মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চার কমিশনার শপথ নেন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরদিন কমিশনে আসীন হয়েই সিইসি ঘোষণা দেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অঙ্গীকারও করেন তিনি। তবে ছয় মাস পেরোতে না পেরোতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অবশ্য কেউ কেউ মনে করছেন, কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের সময় এখনো হয়নি।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আগের নূরুল হুদা কমিশনের মতো হাবিবুল আউয়াল কমিশনও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তাঁরা বলছেন, এটা মনে হওয়ার প্রধান কারণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্ত। যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর একটা বড় অংশ যন্ত্রের ভোট ব্যবস্থা চায় না, সেখানে কমিশন তা ব্যবহারে উৎসাহ দেখানোয় বিতর্কের জন্ম নিয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই চায় না ইভিএম। আবার মানুষেরও আস্থা নেই। অনেকে ভোটও দিতে পারেন না। কারও কারও আঙুলের ছাপ মেলে না। আর এত সব আপত্তি আর অবিশ্বাসের মাঝে এই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত সন্দেহ তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে যে নিরপেক্ষতার কথা তাঁরা বলেন, সেটা হারিয়েছেন বলে আমি মনে করি।’
এর আগে সুজনের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ইভিএমে কারচুপি করা যায়। আর এই যন্ত্রের অডিট কার্ড পরিবর্তন করে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়া সম্ভব। এ ছাড়া আঙুলের ছাপ না মিললে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ দিয়ে ওভার রাইট করে ব্যালট ইউনিট ওপেন করার সুযোগ থাকার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়।
ইভিএম নিয়ে মতবিনিময় এবং পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে পুরো ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তাদের সমমনা দলগুলোও ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে কমিশনের সংলাপে যোগ দেওয়া ১৪টির মতো দল বলেছে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করতে। এ ছাড়া, সংলাপে অংশ না নেওয়া বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও ইভিএমে ভোটের বিপক্ষে। বিরোধী দলগুলোর আপত্তি ও অবিশ্বাসের মাঝেও ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তে ইসির প্রতি ভোটারদের একটি বড় অংশে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অবশ্য সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেছেন, ব্যালটের সঙ্গে সমন্বয় করতেই ১৫০ আসনে ইভিএমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ১৫০টিতে ইভিএম ও বাকি ১৫০টি আসনে ব্যালট ব্যবহার করলে দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণের সুযোগ তৈরি হবে। তখন কমিশন নিশ্চিত হতে পারবে যে ইভিএম ব্যবহারে ভালো না মন্দ হচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেদিন সিইসি বলেছিলেন, ‘কোনো দলের চাওয়ার পক্ষে, বিরোধীদের বিপক্ষেও নয়। একাধিক দল বিপক্ষে বলেছে। আমরা সবার মতামত নিয়েছি। সম্ভব হলে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। এখন সম্ভব হবে কি না জানি না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ইসির নিরপেক্ষতা হারানোর কোনো প্রশ্ন নেই। এখনো সময় হয়নি সে কথা বলার। ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত হলেই যে নিরপেক্ষতা চলে যাবে—এমন কোনো কারণ নেই। সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সংলাপে অধিকাংশ দল ইভিএমের বিরোধিতা করেছে। তাদের ভিত্তি কী? ঢাকার বাইরে জেলায় কমিটি নেই, এমন দলও আছে। ১৪ দলীয় জোটের সারা দেশেই কমিটি এবং নেতা-কর্মী আছে উল্লেখ করে চুপ্পু বলেন, ইসি গণভিত্তি আছে—এমন দলের কথাই প্রাধান্য দেবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, কমিশন এখনই নিরপেক্ষতা হারিয়েছে, তা বলা যাবে না। তিনি বলেন, ‘এটা (ইভিএম) ইসির সিদ্ধান্ত। তারা জানে কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে। নির্বাচনের অনেক সময় বাকি আছে। তাই তার নিরপেক্ষতা নিয়ে এখনই কথা বলা যাবে না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাঁর দলের কোনো আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, এই দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। যদি নির্বাচনকালীন কোনো নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে নির্বাচনের বিষয়টা আসবে। তারপর ইভিএম না ব্যালট—সেসব নিয়ে আলোচনা।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চার কমিশনার শপথ নেন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরদিন কমিশনে আসীন হয়েই সিইসি ঘোষণা দেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অঙ্গীকারও করেন তিনি। তবে ছয় মাস পেরোতে না পেরোতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অবশ্য কেউ কেউ মনে করছেন, কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের সময় এখনো হয়নি।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আগের নূরুল হুদা কমিশনের মতো হাবিবুল আউয়াল কমিশনও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তাঁরা বলছেন, এটা মনে হওয়ার প্রধান কারণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্ত। যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর একটা বড় অংশ যন্ত্রের ভোট ব্যবস্থা চায় না, সেখানে কমিশন তা ব্যবহারে উৎসাহ দেখানোয় বিতর্কের জন্ম নিয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই চায় না ইভিএম। আবার মানুষেরও আস্থা নেই। অনেকে ভোটও দিতে পারেন না। কারও কারও আঙুলের ছাপ মেলে না। আর এত সব আপত্তি আর অবিশ্বাসের মাঝে এই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত সন্দেহ তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে যে নিরপেক্ষতার কথা তাঁরা বলেন, সেটা হারিয়েছেন বলে আমি মনে করি।’
এর আগে সুজনের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ইভিএমে কারচুপি করা যায়। আর এই যন্ত্রের অডিট কার্ড পরিবর্তন করে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়া সম্ভব। এ ছাড়া আঙুলের ছাপ না মিললে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ দিয়ে ওভার রাইট করে ব্যালট ইউনিট ওপেন করার সুযোগ থাকার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়।
ইভিএম নিয়ে মতবিনিময় এবং পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে পুরো ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তাদের সমমনা দলগুলোও ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে কমিশনের সংলাপে যোগ দেওয়া ১৪টির মতো দল বলেছে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করতে। এ ছাড়া, সংলাপে অংশ না নেওয়া বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও ইভিএমে ভোটের বিপক্ষে। বিরোধী দলগুলোর আপত্তি ও অবিশ্বাসের মাঝেও ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তে ইসির প্রতি ভোটারদের একটি বড় অংশে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অবশ্য সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেছেন, ব্যালটের সঙ্গে সমন্বয় করতেই ১৫০ আসনে ইভিএমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ১৫০টিতে ইভিএম ও বাকি ১৫০টি আসনে ব্যালট ব্যবহার করলে দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণের সুযোগ তৈরি হবে। তখন কমিশন নিশ্চিত হতে পারবে যে ইভিএম ব্যবহারে ভালো না মন্দ হচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেদিন সিইসি বলেছিলেন, ‘কোনো দলের চাওয়ার পক্ষে, বিরোধীদের বিপক্ষেও নয়। একাধিক দল বিপক্ষে বলেছে। আমরা সবার মতামত নিয়েছি। সম্ভব হলে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। এখন সম্ভব হবে কি না জানি না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ইসির নিরপেক্ষতা হারানোর কোনো প্রশ্ন নেই। এখনো সময় হয়নি সে কথা বলার। ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত হলেই যে নিরপেক্ষতা চলে যাবে—এমন কোনো কারণ নেই। সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সংলাপে অধিকাংশ দল ইভিএমের বিরোধিতা করেছে। তাদের ভিত্তি কী? ঢাকার বাইরে জেলায় কমিটি নেই, এমন দলও আছে। ১৪ দলীয় জোটের সারা দেশেই কমিটি এবং নেতা-কর্মী আছে উল্লেখ করে চুপ্পু বলেন, ইসি গণভিত্তি আছে—এমন দলের কথাই প্রাধান্য দেবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, কমিশন এখনই নিরপেক্ষতা হারিয়েছে, তা বলা যাবে না। তিনি বলেন, ‘এটা (ইভিএম) ইসির সিদ্ধান্ত। তারা জানে কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে। নির্বাচনের অনেক সময় বাকি আছে। তাই তার নিরপেক্ষতা নিয়ে এখনই কথা বলা যাবে না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাঁর দলের কোনো আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, এই দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। যদি নির্বাচনকালীন কোনো নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে নির্বাচনের বিষয়টা আসবে। তারপর ইভিএম না ব্যালট—সেসব নিয়ে আলোচনা।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে