শিহাব আহমেদ
রইল বাকি ১০ সিরিজের গল্প কী নিয়ে?
এটা থ্রিলার জনরার গল্প। মার্ডার মিষ্ট্রি। একটি শহরের কয়েকজন বন্ধু একের পর এক খুন হতে থাকে। পুলিশ খুনিকে খুঁজতে নামলে ধীরে ধীরে রহস্য উন্মোচিত হয়। আমার চরিত্রটি ব্যাড গার্ল ধরনের। সাধারণত যে ধরনের চরিত্রে আমাকে দেখা যায় তার চেয়ে আলাদা।
ব্যতিক্রমী চরিত্র। তার মানে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। সেই প্রস্তুতিটা কেমন ছিল?
এটা যেহেতু সুইট ক্যারেক্টার নয়, তাই নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। হাসি কিংবা তাকানোর স্টাইল—সবকিছুতেই পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। পরিচালক সাবিন ভাই খুব সহায়তা করেছেন। তাঁর কাছ থেকে জেনে নিয়েছি, তিনি চরিত্রটিকে পর্দায় কীভাবে, কেমন দেখতে চাইছেন। শুধু আমি নই, যাঁরা অভিনয় করেছেন, সবাই প্রস্তুতি নিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে এটা একটা টিমওয়ার্ক ছিল। যার ফল রিলিজের পর দেখা যাচ্ছে। যাঁরাই দেখছেন তাঁরা কাজটির প্রশংসা করছেন।
সিরিজটি মুক্তির আগে তেমন প্রচার লক্ষ করা যায়নি। আপনি কি মনে করেন দর্শকের কাছে পৌঁছানোর জন্য এতটুকু প্রচার যথেষ্ট?
সিরিজটি অনেক আগে শুট করা। গত বছর রিলিজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার হুট করেই মুক্তি দেওয়া
হয়েছে। আগে থেকে না জানার কারণে সবাই প্রচারে অংশ নিতে পারেননি। আমার দিক থেকে যতটুকু পারছি প্রচারের চেষ্টা করছি।
গত মে মাসে আপনার অভিনীত ‘সুস্বাগতম’ সিনেমার প্রচারেও আপনাকে দেখা যায়নি। এর কী কারণ?
এই সিনেমায় কাজ করা আমার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তাই এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। অনেকের মাঝেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নেগেটিভ চিন্তাভাবনার প্রতিফলন দেখতে পাই। সব সময় নেতিবাচক বিষয় খোঁজেন তাঁরা। তাই যে কাজ আমার পছন্দ নয়, সেই কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে দাঁড়াতে চাই না। সে কারণেই সিনেমাটির প্রচারে অংশ নিতে মন সায় দেয়নি।
নির্মাতা তো দাবি করেছিলেন, আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়েছেন। আসলে কী হয়েছিল?
এ সিনেমা নিয়ে আমার খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবু, কমিটমেন্টের কারণে মাঝপথে কাজ ছেড়ে আসিনি। শিল্পী হিসেবে আমার যতটুকু কমিটমেন্ট ছিল তার পুরোটাই পূরণ করেছি। তবে, একটি ভালো সিনেমা নির্মাণের জন্য পরিচালকেরও কমিটমেন্ট থাকতে হয়। আমি অভিনয়শিল্পী, শুধু অভিনয় করতে পারব। নির্মাণটা যাঁর হাতে, তিনি যখন ভালো নির্মাণ করতে না পারেন, তখন কিন্তু সেই সিনেমার প্রচারে আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়। এত কষ্ট করে সম্মান অর্জন করেছি, সেটা তো একটি কাজের জন্য নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। এটাই প্রচারে অংশ না নেওয়ার কারণ।
তাহলে এ সিনেমায় অভিনয় করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল? কাজ শুরুর আগে সেটা টের পাননি?
অনেক সময় আগে থেকে বোঝা যায় না কাজটি কেমন হবে। আমিও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। আরও ভালো করে খোঁজ নিয়ে, বুঝেশুনে কাজটায় যুক্ত হওয়া উচিত ছিল।
ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই সিনেমা নির্বাচনে আরও সতর্ক থাকবেন?
অবশ্যই কাজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হব। আমি সব সময় চিত্রনাট্য বাছাইয়ে সতর্ক থাকি। ১০টা কাজ করার চেয়ে দুইটা ভালো কাজ করতে পছন্দ করি। এ সিনেমাও চিত্রনাট্য পড়ে বাছাই করেছি। কিন্তু ডাবিংয়ের সময় কাজটা দেখে অরুচি লেগেছে। এত সুন্দর একটা চিত্রনাট্য অদক্ষ নির্মাণের কারণে নষ্ট হয়ে গেল। এটা আমার জন্য শিক্ষা। তবে শিক্ষার চেয়ে বড় বিষয়, মনের ভেতর ভয় ঢুকে গেছে। এর পর থেকে নতুন কোনো পরিচালক কাজের প্রস্তাব দিলে ভয় লাগে।
এবার ঈদে তো নাটকেও অভিনয় করেছেন?
এক বছর পর নাটকে অভিনয় করা হলো। তৌফিকুল ইসলামের ‘নূর’ নাটকে অভিনয় করেছি। সহশিল্পী ছিলেন মুশফিক ফারহান। ভালো সাড়া পাচ্ছি।
এখন থেকে নাটকে নিয়মিত সময় দেবেন?
সত্যি বলতে, নাটকে ফেরার ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি তো বলেই দিয়েছিলাম, নাটক আর করব না। ফেরাটা হয়েছে দর্শকের কথা ভেবে। নাটকে নিয়মিত হব কি না, জানি না। যদি ভালো গল্প আসে, তাহলে হয়তো কাজ করব।
এ বছরেই নতুন জীবন শুরু করেছেন। কেমন চলছে দাম্পত্য জীবন?
আমি ব্যক্তিগত বিষয়গুলো আড়ালে রাখার চেষ্টা করি। যতটুকু সম্ভব আমার নতুন জীবনও প্রাইভেট রাখার চেষ্টা করছি। কারণ, মানুষের নজর লেগে যায়। কোনো না কোনোভাবে দুটি বাজে কথা বলেই ফেলে। দাম্পত্য সম্পর্কটা আমার কাছে টিমওয়ার্ক। আমরা দুজনেই নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করছি। আর এই সম্পর্কে বন্ধুত্বটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমাদের মধ্যে আছে। আশা করি, আমাদের এই যাত্রাটা মৃত্যুর আগপর্যন্ত ভালোভাবে পার করতে পারব।
রইল বাকি ১০ সিরিজের গল্প কী নিয়ে?
এটা থ্রিলার জনরার গল্প। মার্ডার মিষ্ট্রি। একটি শহরের কয়েকজন বন্ধু একের পর এক খুন হতে থাকে। পুলিশ খুনিকে খুঁজতে নামলে ধীরে ধীরে রহস্য উন্মোচিত হয়। আমার চরিত্রটি ব্যাড গার্ল ধরনের। সাধারণত যে ধরনের চরিত্রে আমাকে দেখা যায় তার চেয়ে আলাদা।
ব্যতিক্রমী চরিত্র। তার মানে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। সেই প্রস্তুতিটা কেমন ছিল?
এটা যেহেতু সুইট ক্যারেক্টার নয়, তাই নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। হাসি কিংবা তাকানোর স্টাইল—সবকিছুতেই পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। পরিচালক সাবিন ভাই খুব সহায়তা করেছেন। তাঁর কাছ থেকে জেনে নিয়েছি, তিনি চরিত্রটিকে পর্দায় কীভাবে, কেমন দেখতে চাইছেন। শুধু আমি নই, যাঁরা অভিনয় করেছেন, সবাই প্রস্তুতি নিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে এটা একটা টিমওয়ার্ক ছিল। যার ফল রিলিজের পর দেখা যাচ্ছে। যাঁরাই দেখছেন তাঁরা কাজটির প্রশংসা করছেন।
সিরিজটি মুক্তির আগে তেমন প্রচার লক্ষ করা যায়নি। আপনি কি মনে করেন দর্শকের কাছে পৌঁছানোর জন্য এতটুকু প্রচার যথেষ্ট?
সিরিজটি অনেক আগে শুট করা। গত বছর রিলিজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার হুট করেই মুক্তি দেওয়া
হয়েছে। আগে থেকে না জানার কারণে সবাই প্রচারে অংশ নিতে পারেননি। আমার দিক থেকে যতটুকু পারছি প্রচারের চেষ্টা করছি।
গত মে মাসে আপনার অভিনীত ‘সুস্বাগতম’ সিনেমার প্রচারেও আপনাকে দেখা যায়নি। এর কী কারণ?
এই সিনেমায় কাজ করা আমার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তাই এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। অনেকের মাঝেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নেগেটিভ চিন্তাভাবনার প্রতিফলন দেখতে পাই। সব সময় নেতিবাচক বিষয় খোঁজেন তাঁরা। তাই যে কাজ আমার পছন্দ নয়, সেই কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে দাঁড়াতে চাই না। সে কারণেই সিনেমাটির প্রচারে অংশ নিতে মন সায় দেয়নি।
নির্মাতা তো দাবি করেছিলেন, আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়েছেন। আসলে কী হয়েছিল?
এ সিনেমা নিয়ে আমার খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবু, কমিটমেন্টের কারণে মাঝপথে কাজ ছেড়ে আসিনি। শিল্পী হিসেবে আমার যতটুকু কমিটমেন্ট ছিল তার পুরোটাই পূরণ করেছি। তবে, একটি ভালো সিনেমা নির্মাণের জন্য পরিচালকেরও কমিটমেন্ট থাকতে হয়। আমি অভিনয়শিল্পী, শুধু অভিনয় করতে পারব। নির্মাণটা যাঁর হাতে, তিনি যখন ভালো নির্মাণ করতে না পারেন, তখন কিন্তু সেই সিনেমার প্রচারে আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়। এত কষ্ট করে সম্মান অর্জন করেছি, সেটা তো একটি কাজের জন্য নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। এটাই প্রচারে অংশ না নেওয়ার কারণ।
তাহলে এ সিনেমায় অভিনয় করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল? কাজ শুরুর আগে সেটা টের পাননি?
অনেক সময় আগে থেকে বোঝা যায় না কাজটি কেমন হবে। আমিও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। আরও ভালো করে খোঁজ নিয়ে, বুঝেশুনে কাজটায় যুক্ত হওয়া উচিত ছিল।
ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই সিনেমা নির্বাচনে আরও সতর্ক থাকবেন?
অবশ্যই কাজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হব। আমি সব সময় চিত্রনাট্য বাছাইয়ে সতর্ক থাকি। ১০টা কাজ করার চেয়ে দুইটা ভালো কাজ করতে পছন্দ করি। এ সিনেমাও চিত্রনাট্য পড়ে বাছাই করেছি। কিন্তু ডাবিংয়ের সময় কাজটা দেখে অরুচি লেগেছে। এত সুন্দর একটা চিত্রনাট্য অদক্ষ নির্মাণের কারণে নষ্ট হয়ে গেল। এটা আমার জন্য শিক্ষা। তবে শিক্ষার চেয়ে বড় বিষয়, মনের ভেতর ভয় ঢুকে গেছে। এর পর থেকে নতুন কোনো পরিচালক কাজের প্রস্তাব দিলে ভয় লাগে।
এবার ঈদে তো নাটকেও অভিনয় করেছেন?
এক বছর পর নাটকে অভিনয় করা হলো। তৌফিকুল ইসলামের ‘নূর’ নাটকে অভিনয় করেছি। সহশিল্পী ছিলেন মুশফিক ফারহান। ভালো সাড়া পাচ্ছি।
এখন থেকে নাটকে নিয়মিত সময় দেবেন?
সত্যি বলতে, নাটকে ফেরার ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি তো বলেই দিয়েছিলাম, নাটক আর করব না। ফেরাটা হয়েছে দর্শকের কথা ভেবে। নাটকে নিয়মিত হব কি না, জানি না। যদি ভালো গল্প আসে, তাহলে হয়তো কাজ করব।
এ বছরেই নতুন জীবন শুরু করেছেন। কেমন চলছে দাম্পত্য জীবন?
আমি ব্যক্তিগত বিষয়গুলো আড়ালে রাখার চেষ্টা করি। যতটুকু সম্ভব আমার নতুন জীবনও প্রাইভেট রাখার চেষ্টা করছি। কারণ, মানুষের নজর লেগে যায়। কোনো না কোনোভাবে দুটি বাজে কথা বলেই ফেলে। দাম্পত্য সম্পর্কটা আমার কাছে টিমওয়ার্ক। আমরা দুজনেই নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করছি। আর এই সম্পর্কে বন্ধুত্বটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমাদের মধ্যে আছে। আশা করি, আমাদের এই যাত্রাটা মৃত্যুর আগপর্যন্ত ভালোভাবে পার করতে পারব।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে