রিমন রহমান, রাজশাহী
দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের মধ্যে সবচেয়ে কম বায়ুদূষণ হয় রাজশাহীতে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাজশাহী শহর। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আগের দুই বছরের উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরও রাজশাহী শহর পেল সবচেয়ে কম বায়ুদূষণের স্বীকৃতি।
ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, যে শহরের দূষণ বেশি, সেখানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও সংস্কারকাজ, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, আশপাশের ইটভাটা, ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্পকারখানা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো হয়। এগুলো শহর দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। আর রাজশাহী শহর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কারণে এখানে বায়ুদূষণ কম বলে তাঁরা মনে করেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনও (রাসিক) শহরে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরজুড়েই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সরু রাস্তাগুলো চওড়া হচ্ছে। বড় অবকাঠামো গড়ে উঠছে। তার পরও বায়ুদূষণ কম এ শহরে।
কীভাবে এটি সম্ভব জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহমুদ-উল ইসলাম বলেন, দুটি কারণে রাজশাহী শহরে বাতাসের ক্ষতিকর ধূলিকণা কম। এর একটি প্রচুর বৃক্ষরোপণ, অন্যটি ফুটপাতের ধুলাবালু খোলা না রেখে কংক্রিটের টাইলস দিয়ে ঢেকে দেওয়া। এ দুই কারণেই এ শহরে বাতাসে ক্ষতিকর ধূলিকণা কমে এসেছে।
মাহমুদ বলছেন, একসময় ধূলিঝড় হলে রাজশাহী শহরের দক্ষিণের পদ্মার চর থেকে প্রচুর ধুলাবালু উড়ে আসত। বর্তমান সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর প্রথম মেয়াদেই এদিকে নজর দেন। তিনি পদ্মাপাড়ে প্রচুর গাছ লাগাতে শুরু করেন। এখনো নদীর পাড়ে বীজ ছিটানো হয়। ফলে গাছপালার কারণে শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার চরের ধুলাবালু সরাসরি উড়ে আসে না। রাসিকের নিজস্ব ‘জিরো সয়েল’ নামের একটি প্রকল্প চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এর মাধ্যমে শহরের সড়ক বিভাজক-আইল্যান্ডগুলোতে গাছ লাগানো হচ্ছে। সেখান থেকেও ধুলোবালু উড়তে পারছে না।
এ ছাড়া মানুষের পায়ে-পায়ে যেন ধুলোবালু না ছড়ায়, সে জন্য শহর থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত ওয়াকওয়ে-ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে। সেগুলো কংক্রিটের টাইলস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। শহরে এখন গণপরিবহন বলতে শুধু রিকশা আর অটোরিকশা।
গত বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ক্যাপসের এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
৮১ সদস্যের গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের মধ্যে সবচেয়ে কম বায়ুদূষণ হয় রাজশাহীতে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাজশাহী শহর। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আগের দুই বছরের উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরও রাজশাহী শহর পেল সবচেয়ে কম বায়ুদূষণের স্বীকৃতি।
ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, যে শহরের দূষণ বেশি, সেখানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও সংস্কারকাজ, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, আশপাশের ইটভাটা, ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্পকারখানা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো হয়। এগুলো শহর দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। আর রাজশাহী শহর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কারণে এখানে বায়ুদূষণ কম বলে তাঁরা মনে করেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনও (রাসিক) শহরে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরজুড়েই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সরু রাস্তাগুলো চওড়া হচ্ছে। বড় অবকাঠামো গড়ে উঠছে। তার পরও বায়ুদূষণ কম এ শহরে।
কীভাবে এটি সম্ভব জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহমুদ-উল ইসলাম বলেন, দুটি কারণে রাজশাহী শহরে বাতাসের ক্ষতিকর ধূলিকণা কম। এর একটি প্রচুর বৃক্ষরোপণ, অন্যটি ফুটপাতের ধুলাবালু খোলা না রেখে কংক্রিটের টাইলস দিয়ে ঢেকে দেওয়া। এ দুই কারণেই এ শহরে বাতাসে ক্ষতিকর ধূলিকণা কমে এসেছে।
মাহমুদ বলছেন, একসময় ধূলিঝড় হলে রাজশাহী শহরের দক্ষিণের পদ্মার চর থেকে প্রচুর ধুলাবালু উড়ে আসত। বর্তমান সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর প্রথম মেয়াদেই এদিকে নজর দেন। তিনি পদ্মাপাড়ে প্রচুর গাছ লাগাতে শুরু করেন। এখনো নদীর পাড়ে বীজ ছিটানো হয়। ফলে গাছপালার কারণে শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার চরের ধুলাবালু সরাসরি উড়ে আসে না। রাসিকের নিজস্ব ‘জিরো সয়েল’ নামের একটি প্রকল্প চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এর মাধ্যমে শহরের সড়ক বিভাজক-আইল্যান্ডগুলোতে গাছ লাগানো হচ্ছে। সেখান থেকেও ধুলোবালু উড়তে পারছে না।
এ ছাড়া মানুষের পায়ে-পায়ে যেন ধুলোবালু না ছড়ায়, সে জন্য শহর থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত ওয়াকওয়ে-ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে। সেগুলো কংক্রিটের টাইলস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। শহরে এখন গণপরিবহন বলতে শুধু রিকশা আর অটোরিকশা।
গত বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ক্যাপসের এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
৮১ সদস্যের গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
১ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
১ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
১ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
১ দিন আগে