প্রথমবারের মতো পরিচালক হিসেবে কোনো চলচ্চিত্র উৎসবে এলেন আপনি…
এটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া। কত পরিচালক আছেন, যাঁরা কত সিনেমা করেছেন, কিন্তু এ রকম একটা ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে হয়তো তাঁদের সিনেমা দেখানো হয় না। ‘এবং ছাদ’ আমার প্রথম পরিচালনা, ঢাকা উৎসবে কিন্তু আমি শ্রীলেখা বলে আমার সিনেমাটা সুযোগ পায়নি। এখানে যাঁরা জুরি আছেন, তাঁরা যাচাই-বাছাই করেই নির্বাচন করেছেন। আরেকটা বিষয় না বললে অন্যায় করা হবে, সেটা হচ্ছে, আমি কলকাতার মেয়ে। কিন্তু আমার সিনেমাটি কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিলেক্ট হয়নি। আসলে, কলকাতার চেয়ে ঢাকার লোকজন আমাকে বেশি ভালোবাসেন।
আপনি দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করছেন। এই প্রথম ক্যামেরার পেছনে। পরিচালনায় এলেন কী ভেবে?
আমি শুধু অভিনয় নয়, কিছুটা লেখালেখিও করি। সেটা করতে করতেই একটা চিত্র ভেসে উঠল। আমি যেহেতু একজন রোমান্টিক ও ইমোশনাল মানুষ, সেই ছোটবেলার যে বাড়ি, বাড়ির ছাদ—আমি খুব মিস করি। আজকে যে উঁচু উঁচু বাড়ি হচ্ছে, আকাশটা ছোট হচ্ছে, জানালা দিয়ে আমরা আকাশ দেখছি, আমরা এখন ছাদে উঠে সময় কাটাই না নিজের সঙ্গে। এই স্মার্টফোনের দুনিয়ায় আমাদের সবকিছুই এখন ফোনকেন্দ্রিক। সেখানে একটু নস্টালজিক, একটু ডাউন দ্য মেমোরি লেন আমার এই ছবিটা।
‘এবং ছাদ’ প্রযোজনাও করেছেন আপনি…
প্রযোজনা আমি করতে চাই না। আমি চাই, লোকে আমার সিনেমা প্রযোজনা করুক। আমার অত টাকাপয়সা নেই। খুব কম পয়সা দিয়ে নিজে ছবিটা বানিয়েছি। এটা দেখে যদি লোকজনের আমার প্রতি বিশ্বাস হয়, তাহলে হয়তো অনেকে এগিয়ে আসবেন। কারণ লোকে আমার অভিনয় দেখেছে, কিন্তু আমি কেমন ডিরেক্ট করব, তা তো জানে না। সুতরাং নিজের পয়সাতেই প্রথম সিনেমাটি করেছি।
পরিচালনা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা কী?
‘এবং ছাদ’ আসলে একটা অ্যান্থলজি করতে চাই। বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বেডরুম, বাথরুম—এই টোটালটা মিলে আমার ছবির নাম হবে ‘তোমার বাড়ি আমার ঘর’।
ফেরদৌসের সঙ্গে আপনি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’তে কাজ করেছিলেন। শোনা যাচ্ছে, আরেকটি সিনেমায় আবার আপনারা একত্র হচ্ছেন। সেটা নিয়ে কিছু বলবেন?
দুটো অফার এসেছে। কিন্তু আমি নাম বলব না। আমার তো দুটো গল্পই খুব ভালো লেগেছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, আমি শিগগিরই আবার বাংলাদেশে আসছি। অফিশিয়াল ঘোষণা না এলে তো কিছু জানাতে পারছি না। তবে এটুকু বলে রাখি, ফেরদৌসের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি থেকে আমি একটা সিনেমার শুটিং শুরু করছি।
বাংলাদেশের অনেকেই এখন কলকাতায় নিয়মিত কাজ করছেন। এখানকার কারও কাজ কি দেখেছেন আপনি?
আমি ঢাকার অনেকেরই ফ্যান। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় আমার দারুণ লাগে। আরেকজন আছেন—মোশাররফ করিম। হি ইজ অসাম। অসম্ভব ভালো। অনেক নাটক-সিরিজ দেখি, অনেককেই ভালো লাগে, তবে সবার নাম তো আমি জানি না।
বাংলাদেশ আপনার পিতৃভূমি। এখানকার কোনো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে এখন যোগাযোগ আছে?
বলতে গেলে, আমার প্রথম দেশ বাংলাদেশ। আমাদের বাড়ি মাদারীপুর, ফরিদপুর। এখন সেখানে দূর সম্পর্কের আত্মীয়স্বজন হয়তো থাকলেও থাকতে পারে। আমরা জমিদার ছিলাম ফরিদপুর ঘটমাঝি গ্রামের। পার্টিশনের পর সবকিছু ছেড়ে বাবাকে চলে যেতে হয়েছিল।
শেষ প্রশ্ন, শ্রীলেখা কি এখন সিঙ্গেল?
সিঙ্গেল, বাট নট হ্যাপি তো মিঙ্গেল। এভাবেই ভালো আছি। বেশ বয়স হয়েছে। আমার মেয়ের এখন বয়ফ্রেন্ড হওয়ার কথা। কিন্তু আমি রোমান্সে আছি, প্রেমে আছি। প্রেমে আছি বলতে, ওই যে আমার জীবে প্রেম। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, জীবে প্রেম করে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর। এবং ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, যেটা আমাদের দেশেও আছে, আমি সেটার বিরুদ্ধে কথা বলি। একটা হ্যাশট্যাগ শুরু করেছি, মাই রিলিজিয়ন অব লাভ। সুতরাং আমার ধর্মই তো প্রেম।
প্রথমবারের মতো পরিচালক হিসেবে কোনো চলচ্চিত্র উৎসবে এলেন আপনি…
এটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া। কত পরিচালক আছেন, যাঁরা কত সিনেমা করেছেন, কিন্তু এ রকম একটা ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে হয়তো তাঁদের সিনেমা দেখানো হয় না। ‘এবং ছাদ’ আমার প্রথম পরিচালনা, ঢাকা উৎসবে কিন্তু আমি শ্রীলেখা বলে আমার সিনেমাটা সুযোগ পায়নি। এখানে যাঁরা জুরি আছেন, তাঁরা যাচাই-বাছাই করেই নির্বাচন করেছেন। আরেকটা বিষয় না বললে অন্যায় করা হবে, সেটা হচ্ছে, আমি কলকাতার মেয়ে। কিন্তু আমার সিনেমাটি কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিলেক্ট হয়নি। আসলে, কলকাতার চেয়ে ঢাকার লোকজন আমাকে বেশি ভালোবাসেন।
আপনি দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করছেন। এই প্রথম ক্যামেরার পেছনে। পরিচালনায় এলেন কী ভেবে?
আমি শুধু অভিনয় নয়, কিছুটা লেখালেখিও করি। সেটা করতে করতেই একটা চিত্র ভেসে উঠল। আমি যেহেতু একজন রোমান্টিক ও ইমোশনাল মানুষ, সেই ছোটবেলার যে বাড়ি, বাড়ির ছাদ—আমি খুব মিস করি। আজকে যে উঁচু উঁচু বাড়ি হচ্ছে, আকাশটা ছোট হচ্ছে, জানালা দিয়ে আমরা আকাশ দেখছি, আমরা এখন ছাদে উঠে সময় কাটাই না নিজের সঙ্গে। এই স্মার্টফোনের দুনিয়ায় আমাদের সবকিছুই এখন ফোনকেন্দ্রিক। সেখানে একটু নস্টালজিক, একটু ডাউন দ্য মেমোরি লেন আমার এই ছবিটা।
‘এবং ছাদ’ প্রযোজনাও করেছেন আপনি…
প্রযোজনা আমি করতে চাই না। আমি চাই, লোকে আমার সিনেমা প্রযোজনা করুক। আমার অত টাকাপয়সা নেই। খুব কম পয়সা দিয়ে নিজে ছবিটা বানিয়েছি। এটা দেখে যদি লোকজনের আমার প্রতি বিশ্বাস হয়, তাহলে হয়তো অনেকে এগিয়ে আসবেন। কারণ লোকে আমার অভিনয় দেখেছে, কিন্তু আমি কেমন ডিরেক্ট করব, তা তো জানে না। সুতরাং নিজের পয়সাতেই প্রথম সিনেমাটি করেছি।
পরিচালনা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা কী?
‘এবং ছাদ’ আসলে একটা অ্যান্থলজি করতে চাই। বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বেডরুম, বাথরুম—এই টোটালটা মিলে আমার ছবির নাম হবে ‘তোমার বাড়ি আমার ঘর’।
ফেরদৌসের সঙ্গে আপনি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’তে কাজ করেছিলেন। শোনা যাচ্ছে, আরেকটি সিনেমায় আবার আপনারা একত্র হচ্ছেন। সেটা নিয়ে কিছু বলবেন?
দুটো অফার এসেছে। কিন্তু আমি নাম বলব না। আমার তো দুটো গল্পই খুব ভালো লেগেছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, আমি শিগগিরই আবার বাংলাদেশে আসছি। অফিশিয়াল ঘোষণা না এলে তো কিছু জানাতে পারছি না। তবে এটুকু বলে রাখি, ফেরদৌসের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি থেকে আমি একটা সিনেমার শুটিং শুরু করছি।
বাংলাদেশের অনেকেই এখন কলকাতায় নিয়মিত কাজ করছেন। এখানকার কারও কাজ কি দেখেছেন আপনি?
আমি ঢাকার অনেকেরই ফ্যান। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় আমার দারুণ লাগে। আরেকজন আছেন—মোশাররফ করিম। হি ইজ অসাম। অসম্ভব ভালো। অনেক নাটক-সিরিজ দেখি, অনেককেই ভালো লাগে, তবে সবার নাম তো আমি জানি না।
বাংলাদেশ আপনার পিতৃভূমি। এখানকার কোনো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে এখন যোগাযোগ আছে?
বলতে গেলে, আমার প্রথম দেশ বাংলাদেশ। আমাদের বাড়ি মাদারীপুর, ফরিদপুর। এখন সেখানে দূর সম্পর্কের আত্মীয়স্বজন হয়তো থাকলেও থাকতে পারে। আমরা জমিদার ছিলাম ফরিদপুর ঘটমাঝি গ্রামের। পার্টিশনের পর সবকিছু ছেড়ে বাবাকে চলে যেতে হয়েছিল।
শেষ প্রশ্ন, শ্রীলেখা কি এখন সিঙ্গেল?
সিঙ্গেল, বাট নট হ্যাপি তো মিঙ্গেল। এভাবেই ভালো আছি। বেশ বয়স হয়েছে। আমার মেয়ের এখন বয়ফ্রেন্ড হওয়ার কথা। কিন্তু আমি রোমান্সে আছি, প্রেমে আছি। প্রেমে আছি বলতে, ওই যে আমার জীবে প্রেম। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, জীবে প্রেম করে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর। এবং ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, যেটা আমাদের দেশেও আছে, আমি সেটার বিরুদ্ধে কথা বলি। একটা হ্যাশট্যাগ শুরু করেছি, মাই রিলিজিয়ন অব লাভ। সুতরাং আমার ধর্মই তো প্রেম।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে