি জমি অধিগ্রহণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কৃষক রবিউল মণ্ডল, সোহেল মণ্ডল, হামিদুল মণ্ডল ও মাজেদ আলী জানান, এর আগে বিজিবি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ২৭৫ বিঘা ও হায়দারপুর মৌজায় ৭৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জেলা স্টেডিয়ামে নির্মাণের জন্য জাফরপুর মৌজায় ৫০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ১৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশন প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ২০ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
সামাজিক বন বিভাগ কার্যালয় ও নার্সারি প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ১৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ব্র্যাক ও গণসাহায্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও জাফরপুর ও হায়দারপুরে ব্যক্তিমালিকানা জমির ওপর খাল খননের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রায় ৩৫০ বিঘা ফসলি জমি অধিগ্রহণ করেছে।
সর্বশেষ বিজিবির ট্রেনিং সেন্টার খোলার নামে বর্তমানে বসত বাড়িসহ প্রায় ৩০০ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণের কথা জানানো হয়েছে এটি বাস্তবায়ন হলে জাফরপুর ও হায়দারপুর গ্রামে কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না।
এ সময় কৃষক মাজেদ আলী বলেন, ‘আমরা গ্রামবাসীরা কোনোভাবেই কৃষি জমি আর দেব না।
চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলার জাফরপুর ও হায়দারপুর গ্রামের ফসলি জমি সরকারি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষক-কৃষাণীরা। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন নিজেদের জমির সামনে থেকে এক মানববন্ধনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে তাঁরা এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
জমির মালিক ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের জাফরপুর ও হায়দারপুর গ্রামের মাঝখানে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ রোডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর। সেখানে একটি ট্রেনিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কৃষকদের দাবি, জাফরপুর ও হায়দারপুরের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর মৌজার যে জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে তা তিন ফসলি জমি। এ সকল জমিতে ১৪ মাসে ৪টি ফসল হয়। এ জমি অধিগ্রহণের জন্য দিতে রাজি নন তাঁরা।
মানববন্ধনে কৃষকেরা বলেন, ৩৮ ও ৩৯ নম্বর মৌজায় বিজিবির ট্রেনিং সেন্টারের জন্য বসত বাড়িসহ প্রায় ৩০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হবে। আমরা আমাদের কৃষি জমি হারাতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি নষ্ট করা হবে না, কোনো কৃষি জমিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে না। আমরা কোনো মূল্যেই আমাদের কৃষি জমি দিতে চাই না।
মানববন্ধনে আসা কৃষক রজব আলী বলেন, জাফরপুর ও হায়দারপুরের গ্রামের মানুষেরা চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। ৩৮ ও ৩৯ নম্বর মৌজায় যে সকল চাষযোগ্য জমি রয়েছে সেখানে ১৪ মাসে ৪ ফসল উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কী?
এ সময় কৃষক-কৃষাণীরা আরও বলেন, আমাদের জমি নিয়ে নেওয়া চেষ্টা করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব। কোনোভাবেই আমাদের থেকে জমি নিতে দেব না।
কৃষি জমি অধিগ্রহণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কৃষক রবিউল মণ্ডল, সোহেল মণ্ডল, হামিদুল মণ্ডল ও মাজেদ আলী জানান, এর আগে বিজিবি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ২৭৫ বিঘা ও হায়দারপুর মৌজায় ৭৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জেলা স্টেডিয়ামে নির্মাণের জন্য জাফরপুর মৌজায় ৫০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ১৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশন প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ২০ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
সামাজিক বন বিভাগ কার্যালয় ও নার্সারি প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ১৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ব্র্যাক ও গণসাহায্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও জাফরপুর ও হায়দারপুরে ব্যক্তিমালিকানা জমির ওপর খাল খননের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রায় ৩৫০ বিঘা ফসলি জমি অধিগ্রহণ করেছে।
সর্বশেষ বিজিবির ট্রেনিং সেন্টার খোলার নামে বর্তমানে বসত বাড়িসহ প্রায় ৩০০ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণের কথা জানানো হয়েছে এটি বাস্তবায়ন হলে জাফরপুর ও হায়দারপুর গ্রামে কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না।
এ সময় কৃষক মাজেদ আলী বলেন, ‘আমরা গ্রামবাসীরা কোনোভাবেই কৃষি জমি আর দেব না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে