উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মোট ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে থাকবে ৬ লাখ টন ধান এবং ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল। সব মিলিয়ে চাল আকারে ১৫ লাখ টনের মতো হবে। আমদানি করা আতপ চাল পর্যাপ্ত থাকায় এবার তা কেনা হচ্ছে না। কী পরিমাণ ধান-চাল কেনা হবে এবং সরকারি পর্যায়ে এর দাম কত হবে, তা চূড়ান্ত করতে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি (এফপিএমসি)। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, খাদ্য অধিদপ্তর এবার কোনো সম্ভাব্য দর প্রস্তাব করেনি। শুধু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়ে। প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ ২৯ দশমিক ৫৩ টাকা এবং চালের ৪১ দশমিক ৯৮ টাকা উল্লেখ করে সরকারি ক্রয়মূল্য কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। তার আলোকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় ধান-চালের দাম দু-এক টাকা বাড়ানো হতে পারে। ধান কেজিপ্রতি ৩০ টাকা এবং চাল ৪৩-৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
গত বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪০ টাকা ও আতপ চাল ৩৯ টাকা ছিল। বিদায়ী আমন মৌসুমে কেজিপ্রতি ধান ২৮ টাকা এবং চাল ৪২ টাকা করে সংগ্রহ করেছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশেও সবকিছুর দাম বেড়েছে। পাশাপাশি কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এবার ধান-চালের দাম বাড়ানো হতে পারে। তবে সার্বিক বিচার-বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এফপিএমসি।
এফপিএমসির সভা হবে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করবেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের উপস্থিত থাকার কথা।
সরকারি গুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের সরকারি মজুতের সিংহভাগই আসে বোরো মৌসুম থেকে। গত বছর এই মৌসুমে সাড়ে ৬ লাখ টন ধান এবং ১৩ লাখ ৬১ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সংগ্রহ হয়েছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন ধান এবং ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন ৪৭৯ টন চাল। বিদায়ী আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ টন ধান এবং ৫ লাখ টন চাল। ধান সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ৪ হাজার ৬৯৫ টন এবং চাল ৪ লাখ ৩০ হাজার টন। অনেকের মতে, বাজারে ধান-চালের দাম সরকারি মূল্যের থেকে চার-পাঁচ টাকা বেশি হওয়ায় সরকারি গুদামে ধান-চাল দিতে অনীহা দেখান কৃষক ও মিলাররা। গত ২১ মার্চ খাদ্য ভবনে এক বৈঠকেও চালকলের মালিকেরা বাজারমূল্যের সঙ্গে সরকারি দাম সমন্বয় করার জোর দাবি জানান।
তবে একজন কৃষিবিদের মতে, কৃষকদের অনীহা শুধু দামের জন্য নয়, বরং হয়রানির জন্যও। এমনিতেই টাকা পেতে দেরি হয়, তার ওপর ধানের আর্দ্রতা ও ওজন নিয়ে হয়রানি করেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সরকার যখন কেনা শুরু করে, তার আগেই ধান আধা শুকনা অবস্থায় বেচে দিতে বাধ্য হন কৃষকেরা।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষককে বাঁচাতে হলে ধান-চালের উৎপাদন খরচের বেশি সরকারি মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
মিলারদের দাবির সঙ্গে একমত নন কর্মকর্তারা
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার যে দাম বেঁধে দেয়, তার চেয়ে বাজারমূল্য চার-পাঁচ টাকা বেশি থাকে। ফলে কৃষক বেশি দামে বাজারে ধান বিক্রি করেন। সেখান থেকে ধান কিনে চাল করে সরকারি গুদামে দিলে কেজিপ্রতি দু-তিন টাকা লোকসান গুনতে হয়। আবার সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে চাল না দিলে মিলের লাইসেন্স বাতিল হয়। আমাদের দাবি, বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি দাম নির্ধারণ করা হোক।’
তবে মিলারদের এমন দাবি মানতে নারাজ খাদ্য মন্ত্রণালয়। একাধিক কর্মকর্তা জানান, চালকলের মালিকেরা সব সময়ই হাহুতাশ করে থাকেন। অথচ তাঁরা এ ব্যবসা করেই বিত্তবান হয়েছেন। মিলাররা সব সময় লোকসান দিয়ে সরকারকে চাল দেন বলে যে দাবি করেন, সেটা ঠিক নয়। তেমনটা হলে অনেকে দু-তিনবার অতিরিক্ত বরাদ্দ নিতে তদবির করতেন না।
মিলারদের দাবি, ধান-চালের উৎপাদন খরচ নির্ধারণে খড়-ভুসির দাম ধরা হয় না। এটা বিবেচনা করা হলে উৎপাদন খরচ আরও কমবে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শারমীন আখতার জানান, উৎপাদন খরচ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, ডিজেল, সার, কায়িক শ্রমসহ ধানের খড়-কুঁড়া সবই বিবেচনায় নেওয়া হয়।
চালের দাম বাড়ালে লাভ মিলারদের
এদিকে সরকারিভাবে চালের মূল্য কেজিপ্রতি দু-এক টাকা বাড়ানো হলে চালের বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা অনেকের। কারণ, সরকার-নির্ধারিত দামের সঙ্গে চালের বাজারমূল্য ৪-৫ টাকা সব সময়ই বাড়তি থাকে। দাম আরও দুই টাকা বাড়ানো হলে বাজারে চালের দাম চার টাকা পর্যন্ত বাড়বে। বাড়তি দাম চলে যাবে মিলারদের পকেটে। কারণ, সরকারি গুদামে চাল দেন মিলাররা। কৃষকের কাছ থেকে শুধু ধান নেয় সরকার।
এ বিষয়ে সাবেক খাদ্যসচিব আবদুল লতিফ মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারিভাবে চালের দাম দুই টাকা বাড়ানো হলে বাজারে চালের দাম বাড়বে এর দ্বিগুণ। এখনই সরকারি দামের চেয়ে বাজারের চাল সাত-আট টাকা বেশি। তবে কৃষকের বিষয়টিও সরকারকে ভাবতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় ধান-চালের দাম সমন্বয় না করলে কৃষক ধান আবাদ বন্ধ করে দেবে। এর ফল ভালো হবে না।’
চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মোট ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে থাকবে ৬ লাখ টন ধান এবং ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল। সব মিলিয়ে চাল আকারে ১৫ লাখ টনের মতো হবে। আমদানি করা আতপ চাল পর্যাপ্ত থাকায় এবার তা কেনা হচ্ছে না। কী পরিমাণ ধান-চাল কেনা হবে এবং সরকারি পর্যায়ে এর দাম কত হবে, তা চূড়ান্ত করতে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি (এফপিএমসি)। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, খাদ্য অধিদপ্তর এবার কোনো সম্ভাব্য দর প্রস্তাব করেনি। শুধু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়ে। প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ ২৯ দশমিক ৫৩ টাকা এবং চালের ৪১ দশমিক ৯৮ টাকা উল্লেখ করে সরকারি ক্রয়মূল্য কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। তার আলোকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় ধান-চালের দাম দু-এক টাকা বাড়ানো হতে পারে। ধান কেজিপ্রতি ৩০ টাকা এবং চাল ৪৩-৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
গত বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪০ টাকা ও আতপ চাল ৩৯ টাকা ছিল। বিদায়ী আমন মৌসুমে কেজিপ্রতি ধান ২৮ টাকা এবং চাল ৪২ টাকা করে সংগ্রহ করেছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশেও সবকিছুর দাম বেড়েছে। পাশাপাশি কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এবার ধান-চালের দাম বাড়ানো হতে পারে। তবে সার্বিক বিচার-বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এফপিএমসি।
এফপিএমসির সভা হবে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করবেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের উপস্থিত থাকার কথা।
সরকারি গুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের সরকারি মজুতের সিংহভাগই আসে বোরো মৌসুম থেকে। গত বছর এই মৌসুমে সাড়ে ৬ লাখ টন ধান এবং ১৩ লাখ ৬১ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সংগ্রহ হয়েছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন ধান এবং ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন ৪৭৯ টন চাল। বিদায়ী আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ টন ধান এবং ৫ লাখ টন চাল। ধান সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ৪ হাজার ৬৯৫ টন এবং চাল ৪ লাখ ৩০ হাজার টন। অনেকের মতে, বাজারে ধান-চালের দাম সরকারি মূল্যের থেকে চার-পাঁচ টাকা বেশি হওয়ায় সরকারি গুদামে ধান-চাল দিতে অনীহা দেখান কৃষক ও মিলাররা। গত ২১ মার্চ খাদ্য ভবনে এক বৈঠকেও চালকলের মালিকেরা বাজারমূল্যের সঙ্গে সরকারি দাম সমন্বয় করার জোর দাবি জানান।
তবে একজন কৃষিবিদের মতে, কৃষকদের অনীহা শুধু দামের জন্য নয়, বরং হয়রানির জন্যও। এমনিতেই টাকা পেতে দেরি হয়, তার ওপর ধানের আর্দ্রতা ও ওজন নিয়ে হয়রানি করেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সরকার যখন কেনা শুরু করে, তার আগেই ধান আধা শুকনা অবস্থায় বেচে দিতে বাধ্য হন কৃষকেরা।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষককে বাঁচাতে হলে ধান-চালের উৎপাদন খরচের বেশি সরকারি মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
মিলারদের দাবির সঙ্গে একমত নন কর্মকর্তারা
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার যে দাম বেঁধে দেয়, তার চেয়ে বাজারমূল্য চার-পাঁচ টাকা বেশি থাকে। ফলে কৃষক বেশি দামে বাজারে ধান বিক্রি করেন। সেখান থেকে ধান কিনে চাল করে সরকারি গুদামে দিলে কেজিপ্রতি দু-তিন টাকা লোকসান গুনতে হয়। আবার সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে চাল না দিলে মিলের লাইসেন্স বাতিল হয়। আমাদের দাবি, বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি দাম নির্ধারণ করা হোক।’
তবে মিলারদের এমন দাবি মানতে নারাজ খাদ্য মন্ত্রণালয়। একাধিক কর্মকর্তা জানান, চালকলের মালিকেরা সব সময়ই হাহুতাশ করে থাকেন। অথচ তাঁরা এ ব্যবসা করেই বিত্তবান হয়েছেন। মিলাররা সব সময় লোকসান দিয়ে সরকারকে চাল দেন বলে যে দাবি করেন, সেটা ঠিক নয়। তেমনটা হলে অনেকে দু-তিনবার অতিরিক্ত বরাদ্দ নিতে তদবির করতেন না।
মিলারদের দাবি, ধান-চালের উৎপাদন খরচ নির্ধারণে খড়-ভুসির দাম ধরা হয় না। এটা বিবেচনা করা হলে উৎপাদন খরচ আরও কমবে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শারমীন আখতার জানান, উৎপাদন খরচ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, ডিজেল, সার, কায়িক শ্রমসহ ধানের খড়-কুঁড়া সবই বিবেচনায় নেওয়া হয়।
চালের দাম বাড়ালে লাভ মিলারদের
এদিকে সরকারিভাবে চালের মূল্য কেজিপ্রতি দু-এক টাকা বাড়ানো হলে চালের বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা অনেকের। কারণ, সরকার-নির্ধারিত দামের সঙ্গে চালের বাজারমূল্য ৪-৫ টাকা সব সময়ই বাড়তি থাকে। দাম আরও দুই টাকা বাড়ানো হলে বাজারে চালের দাম চার টাকা পর্যন্ত বাড়বে। বাড়তি দাম চলে যাবে মিলারদের পকেটে। কারণ, সরকারি গুদামে চাল দেন মিলাররা। কৃষকের কাছ থেকে শুধু ধান নেয় সরকার।
এ বিষয়ে সাবেক খাদ্যসচিব আবদুল লতিফ মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারিভাবে চালের দাম দুই টাকা বাড়ানো হলে বাজারে চালের দাম বাড়বে এর দ্বিগুণ। এখনই সরকারি দামের চেয়ে বাজারের চাল সাত-আট টাকা বেশি। তবে কৃষকের বিষয়টিও সরকারকে ভাবতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় ধান-চালের দাম সমন্বয় না করলে কৃষক ধান আবাদ বন্ধ করে দেবে। এর ফল ভালো হবে না।’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে