খান রফিক, বরিশাল
জাটকা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে বরিশালে। বিভাগে মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌপুলিশ গত দেড় মাসে প্রায় ৯০ টন জাটকা জব্দ করেছে। এই জাটকার ৩ ভাগের ২ ভাগই উদ্ধার হয়েছে বরিশাল নগরী থেকে।
অপরদিকে যেসব স্থান থেকে জাটকা ধরা হয় সেই উপকূলীয় এলাকা বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালীতে উদ্ধার অভিযান হতাশাজনক। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নির্বিচারে জাটকা নিধনে বড় ইলিশ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাটকা পরিবহন ঠেকাতে জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে চিঠি। তবে সংশ্লিষ্টরা এ জন্য সাগর মোহনা ও নদীতে মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যকর প্রতিরোধ না থাকার ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ টন জাটকা জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ৫২ টন। উপকূলীয় যেসব এলাকা থেকে জাটকা জব্দ করা হচ্ছে সেগুলো হলো, পটুয়াখালী থেকে ১১ টন, ভোলা থেকে ২২ টন এবং বরগুনা থেকে দেড় টন।
জানা গেছে, জেলেরা এখন নদী-সাগরে জাটকা নিধন করছেন। এই জেলেদের পেছনে রয়েছে সিন্ডিকেট। ‘দাদন’ এর নামে স্থানীয় আড়তদারদের রয়েছে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ, এমনটাই জানান জেলে ও মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতারা।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। গত শনিবারও কোস্টগার্ড নগরীর রূপাতলী থেকে ৩৫ মন জাটকা উদ্ধার করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর জাটকার পরিমাণ বেশি। পাথরঘাটা, মহিপুর ও ভোলার সাগর মোহনা থেকে এই জাটকা ধরা হয়। জাটকা ধরা পড়ায় ভবিষ্যতে বড় মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা কমছে।’
মৎস্য অধিদপ্তরের বিষয়ে ড. বিমল বলেন, ‘সাগরে অভিযানে মৎস্য অধিদপ্তরের তেমন কোনো দক্ষতা নেই। তাঁরা কেবল ধরে বিতরণ করতে পারছেন, কিন্তু জাটকা নিধন প্রতিরোধ করতে পারছেন না।’
পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আসলে এই কাজটি মৎস্য অধিদপ্তরের। আমাদের এটা অপশোনাল (ঐচ্ছিক) কাজ। কিন্তু ডাঙায় উদ্ধার হলেও নদী-সাগরে প্রতিরোধ নেই। এর সঙ্গে জড়িত সুবিধাভোগী জেলে ও আড়তদারেরা। তাঁরা ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে জাটকা পাঠান দেশের বিভিন্ন স্থানে।’
এ প্রসঙ্গে জাতীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, ‘মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে নদীতে আঙুল ভেজানোরও ক্ষমতা থাকত না। নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে যেভাবে জাটকা নিধন হচ্ছে তাতে ইলিশ রক্ষা কঠিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘সবকিছু চলছে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে।’
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘উপকূলের ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মৎস্য ব্যবসায়ী। তাঁরাই রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় মৎস্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জাটকা ধ্বংস করছেন।’
এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরর বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিছুর রহমান বলেন, ‘এখন যে জাটকা ধরা পড়ছে তা নদীতে নয়। বেশির ভাগ সাগর মোহনায়।’ তিনি জানান, মা ইলিশ রক্ষায় তাঁদের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জাটকা নদীতে আসার আগেই ধরে ফেলা হচ্ছে।
সাগরে অভিযানের বিষয়ে আইনি জটিলতা প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইনের ক্ষেত্রে বিধিমালা না হওয়ায় উপকূলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান করা যাচ্ছে না।’
জাটকা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে বরিশালে। বিভাগে মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌপুলিশ গত দেড় মাসে প্রায় ৯০ টন জাটকা জব্দ করেছে। এই জাটকার ৩ ভাগের ২ ভাগই উদ্ধার হয়েছে বরিশাল নগরী থেকে।
অপরদিকে যেসব স্থান থেকে জাটকা ধরা হয় সেই উপকূলীয় এলাকা বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালীতে উদ্ধার অভিযান হতাশাজনক। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নির্বিচারে জাটকা নিধনে বড় ইলিশ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাটকা পরিবহন ঠেকাতে জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে চিঠি। তবে সংশ্লিষ্টরা এ জন্য সাগর মোহনা ও নদীতে মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যকর প্রতিরোধ না থাকার ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ টন জাটকা জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ৫২ টন। উপকূলীয় যেসব এলাকা থেকে জাটকা জব্দ করা হচ্ছে সেগুলো হলো, পটুয়াখালী থেকে ১১ টন, ভোলা থেকে ২২ টন এবং বরগুনা থেকে দেড় টন।
জানা গেছে, জেলেরা এখন নদী-সাগরে জাটকা নিধন করছেন। এই জেলেদের পেছনে রয়েছে সিন্ডিকেট। ‘দাদন’ এর নামে স্থানীয় আড়তদারদের রয়েছে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ, এমনটাই জানান জেলে ও মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতারা।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। গত শনিবারও কোস্টগার্ড নগরীর রূপাতলী থেকে ৩৫ মন জাটকা উদ্ধার করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর জাটকার পরিমাণ বেশি। পাথরঘাটা, মহিপুর ও ভোলার সাগর মোহনা থেকে এই জাটকা ধরা হয়। জাটকা ধরা পড়ায় ভবিষ্যতে বড় মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা কমছে।’
মৎস্য অধিদপ্তরের বিষয়ে ড. বিমল বলেন, ‘সাগরে অভিযানে মৎস্য অধিদপ্তরের তেমন কোনো দক্ষতা নেই। তাঁরা কেবল ধরে বিতরণ করতে পারছেন, কিন্তু জাটকা নিধন প্রতিরোধ করতে পারছেন না।’
পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আসলে এই কাজটি মৎস্য অধিদপ্তরের। আমাদের এটা অপশোনাল (ঐচ্ছিক) কাজ। কিন্তু ডাঙায় উদ্ধার হলেও নদী-সাগরে প্রতিরোধ নেই। এর সঙ্গে জড়িত সুবিধাভোগী জেলে ও আড়তদারেরা। তাঁরা ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে জাটকা পাঠান দেশের বিভিন্ন স্থানে।’
এ প্রসঙ্গে জাতীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, ‘মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে নদীতে আঙুল ভেজানোরও ক্ষমতা থাকত না। নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে যেভাবে জাটকা নিধন হচ্ছে তাতে ইলিশ রক্ষা কঠিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘সবকিছু চলছে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে।’
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘উপকূলের ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মৎস্য ব্যবসায়ী। তাঁরাই রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় মৎস্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জাটকা ধ্বংস করছেন।’
এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরর বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিছুর রহমান বলেন, ‘এখন যে জাটকা ধরা পড়ছে তা নদীতে নয়। বেশির ভাগ সাগর মোহনায়।’ তিনি জানান, মা ইলিশ রক্ষায় তাঁদের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জাটকা নদীতে আসার আগেই ধরে ফেলা হচ্ছে।
সাগরে অভিযানের বিষয়ে আইনি জটিলতা প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইনের ক্ষেত্রে বিধিমালা না হওয়ায় উপকূলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান করা যাচ্ছে না।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে