ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
‘কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। যেখানে একটু দূরেই খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকা কেজি। গাঁজর ১৫ টাকা পাইকারি, আর খুচরা ৪৫ টাকা। প্রায় সব কাঁচা তরকারির দাম দুই বাজারে পার্থক্য এখন। এ জন্য পাইকারি বাজারে কিনতে আসি। এখানে আবার এক কেজি কিছু বিক্রি করে না। তবে বেশ কম খরচে সব কেনা যায়।’
মাগুরা-ঢাকা সড়কের পাশে পাইকারি কাঁচাবাজার আড়তে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক সেলিম হোসেন এমনটাই বলছিলেন বাজার করতে এসে।
তিনি আরও বলেন, ‘শহরের পুলিশ লাইন, ইটখোলা বাজারে যান, সেখানে এই কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি। গতকাল আমার ছোট ভাই কিনে আনছে। সেখানে এই গাঁজর ১৫ টাকায় কিনে ৬০-৭০ টাকা বিক্রি করছে। প্রশাসনের লোকজনই কিনছে, কিন্তু কিছু বলছে না। তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবে বলেন।’
মাগুরা জেলা শহরে একমাত্র কাঁচাবাজার পাইকারি আড়ত একতা কাঁচাবাজার। সকাল থেকে ঢাকা রোড এলাকায় ভিড় হয় কাঁচা তরিতরকারি নিয়ে আসা ছোট-বড় যান চলাচলে।
মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা আসেন এখানে পাইকারি দামে সবজি কিনতে। তবে এই কাঁচা সবজি খুচরা বাজারে ক্রেতারা কিনছেন দুই-তিন গুণ চড়া দামে। যেখানে ক্রেতারা বলছেন, ‘এটা ঠকানো ছাড়া কিছু নয়।’
বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলে ধরে খুচরা কিনতে আসা ক্রেতা মিজান আহমেদ বলেন, ‘কী আর বলব। নিজেও তো এক ব্যবসায়ী। মানুষের থেকে যা নিলে আমার পোষাবে তা-ই নিই। যে জন্য আমার কাপড়ের দোকানে মানুষ বিশ্বাস করে আসে। আর কাঁচাবাজারে যেন সবসময় আগুন। এখন ফুলকপি ট্রাকভরে বিভিন্ন জায়গাতে যাচ্ছে। মাঠভরা বাঁধাকপি ও ফুলকপি। অথচ খুচরাবাজারে এখনো ৫০-৬০ টাকা কেজি। পাইকারি বাজারে যান ১৫-২০ টাকার বেশি নয়।’
অপর ক্রেতা সুমনা সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন বাজারে আসি না। যখনেই আসি স্কুলে যাওয়ার পথে আসি। তবে বাজারে দাম নেক বেশি। বিশেষ করে শীত মৌসুমে বেশি দাম নিচ্ছে ক্রেতারা। তারা বলছে অল্প দামে ছেড়ে দিচ্ছি। অথচ পাইকারি বাজারে দেখবেন এই নতুন আলু ১৫ টাকা কেজি। এখানে ৩০ টাকা কেজিতে কিনলাম। কী করব পাইকারি বাজারে যেতে সমস্যা। এনারা কয়েক মণ করে আনে, কিছু লাভ রেখে বিক্রি করবে, তা না সবসময় বেশি দাম হাঁকায়। আমরা জিম্মি বলতে পারেন।’
মাগুরা একতা পাইকারি বাজারের আড়তদার কুষ্ণ কুমার জানান, আড়তে সবসময় কম দামে বিক্রি হয়। এখানে যাঁরা কিনতে আসেন, তাঁরা সবাই প্রায় খুচরা বিক্রেতা। তাই তাঁরা যেন কম দামে কিনে নির্দিষ্ট লাভ করে বিক্রি করেন, সেটাও আমরাও ঠিক করি। কিন্তু বেশি দামে যদি কেউ বিক্রি করেন, সেটা আমরা কীভাবে কী করব।’
পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৫ টাকা, গাজর ও টমেটো ২০, নতুন পেঁয়াজ ৩০, রসুন ২৫, লাউ প্রতিটি ৫০-৬০, নতুন আলু ১৫-২০, বেগুন প্রকারভেদে ৩০-৪০, পালংশাক কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিপরীতে মাগুরার খুচরা দুই বড় বাজার পুরোনো ও নতুন বাজারে উপরিউক্ত তরকারির দাম দ্বিগুণ; কোনো ক্ষেত্রে তিন গুণও পাওয়া গেছে।
খুচরা বিক্রেতা বিশেষ করে পুলিশ লাইন, ইটখোলা বাজারে তিন গুণ করে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সেখানে একটি লাউ প্রায় ১০০ টাকা। বেগুন ৮০, কাঁচামরিচ ৭০, পালংশাক ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। নতুন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মহিদুল শেখ জানান, একটু লাভ না করলে চলবে কী করে। তবে পাইকারি থেকে খুচরা দামের পার্থক্য খুব বেশি থাকা উচিত নয়। কারণ ক্রেতারা সবাই এক রকম অবস্থায় থাকে না।
মাগুরা খুচরা পুরোনো বাজার এলাকার সমিতির সভাপতি বাদশা মিয়া বলেন, ‘দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ থাকবে এটা স্বাভাবিক। দোকান ভাড়া, কারেন্ট, অন্য খরচ সব বাড়তি। বাজার করে তো আমাদেরও খেতে হয়। তাই আগের মতো স্বল্প লাভে বিক্রি করলে সংসার চলবে না। এটা ক্রেতারা যদি বুঝতেন, তাহলে আমাদের জন্য ব্যবসা করাটা সহজ হতো।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মামুনুল হাসান জানান, ভোক্তারা যদি কোনো পণ্য কিনে ঠকছেন মনে করেন, তবে আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। আমরা অভিযোগটি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তবে অভিযোগ যেন সুনির্দিষ্ট হয়। প্রমাণ থাকে যে একজন ক্রেতা দ্রব্য কিনে ঠকেছেন।
‘কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। যেখানে একটু দূরেই খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকা কেজি। গাঁজর ১৫ টাকা পাইকারি, আর খুচরা ৪৫ টাকা। প্রায় সব কাঁচা তরকারির দাম দুই বাজারে পার্থক্য এখন। এ জন্য পাইকারি বাজারে কিনতে আসি। এখানে আবার এক কেজি কিছু বিক্রি করে না। তবে বেশ কম খরচে সব কেনা যায়।’
মাগুরা-ঢাকা সড়কের পাশে পাইকারি কাঁচাবাজার আড়তে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক সেলিম হোসেন এমনটাই বলছিলেন বাজার করতে এসে।
তিনি আরও বলেন, ‘শহরের পুলিশ লাইন, ইটখোলা বাজারে যান, সেখানে এই কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি। গতকাল আমার ছোট ভাই কিনে আনছে। সেখানে এই গাঁজর ১৫ টাকায় কিনে ৬০-৭০ টাকা বিক্রি করছে। প্রশাসনের লোকজনই কিনছে, কিন্তু কিছু বলছে না। তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবে বলেন।’
মাগুরা জেলা শহরে একমাত্র কাঁচাবাজার পাইকারি আড়ত একতা কাঁচাবাজার। সকাল থেকে ঢাকা রোড এলাকায় ভিড় হয় কাঁচা তরিতরকারি নিয়ে আসা ছোট-বড় যান চলাচলে।
মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা আসেন এখানে পাইকারি দামে সবজি কিনতে। তবে এই কাঁচা সবজি খুচরা বাজারে ক্রেতারা কিনছেন দুই-তিন গুণ চড়া দামে। যেখানে ক্রেতারা বলছেন, ‘এটা ঠকানো ছাড়া কিছু নয়।’
বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলে ধরে খুচরা কিনতে আসা ক্রেতা মিজান আহমেদ বলেন, ‘কী আর বলব। নিজেও তো এক ব্যবসায়ী। মানুষের থেকে যা নিলে আমার পোষাবে তা-ই নিই। যে জন্য আমার কাপড়ের দোকানে মানুষ বিশ্বাস করে আসে। আর কাঁচাবাজারে যেন সবসময় আগুন। এখন ফুলকপি ট্রাকভরে বিভিন্ন জায়গাতে যাচ্ছে। মাঠভরা বাঁধাকপি ও ফুলকপি। অথচ খুচরাবাজারে এখনো ৫০-৬০ টাকা কেজি। পাইকারি বাজারে যান ১৫-২০ টাকার বেশি নয়।’
অপর ক্রেতা সুমনা সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন বাজারে আসি না। যখনেই আসি স্কুলে যাওয়ার পথে আসি। তবে বাজারে দাম নেক বেশি। বিশেষ করে শীত মৌসুমে বেশি দাম নিচ্ছে ক্রেতারা। তারা বলছে অল্প দামে ছেড়ে দিচ্ছি। অথচ পাইকারি বাজারে দেখবেন এই নতুন আলু ১৫ টাকা কেজি। এখানে ৩০ টাকা কেজিতে কিনলাম। কী করব পাইকারি বাজারে যেতে সমস্যা। এনারা কয়েক মণ করে আনে, কিছু লাভ রেখে বিক্রি করবে, তা না সবসময় বেশি দাম হাঁকায়। আমরা জিম্মি বলতে পারেন।’
মাগুরা একতা পাইকারি বাজারের আড়তদার কুষ্ণ কুমার জানান, আড়তে সবসময় কম দামে বিক্রি হয়। এখানে যাঁরা কিনতে আসেন, তাঁরা সবাই প্রায় খুচরা বিক্রেতা। তাই তাঁরা যেন কম দামে কিনে নির্দিষ্ট লাভ করে বিক্রি করেন, সেটাও আমরাও ঠিক করি। কিন্তু বেশি দামে যদি কেউ বিক্রি করেন, সেটা আমরা কীভাবে কী করব।’
পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৫ টাকা, গাজর ও টমেটো ২০, নতুন পেঁয়াজ ৩০, রসুন ২৫, লাউ প্রতিটি ৫০-৬০, নতুন আলু ১৫-২০, বেগুন প্রকারভেদে ৩০-৪০, পালংশাক কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিপরীতে মাগুরার খুচরা দুই বড় বাজার পুরোনো ও নতুন বাজারে উপরিউক্ত তরকারির দাম দ্বিগুণ; কোনো ক্ষেত্রে তিন গুণও পাওয়া গেছে।
খুচরা বিক্রেতা বিশেষ করে পুলিশ লাইন, ইটখোলা বাজারে তিন গুণ করে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সেখানে একটি লাউ প্রায় ১০০ টাকা। বেগুন ৮০, কাঁচামরিচ ৭০, পালংশাক ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। নতুন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মহিদুল শেখ জানান, একটু লাভ না করলে চলবে কী করে। তবে পাইকারি থেকে খুচরা দামের পার্থক্য খুব বেশি থাকা উচিত নয়। কারণ ক্রেতারা সবাই এক রকম অবস্থায় থাকে না।
মাগুরা খুচরা পুরোনো বাজার এলাকার সমিতির সভাপতি বাদশা মিয়া বলেন, ‘দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ থাকবে এটা স্বাভাবিক। দোকান ভাড়া, কারেন্ট, অন্য খরচ সব বাড়তি। বাজার করে তো আমাদেরও খেতে হয়। তাই আগের মতো স্বল্প লাভে বিক্রি করলে সংসার চলবে না। এটা ক্রেতারা যদি বুঝতেন, তাহলে আমাদের জন্য ব্যবসা করাটা সহজ হতো।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মামুনুল হাসান জানান, ভোক্তারা যদি কোনো পণ্য কিনে ঠকছেন মনে করেন, তবে আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। আমরা অভিযোগটি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তবে অভিযোগ যেন সুনির্দিষ্ট হয়। প্রমাণ থাকে যে একজন ক্রেতা দ্রব্য কিনে ঠকেছেন।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে