মিজানুর রহমান, কাউনিয়া
উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং ভারী বর্ষণে গত কয়েক দিন ধরে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন। চরের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে ইতিমধ্যে ঢুকেছে ঢলের পানি। ভাঙছে তীরবর্তী গ্রামের বসতভিটা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বেলা তিনটায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির প্রবল স্রোতের চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে ঢলের পানি ঢুকে পড়েছে।’
জানা যায়, রোববার বেলা তিনটার দিকে কাউনিয়া রেলওয়ে ও সড়ক সেতু পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের তিস্তার তীরবর্তী পাঞ্চরভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য আরমান আলী বলেন, ‘রোববার ভোর থেকে নদীর পানি বাড়ছে। নদী পাড়ের বাসিন্দারা ভয়ে আছের কখন পানি ঘরে ঢুকে যায়।
ওই গ্রামের সাহিদা বেগম বলেন, ‘দিনে পানি বাড়লে কষ্ট কম হয়। তবে রাতে পানি বেড়ে বসতঘরে ঢুকলে সন্তান, গরু–ছাগল নিয়ে উঁচু স্থানে যাইতে কষ্ট হয়।’
চরগনাই গ্রামের বাসিন্দা আকলিমা বেওয়া বলেন, ‘হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। যেভাবে পানি বাড়া শুরু হইছে, চর এলাকায় বন্যা হতে পারে।’
তালুকসাহাবাজ গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় হামার সব শ্যাষ হয়া গেইছিল। আবার তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করছে। যদি এবার বন্যা হয় তাইলে খাইম কি চলিম কী করি।’
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনসার আলী বলেন, ‘যে গতিতে তিস্তায় পানি বাড়ছে তাতে তীরবর্তী হরিচরণশর্মা, আজমখা, হয়বৎখা, বিশ্বনাথ, চরগনাই, রাজিব, ঢুষমারা, গোপিডাঙ্গা, গদাই, পাঞ্চরভাঙ্গা, তালুকশাহাবাজ গ্রামের বাসিন্দারা বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন।’
উপজেলার টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় রোববার ভোর থেকে তিস্তায় পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। পানির তীব্র স্রোতে চরগনাই গ্রামের তিনটি বসতবাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, ‘রোববার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। ভারী বর্ষণ এবং উজানের ঢলে পানি বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।’
নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে যাতে ভাঙন রোধ করা যায়, সে জন্য জিওব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। আশা করছি, প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধ করতে পারব।’
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, ‘বন্যায় যাতে কেউ কষ্ট না পায়, এ জন্য শুকনো খাবার, চাল, নগদ টাকা সবই মজুত আছে। যখন যা প্রয়োজন হবে, তা দিতে পারব আমরা।’
ইউএনও তাহমিনা তারিন আরও বলেন, ‘সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। বন্যায় প্লাবিত হতে পারে এমন এলাকার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষদের খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।’
উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং ভারী বর্ষণে গত কয়েক দিন ধরে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন। চরের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে ইতিমধ্যে ঢুকেছে ঢলের পানি। ভাঙছে তীরবর্তী গ্রামের বসতভিটা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বেলা তিনটায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির প্রবল স্রোতের চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে ঢলের পানি ঢুকে পড়েছে।’
জানা যায়, রোববার বেলা তিনটার দিকে কাউনিয়া রেলওয়ে ও সড়ক সেতু পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের তিস্তার তীরবর্তী পাঞ্চরভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য আরমান আলী বলেন, ‘রোববার ভোর থেকে নদীর পানি বাড়ছে। নদী পাড়ের বাসিন্দারা ভয়ে আছের কখন পানি ঘরে ঢুকে যায়।
ওই গ্রামের সাহিদা বেগম বলেন, ‘দিনে পানি বাড়লে কষ্ট কম হয়। তবে রাতে পানি বেড়ে বসতঘরে ঢুকলে সন্তান, গরু–ছাগল নিয়ে উঁচু স্থানে যাইতে কষ্ট হয়।’
চরগনাই গ্রামের বাসিন্দা আকলিমা বেওয়া বলেন, ‘হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। যেভাবে পানি বাড়া শুরু হইছে, চর এলাকায় বন্যা হতে পারে।’
তালুকসাহাবাজ গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় হামার সব শ্যাষ হয়া গেইছিল। আবার তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করছে। যদি এবার বন্যা হয় তাইলে খাইম কি চলিম কী করি।’
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনসার আলী বলেন, ‘যে গতিতে তিস্তায় পানি বাড়ছে তাতে তীরবর্তী হরিচরণশর্মা, আজমখা, হয়বৎখা, বিশ্বনাথ, চরগনাই, রাজিব, ঢুষমারা, গোপিডাঙ্গা, গদাই, পাঞ্চরভাঙ্গা, তালুকশাহাবাজ গ্রামের বাসিন্দারা বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন।’
উপজেলার টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় রোববার ভোর থেকে তিস্তায় পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। পানির তীব্র স্রোতে চরগনাই গ্রামের তিনটি বসতবাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, ‘রোববার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। ভারী বর্ষণ এবং উজানের ঢলে পানি বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।’
নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে যাতে ভাঙন রোধ করা যায়, সে জন্য জিওব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। আশা করছি, প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধ করতে পারব।’
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, ‘বন্যায় যাতে কেউ কষ্ট না পায়, এ জন্য শুকনো খাবার, চাল, নগদ টাকা সবই মজুত আছে। যখন যা প্রয়োজন হবে, তা দিতে পারব আমরা।’
ইউএনও তাহমিনা তারিন আরও বলেন, ‘সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। বন্যায় প্লাবিত হতে পারে এমন এলাকার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষদের খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে