বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শনিবার) ২৪৯ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে উপসচিব করেছে সরকার। নিয়মিত হিসেবে বিসিএস ২৯তম ব্যাচের ১৬৪ কর্মকর্তা এবার পদোন্নতি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে মিশে যাওয়া ২৪ কর্মকর্তা ছাড়াও আগের বঞ্চিত এবং অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তা আছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত ১৩ জন আছেন মন্ত্রী ও সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)।
গতকাল এ-সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপনে ২৪০ জনের নাম প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বাকি ৯ জন শিক্ষা ছুটিতে দেশের বাইরে আছেন। দেশে ফিরে কাজে যোগ দিলেই তাঁদের পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে বিসিএস ২৯তম ব্যাচের মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া সানজিদা ইয়াসমিনসহ অন্তত অর্ধশত কর্মকর্তার নাম পদোন্নতির তালিকায় নেই। এ নিয়ে ২৯তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের অনেকে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, মেধাতালিকায় সবচেয়ে নিচে থেকেও পদোন্নতি পেয়েছেন কেউ কেউ। অথচ মেধাতালিকার প্রথম দিকে থাকা যোগ্য অনেক কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তবে কেউই নাম প্রকাশ করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে অনেকটাই উদারভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তারপরও যাঁরা পদোন্নতি পাননি, তাঁদের বিভাগীয় মামলাসহ নানা ধরনের জটিলতা আছে। পারতপক্ষে কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদানপত্র ই-মেইলে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হলেও পদায়ন করা হয়নি। শিগগির বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ইনসিটু হিসেবে পদায়ন করা হবে। ফলে তাঁদের আগের পদেই কাজ করে যেতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই পদোন্নতির ফলে উপসচিবের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭২৭। অথচ ৪৩০টি সুপারনিউমারারিসহ অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১ হাজার ৪২৮। অর্থাৎ অনুমোদিত পদের চেয়ে অন্তত ৩০০ কর্মকর্তা বেশি থাকছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে ২৪৯ জনের পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। তাঁদের মধ্যে ২৪০ জনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এর বাইরে আরও ৯ জন আছেন, যাঁরা শিক্ষা ছুটি থেকে ফিরে এলে পদোন্নতি কার্যকর হবে।’
কোন ব্যাচের কতজন
প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এবার ২৯তম ব্যাচের প্রশাসন ও বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের মোট ১৬৪ জন পদোন্নতি পেয়েছেন। এ ছাড়া আগের বঞ্চিত বিসিএস ২০তম ব্যাচের একজন, ২৫তম ব্যাচের একজন এবং বিসিএস ২৮তম ব্যাচের ১২ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের ৬২ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কৃষি ক্যাডারের ৯ জন, আনসারের ৩ জন, নিরীক্ষা ও হিসাবের ৩ জন, সমবায়ের ১ জন, শুল্ক ও আবগারির ২ জন, সাধারণ শিক্ষার ১০ জন, মৎস্যের ৪ জন, খাদ্যের ১ জন, স্বাস্থ্যের ৩ জন, প্রাণিসম্পদের ৪ জন।
পদোন্নতি পাননি যাঁরা
বিসিএস ২৯তম ব্যাচের মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া সানজিদা ইয়াসমিনসহ অন্তত অর্ধশত কর্মকর্তার নাম পদোন্নতির তালিকায় নেই। পদোন্নতি পাননি মোহাম্মদ সাইফুল কবির, আশফাকুন নাহার, মোছাদ্দেক মেহেদি ইমাম, আর এইচ এম আলাউল কবির, সারওয়ার কামাল, খায়রুল আলম সুমন, নাজমুল ইসলাম সরকার, মোহাম্মদ আমিনুল এহসান, মোছা. শাহনাজ বেগম, মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, কামরুন নাহার, তারিক হাসান, জাকিউল ইসলাম, ফিরুজুল ইসলাম, শারমিন সুলতানা, সোহানা নাসরিন, রোজী আক্তার, মুকুল কুমার মিত্র, মহীউদ্দিন জাহাঙ্গীর, আ ন ম বদরুদ্দোজা, আরিফুজ্জামান প্রমুখ। তাঁদের কেউই অবশ্য এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর ২৫৯ জন কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার।
‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ২৫ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হয়। বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের (বেঞ্চমার্ক) অন্তত ৮৩ পেতে হয়।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শনিবার) ২৪৯ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে উপসচিব করেছে সরকার। নিয়মিত হিসেবে বিসিএস ২৯তম ব্যাচের ১৬৪ কর্মকর্তা এবার পদোন্নতি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে মিশে যাওয়া ২৪ কর্মকর্তা ছাড়াও আগের বঞ্চিত এবং অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তা আছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত ১৩ জন আছেন মন্ত্রী ও সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)।
গতকাল এ-সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপনে ২৪০ জনের নাম প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বাকি ৯ জন শিক্ষা ছুটিতে দেশের বাইরে আছেন। দেশে ফিরে কাজে যোগ দিলেই তাঁদের পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে বিসিএস ২৯তম ব্যাচের মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া সানজিদা ইয়াসমিনসহ অন্তত অর্ধশত কর্মকর্তার নাম পদোন্নতির তালিকায় নেই। এ নিয়ে ২৯তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের অনেকে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, মেধাতালিকায় সবচেয়ে নিচে থেকেও পদোন্নতি পেয়েছেন কেউ কেউ। অথচ মেধাতালিকার প্রথম দিকে থাকা যোগ্য অনেক কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তবে কেউই নাম প্রকাশ করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে অনেকটাই উদারভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তারপরও যাঁরা পদোন্নতি পাননি, তাঁদের বিভাগীয় মামলাসহ নানা ধরনের জটিলতা আছে। পারতপক্ষে কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদানপত্র ই-মেইলে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হলেও পদায়ন করা হয়নি। শিগগির বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ইনসিটু হিসেবে পদায়ন করা হবে। ফলে তাঁদের আগের পদেই কাজ করে যেতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই পদোন্নতির ফলে উপসচিবের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭২৭। অথচ ৪৩০টি সুপারনিউমারারিসহ অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১ হাজার ৪২৮। অর্থাৎ অনুমোদিত পদের চেয়ে অন্তত ৩০০ কর্মকর্তা বেশি থাকছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে ২৪৯ জনের পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। তাঁদের মধ্যে ২৪০ জনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এর বাইরে আরও ৯ জন আছেন, যাঁরা শিক্ষা ছুটি থেকে ফিরে এলে পদোন্নতি কার্যকর হবে।’
কোন ব্যাচের কতজন
প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এবার ২৯তম ব্যাচের প্রশাসন ও বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের মোট ১৬৪ জন পদোন্নতি পেয়েছেন। এ ছাড়া আগের বঞ্চিত বিসিএস ২০তম ব্যাচের একজন, ২৫তম ব্যাচের একজন এবং বিসিএস ২৮তম ব্যাচের ১২ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের ৬২ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কৃষি ক্যাডারের ৯ জন, আনসারের ৩ জন, নিরীক্ষা ও হিসাবের ৩ জন, সমবায়ের ১ জন, শুল্ক ও আবগারির ২ জন, সাধারণ শিক্ষার ১০ জন, মৎস্যের ৪ জন, খাদ্যের ১ জন, স্বাস্থ্যের ৩ জন, প্রাণিসম্পদের ৪ জন।
পদোন্নতি পাননি যাঁরা
বিসিএস ২৯তম ব্যাচের মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া সানজিদা ইয়াসমিনসহ অন্তত অর্ধশত কর্মকর্তার নাম পদোন্নতির তালিকায় নেই। পদোন্নতি পাননি মোহাম্মদ সাইফুল কবির, আশফাকুন নাহার, মোছাদ্দেক মেহেদি ইমাম, আর এইচ এম আলাউল কবির, সারওয়ার কামাল, খায়রুল আলম সুমন, নাজমুল ইসলাম সরকার, মোহাম্মদ আমিনুল এহসান, মোছা. শাহনাজ বেগম, মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, কামরুন নাহার, তারিক হাসান, জাকিউল ইসলাম, ফিরুজুল ইসলাম, শারমিন সুলতানা, সোহানা নাসরিন, রোজী আক্তার, মুকুল কুমার মিত্র, মহীউদ্দিন জাহাঙ্গীর, আ ন ম বদরুদ্দোজা, আরিফুজ্জামান প্রমুখ। তাঁদের কেউই অবশ্য এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর ২৫৯ জন কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার।
‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ২৫ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হয়। বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের (বেঞ্চমার্ক) অন্তত ৮৩ পেতে হয়।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে