বেশির ভাগ সময় থাকে বন্ধ

মেঘনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৫২
Thumbnail image

মেঘনা উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় জনবল সংকটের কারণে অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকছে। এতে সেবাপ্রত্যাশীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এই কার্যালয়ে সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী পদের মধ্যে রয়েছেন দুজন। এর মধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অতিরিক্ত হিসেবে মেঘনায় দায়িত্ব পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই কার্যালয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে জহিরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বুড়িচং উপজেলায় কর্মরত থাকার পাশাপাশি মেঘনায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অডিটর মো. বিল্লাল হোসেন। এই দুজনে চলছে কার্যালয়টি।

উপজেলা পরিষদ ভবনের চতুর্থ তলায় কার্যালয়টির অবস্থান। সরেজমিনে গত রোববার এই কার্যালয়ে গিয়েও তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

গত রোববার পেনশনভোগী মো. শামসুল হক এসেছিলেন এই কার্যালয়ে। দরজায় তালা ঝুলতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অফিসটিতে যখনই আসি তখনই বন্ধ পাই। এই বয়সে জার্নি করে বাড়ি থেকে এসে যদি কাজ না করতে পারি, তবে খুব দুঃখ লাগে।’

ঠিকাদার মো. হুমায়ুন কবির মৃধা ও মো. সেলিম মিয়া বলেন, হিসাবরক্ষণ কার্যালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়। সময়মতো বিল না পেলে কাজের অগ্রগতি হয় না। নিজেদেরও আর্থিক সংকটে পড়তে হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আমি গত শনিবারও অফিস করে এসেছি।’

উপজেলা পরিষদের সিএ মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেতনভাতা, পেনশনভোগীসহ প্রতিদিন অনেকেই এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে যান।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রবীর কুমার রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত