Ajker Patrika

আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি স্মৃতি জাদুঘরটি

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ০১
আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি   স্মৃতি জাদুঘরটি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামের নাম বদলে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নামে রাখা হয়েছে। গ্রামটির নতুন নাম বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর। তাঁর নামেই রামনগর হাই স্কুলের পাশে ২০০৮ সালে গড়ে তোলা হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। তবে জাদুঘরটি আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। জাদুঘরে যে সব জিনিসপত্র থাকার কথা, তার প্রায় কিছুই নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা বাড়ানো হোক। জাদুঘরটি পূর্ণাঙ্গ করা হোক। এ ছাড়া জেলা স্টেডিয়ামের নামকরণ হোক তাঁর নামে।

সরেজমিনে গত বুধবার দেখা গেছে, পাঠাগারে বেশ কিছু বই আছে। তবে জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ব্যবহার করা কোনো স্মারক নেই। গ্রন্থাগারে মাত্র কয়েকজন পাঠক রয়েছেন।

এ সময় ইমরান হোসাইন নামের একজন বলেন, ‘আমি নিয়মিত পাঠক। গ্রন্থাগারে এসে নিয়মিত মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারছি। কিন্তু জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠের জীবন ও কর্মের স্মৃতিচিহ্ন না থাকায় আমরা হতাশ।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক পাঠক বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বই না থাকায় দিন দিন পাঠকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। ভবনটি স্কুলের সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে থাকায় স্কুল গেট দিয়ে ঢুকতে হয়। স্কুল চলাকালে সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারেন না। আলাদা ফটক হলে ভালো হয়।

বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান বিউটি আক্তার বলেন, ‘২০০৮ সালের পর এখানে নতুন কোনো বই আসেনি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠকেরা নতুন নতুন বই প্রতিনিয়ত খোঁজেন। বেশ কিছু সমস্যার চাহিদাপত্র জেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সমাধান করা হবে।’

গ্রন্থাগার ও জাদুঘরের জমিদাতা এবং কেয়ারটেকার এনামুল হক কাজী বলেন, ‘গ্রামের নাম রামনগর থেকে মতিউরনগর করা হয়েছে। কিন্তু স্কুল ও পোস্ট অফিসের নাম এখনো বদল করা হয়নি। প্রশাসনের কাছে ইউনিয়নের নাম মতিউরনগর করার দাবি জানাই।’

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দাবি, মতিউর রহমান গ্রন্থাগারে বইয়ের পাশাপাশি স্মৃতি জাদুঘরে তাঁর ব্যবহার করা স্মারক ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হোক।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো আমাদেরে জানালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত