আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আধুনিক যুগেও চলছে সনাতনী পদ্ধতিতে হাত-পা ভাঙা জোড়া দেওয়ার চিকিৎসা। উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমদন ও দানিয়াপাড়া গ্রামে ৫-৬ জন হাতুড়ে কবিরাজ দোকান নিয়ে দীর্ঘদিন নিয়মিত এ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম কয়েক দিন ভাঙা হাত-পায়ে গাছের ছাল-বাকল-লতাপাতা লাগিয়ে রাখা হয়। তারপর টানা ৬ দিন হাত ও পায়ের দুই পাশে ইট দিয়ে চেপে রাখা হয়। পরে প্রতিদিন চলতে থাকে ঝাড়ফুঁক-মালিশ।
গতকাল রোববার সরেজমিন দেখা গেছে, সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কের চোরমদন শ্মশানঘাট থেকে ১০০ ফুট সামনে দোকান খুলে দীর্ঘদিন রাস্তার দুই পাশে অনুমোদনহীন ৫-৬টি হাড়ভাঙা চিকিৎসালয় গড়ে উঠেছে। তাঁরা বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ছাল-বাকল-লতাপাতা, ঝাড়ফুঁক-মালিশ দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতে দরিদ্র-অসহায় মানুষ স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য এসব কথিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
কেরানীগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ইমন হোসেন বলেন, ‘আমার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে বেশ কিছুদিন আগে। লোকমুখে শুনে এইখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কবিরাজ বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেঁধে দিয়েছেন, আর ব্যথা কমানোর জন্য রোলাক নামের ট্যাবলেট দিয়েছেন। প্রায় এক মাস হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি।’
আরেক ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমি সোহেল কবিরাজের থেকে আমার হাত ভাঙার চিকিৎসা করেছি। তিনি দীর্ঘদিন আমার থেকে তেল মালিশ দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। কিন্তু আমার এখন পর্যন্ত হাত ভালো হয়নি।’
বিখ্যাত হাড় ভাঙা চিকিৎসালয়ের কবিরাজ রতন বলেন, ‘১৭-১৮ বছর এই পেশায় জড়িত আছি। অনেকে আমার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স আছে, তবে সরকারি কোনো অনুমোদন নেই।
কবিরাজ হাওলাদার সোহেল বলেন, ‘আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও জানি কী কী করতে হয়। আমি গর্ভবতী নারী এবং রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে কাজ করি না। তাই কাজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাও হয় না।’
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞ হাড় ভাঙার চিকিৎসা করে থাকেন। এটা তাঁদের কাজ, কবিরাজের কাজ না। যথাস্থানে ভাঙা হাড় না বসিয়ে প্লাস্টার করলে হাত বা পা পরবর্তীতে বাঁকা হয়ে যেতে পাড়ে। ছাল-বাকল-লতাপাতা থেকে ইনফেকশন হয়ে পচন ধরতে পারে।
রশুনিয়া ইউপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবু সাইদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি জানতাম না। আমি এবার নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি, খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘তাঁদের সরকারিভাবে কোনো অনুমোদন নেই। এই কবিরাজি পদ্ধতি চিকিৎসা তাঁরা দিতে পারেন না। এর আগে একবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।’
মুন্সিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘আমি জানতাম না, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব, সরকারি অনুমতি ছাড়া হাড় ভাঙার চিকিৎসা করে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আধুনিক যুগেও চলছে সনাতনী পদ্ধতিতে হাত-পা ভাঙা জোড়া দেওয়ার চিকিৎসা। উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমদন ও দানিয়াপাড়া গ্রামে ৫-৬ জন হাতুড়ে কবিরাজ দোকান নিয়ে দীর্ঘদিন নিয়মিত এ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম কয়েক দিন ভাঙা হাত-পায়ে গাছের ছাল-বাকল-লতাপাতা লাগিয়ে রাখা হয়। তারপর টানা ৬ দিন হাত ও পায়ের দুই পাশে ইট দিয়ে চেপে রাখা হয়। পরে প্রতিদিন চলতে থাকে ঝাড়ফুঁক-মালিশ।
গতকাল রোববার সরেজমিন দেখা গেছে, সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কের চোরমদন শ্মশানঘাট থেকে ১০০ ফুট সামনে দোকান খুলে দীর্ঘদিন রাস্তার দুই পাশে অনুমোদনহীন ৫-৬টি হাড়ভাঙা চিকিৎসালয় গড়ে উঠেছে। তাঁরা বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ছাল-বাকল-লতাপাতা, ঝাড়ফুঁক-মালিশ দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতে দরিদ্র-অসহায় মানুষ স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য এসব কথিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
কেরানীগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ইমন হোসেন বলেন, ‘আমার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে বেশ কিছুদিন আগে। লোকমুখে শুনে এইখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কবিরাজ বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেঁধে দিয়েছেন, আর ব্যথা কমানোর জন্য রোলাক নামের ট্যাবলেট দিয়েছেন। প্রায় এক মাস হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি।’
আরেক ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমি সোহেল কবিরাজের থেকে আমার হাত ভাঙার চিকিৎসা করেছি। তিনি দীর্ঘদিন আমার থেকে তেল মালিশ দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। কিন্তু আমার এখন পর্যন্ত হাত ভালো হয়নি।’
বিখ্যাত হাড় ভাঙা চিকিৎসালয়ের কবিরাজ রতন বলেন, ‘১৭-১৮ বছর এই পেশায় জড়িত আছি। অনেকে আমার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স আছে, তবে সরকারি কোনো অনুমোদন নেই।
কবিরাজ হাওলাদার সোহেল বলেন, ‘আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও জানি কী কী করতে হয়। আমি গর্ভবতী নারী এবং রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে কাজ করি না। তাই কাজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাও হয় না।’
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞ হাড় ভাঙার চিকিৎসা করে থাকেন। এটা তাঁদের কাজ, কবিরাজের কাজ না। যথাস্থানে ভাঙা হাড় না বসিয়ে প্লাস্টার করলে হাত বা পা পরবর্তীতে বাঁকা হয়ে যেতে পাড়ে। ছাল-বাকল-লতাপাতা থেকে ইনফেকশন হয়ে পচন ধরতে পারে।
রশুনিয়া ইউপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবু সাইদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি জানতাম না। আমি এবার নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি, খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘তাঁদের সরকারিভাবে কোনো অনুমোদন নেই। এই কবিরাজি পদ্ধতি চিকিৎসা তাঁরা দিতে পারেন না। এর আগে একবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।’
মুন্সিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘আমি জানতাম না, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব, সরকারি অনুমতি ছাড়া হাড় ভাঙার চিকিৎসা করে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে