বোরহান জাবেদ, সিলেট থেকে
রশিদ খান-মুজিব উর রহমানদের নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ‘ভীতি’ নতুন কিছু নয়। ক্রিকেটীয় সৌজন্য মেনে ভীতির কথা যদি দূরে সরিয়েও রাখা হয়, তাঁদের সামনে নিয়মিত নাকাল হওয়ার দৃশ্য অস্বীকার করার উপায় নেই। বেশি দূরে তাকাতে হবে না, চট্টগ্রামে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজজুড়েই এটা দেখা গেছে। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করতে গিয়েই কি তাঁদের বিপক্ষে আরও জড়োসড়ো হয়ে যান বাংলাদেশের ব্যাটাররা?
এই ধাঁধা মেলাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একটি উপায় বের করেছেন! কাউকে নিয়ে আলাদা না ভেবে সতীর্থদের খোলা মনে খেলতে বলছেন তিনি। সিলেটে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক ঘুরেফিরে একই কথা বলেছেন, আলাদাভাবে কোনো কিছু নিয়ে ভাবছেন না তাঁরা। সেটা রশিদ হোক কিংবা মুজিব। এমনকি নিজেদের দলও যেন একজনের ওপর ভরসা করে বসে না থাকে। কন্ডিশন নিয়ে প্রশ্নেও সাকিবের সাফ উত্তর, এটা নিয়ে চিন্তিত নন তাঁরা। যেকোনো কন্ডিশনে, যেকোনো ব্যাপারে সতীর্থদের মধ্যে ভাবনার দরজা খোলা রাখার পরামর্শ সাকিবের।
ওয়ানডে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের এই মন্ত্র কাজে দেবে কি না, সিরিজ শেষে বোঝা যাবে। তবে সাকিবের চাওয়া সতীর্থরা যেন উন্নতির ধারাটা ধরে রাখেন, ‘ঘরের মাঠে সবশেষ দুটি সিরিজই (ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড) আমরা ভালো খেলেছি। এটা আমাদের জন্য নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। আমাদের চেষ্টা থাকবে, যেভাবে আমরা ক্রিকেটটা খেলছি, যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, প্রতিটি ম্যাচেই ওভাবে পারফর্ম করতে।’
কাজটা সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। বিশেষ করে আফগানদের বিপক্ষে সব সময় একটা আলাদা স্নায়ুচাপে ভুগতে দেখা যায় বাংলাদেশ দলকে। টি-টোয়েন্টিতে এই আফগানিস্তান আরও কঠিন প্রতিপক্ষ। রশিদ-মুজিব তো আছেনই, ফজলহক ফারুকি, রহমানউল্লাহ গুরবাজরাও যেকোনো দিন ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারেন। সাকিব ঘুরেফিরে আবারও বললেন, আলাদা করে কারও কথা ভাবছেন না তাঁরা, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা বলিনি, চিন্তাও করিনি। যে পরিস্থিতিতে যে আসবে, তার দায়িত্ব কীভাবে সে দলের জন্য ভালো পারফর্ম করতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে মোমেন্টাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কীভাবে খেলাটা শুরু করি, সেটা আমার কাছে মনে হয় ম্যাচের ফলের দিকে থেকে ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে অনেক বেশি। ব্যাটিং করি বা বোলিং, শুরুটা ভালো করা গুরুত্বপূর্ণ।’
নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে বেশি ভাবতে কেন সাকিবের এত অনীহা, সেটা বোঝা গেল তাঁর এই কথা থেকে, ‘আমরা দল হিসেবে তখনই ভালো খেলি, যখন অন্য দল নিয়ে চিন্তা না করি। আমরা যখন খোলা মন নিয়ে থাকি, নিজেদের খেলাটায় কীভাবে উন্নতি করা যায় এটা নিয়ে ভাবি এবং নিজেদের জায়গা থেকে সবাই কীভাবে ১০-২০ শতাংশ উন্নতি করা যায় এই চিন্তা করি। আমাদের দলটা তখনই ভালো খেলে বেশি। আমরা তখনই একটু নার্ভাস থাকি বা ভালো পারফর্ম করতে পারি না, যখন আমরা কন্ডিশন নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করি এবং অনেক বেশি প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা করি।’
গত কিছুদিনে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্নটা আবার সামনে এসেছে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের অবসরকাণ্ডের পর। সাকিব অবশ্য এমন ধারণা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন, ‘বাইরে থেকে দেখে অনেক কিছুই মনে হতে পারে। ড্রেসিংরুমে মনে হয় না কখনো অস্থিরতা ছিল কিংবা এখনো আছে। আবহ তো আমি সব সময়ই মনে করি ভালো আছে।’
ভালো হলেই ভালো, তাহলেই সাকিবের খোলা মনের মন্ত্র আরও বেশি কার্যকর হয়ে ওঠার সুযোগ থাকবে।
রশিদ খান-মুজিব উর রহমানদের নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ‘ভীতি’ নতুন কিছু নয়। ক্রিকেটীয় সৌজন্য মেনে ভীতির কথা যদি দূরে সরিয়েও রাখা হয়, তাঁদের সামনে নিয়মিত নাকাল হওয়ার দৃশ্য অস্বীকার করার উপায় নেই। বেশি দূরে তাকাতে হবে না, চট্টগ্রামে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজজুড়েই এটা দেখা গেছে। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করতে গিয়েই কি তাঁদের বিপক্ষে আরও জড়োসড়ো হয়ে যান বাংলাদেশের ব্যাটাররা?
এই ধাঁধা মেলাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একটি উপায় বের করেছেন! কাউকে নিয়ে আলাদা না ভেবে সতীর্থদের খোলা মনে খেলতে বলছেন তিনি। সিলেটে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক ঘুরেফিরে একই কথা বলেছেন, আলাদাভাবে কোনো কিছু নিয়ে ভাবছেন না তাঁরা। সেটা রশিদ হোক কিংবা মুজিব। এমনকি নিজেদের দলও যেন একজনের ওপর ভরসা করে বসে না থাকে। কন্ডিশন নিয়ে প্রশ্নেও সাকিবের সাফ উত্তর, এটা নিয়ে চিন্তিত নন তাঁরা। যেকোনো কন্ডিশনে, যেকোনো ব্যাপারে সতীর্থদের মধ্যে ভাবনার দরজা খোলা রাখার পরামর্শ সাকিবের।
ওয়ানডে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের এই মন্ত্র কাজে দেবে কি না, সিরিজ শেষে বোঝা যাবে। তবে সাকিবের চাওয়া সতীর্থরা যেন উন্নতির ধারাটা ধরে রাখেন, ‘ঘরের মাঠে সবশেষ দুটি সিরিজই (ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড) আমরা ভালো খেলেছি। এটা আমাদের জন্য নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। আমাদের চেষ্টা থাকবে, যেভাবে আমরা ক্রিকেটটা খেলছি, যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, প্রতিটি ম্যাচেই ওভাবে পারফর্ম করতে।’
কাজটা সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। বিশেষ করে আফগানদের বিপক্ষে সব সময় একটা আলাদা স্নায়ুচাপে ভুগতে দেখা যায় বাংলাদেশ দলকে। টি-টোয়েন্টিতে এই আফগানিস্তান আরও কঠিন প্রতিপক্ষ। রশিদ-মুজিব তো আছেনই, ফজলহক ফারুকি, রহমানউল্লাহ গুরবাজরাও যেকোনো দিন ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারেন। সাকিব ঘুরেফিরে আবারও বললেন, আলাদা করে কারও কথা ভাবছেন না তাঁরা, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা বলিনি, চিন্তাও করিনি। যে পরিস্থিতিতে যে আসবে, তার দায়িত্ব কীভাবে সে দলের জন্য ভালো পারফর্ম করতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে মোমেন্টাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কীভাবে খেলাটা শুরু করি, সেটা আমার কাছে মনে হয় ম্যাচের ফলের দিকে থেকে ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে অনেক বেশি। ব্যাটিং করি বা বোলিং, শুরুটা ভালো করা গুরুত্বপূর্ণ।’
নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে বেশি ভাবতে কেন সাকিবের এত অনীহা, সেটা বোঝা গেল তাঁর এই কথা থেকে, ‘আমরা দল হিসেবে তখনই ভালো খেলি, যখন অন্য দল নিয়ে চিন্তা না করি। আমরা যখন খোলা মন নিয়ে থাকি, নিজেদের খেলাটায় কীভাবে উন্নতি করা যায় এটা নিয়ে ভাবি এবং নিজেদের জায়গা থেকে সবাই কীভাবে ১০-২০ শতাংশ উন্নতি করা যায় এই চিন্তা করি। আমাদের দলটা তখনই ভালো খেলে বেশি। আমরা তখনই একটু নার্ভাস থাকি বা ভালো পারফর্ম করতে পারি না, যখন আমরা কন্ডিশন নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করি এবং অনেক বেশি প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা করি।’
গত কিছুদিনে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্নটা আবার সামনে এসেছে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের অবসরকাণ্ডের পর। সাকিব অবশ্য এমন ধারণা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন, ‘বাইরে থেকে দেখে অনেক কিছুই মনে হতে পারে। ড্রেসিংরুমে মনে হয় না কখনো অস্থিরতা ছিল কিংবা এখনো আছে। আবহ তো আমি সব সময়ই মনে করি ভালো আছে।’
ভালো হলেই ভালো, তাহলেই সাকিবের খোলা মনের মন্ত্র আরও বেশি কার্যকর হয়ে ওঠার সুযোগ থাকবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে