নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। সেই হিসাবে ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনের সময়। আগামী নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, তা নিয়ে পাড়া-মহল্লায়, চায়ের দোকানে যেমন আলোচনার শেষ নেই, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। বিএনপির আশঙ্কা, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বরিশাল বিএনপিতে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইবে সরকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেমন উকিল সাত্তারকে জেতানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল, বরিশালেও বিএনপির এমন কাউকে সামনে নিয়ে আসতে পারে ক্ষমতাসীনেরা। এ জন্য আওয়ামী লীগ ঘেঁষা অর্ধডজন নেতাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে বিএনপির হাইকমান্ড।
বিএনপিদলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনে যাতে উকিল সাত্তার-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য একজন সাবেক মেয়র প্রার্থী, একজন সাবেক মেয়রের স্বজন, বিসিসির একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং দলে বারবার বিদ্রোহী হয়ে ওঠা এক নেতাকে চোখে চোখে রেখেছে বিএনপি।
দলীয় হাইকমান্ডের সন্দেহের তালিকায় থাকা এসব নেতার একজন অন্য দল থেকে বিএনপিতে আসা ও দুজন বিগত সিটি করপোরেশনে আওয়ামী ঘেঁষা ছিলেন। এ ছাড়া একজন পদধারী কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন, যিনি বারবার দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিসিসি নির্বাচনে বিএনপির কোনো ছায়া প্রার্থী থাকবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল সাত্তার ইস্যুর ন্যায় বরিশালে কোনো তৎপরতা আছে কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগেও এ-জাতীয় ঘটনা ঘটেছে। সব সময়ই কিছু দুশ্চরিত্র নেতা কেনাবেচা হয়। বরিশালের ক্ষেত্রে এমনটা হবে বলে বিশ্বাস করি না। তবে গুঞ্জন আছে, সাবেক কোনো মেয়রের পরিবারের লোক কিংবা দলের কেউ কেউ এমন লোভে পড়তে পারেন। এ ধরনের সন্দেহভাজনেরা হাইকমান্ডের “ওয়াচে” আছেন। দলে যাঁরা নিজেদের ইমানদার মনে করেন তাঁদের অনেকের ব্যাপারেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সতর্ক।’
নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এখানে দলের অনেক প্রার্থী আছেন। ছায়া প্রার্থীর প্রশ্নই আসে না। তবে উকিল সাত্তারের মতো কেউ পল্টি মারলে বহিষ্কার হয়ে যাবে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দলের নাম বিক্রি করে নির্বাচন করলে মহানগর বিএনপি তাকে সহযোগিতা করবে না। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও সতর্ক। এরা ওয়াচে থাকাটাই স্বাভাবিক। আমরা যাঁরা দল করি তাঁরাও ওয়াচে থাকি।’
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর বরিশালের প্রেক্ষাপট এক নয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র এবং নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নইমুল হোসেন লিটু। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর বরিশালের প্রেক্ষাপট এক নয়। নেত্রী কখন কাকে মনোনয়ন দেবেন, তা বলা কঠিন। তবে বরিশালে মেয়র সাদিকের বিকল্প নাই। বরিশালে উকিল সাত্তারের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না বলা যায় না। নৌকা নিয়ে যে আসবেন তাঁর পক্ষেই প্রকৃত কর্মীরা কাজ করবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় বিসিসির নির্বাচিত মেয়র ছিলেন বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার। এরপর পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরন, পরের ধাপে বিএনপির আহসান হাবিব কামাল এবং নৌকার সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহ মেয়র হন। বিসিসির বর্তমান ভোটার ২ লাখ ৭৫ হাজার ১৭৭ জন।
বরিশালে সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। সেই হিসাবে ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনের সময়। আগামী নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, তা নিয়ে পাড়া-মহল্লায়, চায়ের দোকানে যেমন আলোচনার শেষ নেই, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। বিএনপির আশঙ্কা, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বরিশাল বিএনপিতে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইবে সরকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেমন উকিল সাত্তারকে জেতানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল, বরিশালেও বিএনপির এমন কাউকে সামনে নিয়ে আসতে পারে ক্ষমতাসীনেরা। এ জন্য আওয়ামী লীগ ঘেঁষা অর্ধডজন নেতাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে বিএনপির হাইকমান্ড।
বিএনপিদলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনে যাতে উকিল সাত্তার-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য একজন সাবেক মেয়র প্রার্থী, একজন সাবেক মেয়রের স্বজন, বিসিসির একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং দলে বারবার বিদ্রোহী হয়ে ওঠা এক নেতাকে চোখে চোখে রেখেছে বিএনপি।
দলীয় হাইকমান্ডের সন্দেহের তালিকায় থাকা এসব নেতার একজন অন্য দল থেকে বিএনপিতে আসা ও দুজন বিগত সিটি করপোরেশনে আওয়ামী ঘেঁষা ছিলেন। এ ছাড়া একজন পদধারী কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন, যিনি বারবার দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিসিসি নির্বাচনে বিএনপির কোনো ছায়া প্রার্থী থাকবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল সাত্তার ইস্যুর ন্যায় বরিশালে কোনো তৎপরতা আছে কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগেও এ-জাতীয় ঘটনা ঘটেছে। সব সময়ই কিছু দুশ্চরিত্র নেতা কেনাবেচা হয়। বরিশালের ক্ষেত্রে এমনটা হবে বলে বিশ্বাস করি না। তবে গুঞ্জন আছে, সাবেক কোনো মেয়রের পরিবারের লোক কিংবা দলের কেউ কেউ এমন লোভে পড়তে পারেন। এ ধরনের সন্দেহভাজনেরা হাইকমান্ডের “ওয়াচে” আছেন। দলে যাঁরা নিজেদের ইমানদার মনে করেন তাঁদের অনেকের ব্যাপারেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সতর্ক।’
নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এখানে দলের অনেক প্রার্থী আছেন। ছায়া প্রার্থীর প্রশ্নই আসে না। তবে উকিল সাত্তারের মতো কেউ পল্টি মারলে বহিষ্কার হয়ে যাবে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দলের নাম বিক্রি করে নির্বাচন করলে মহানগর বিএনপি তাকে সহযোগিতা করবে না। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও সতর্ক। এরা ওয়াচে থাকাটাই স্বাভাবিক। আমরা যাঁরা দল করি তাঁরাও ওয়াচে থাকি।’
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর বরিশালের প্রেক্ষাপট এক নয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র এবং নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নইমুল হোসেন লিটু। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর বরিশালের প্রেক্ষাপট এক নয়। নেত্রী কখন কাকে মনোনয়ন দেবেন, তা বলা কঠিন। তবে বরিশালে মেয়র সাদিকের বিকল্প নাই। বরিশালে উকিল সাত্তারের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না বলা যায় না। নৌকা নিয়ে যে আসবেন তাঁর পক্ষেই প্রকৃত কর্মীরা কাজ করবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় বিসিসির নির্বাচিত মেয়র ছিলেন বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার। এরপর পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরন, পরের ধাপে বিএনপির আহসান হাবিব কামাল এবং নৌকার সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহ মেয়র হন। বিসিসির বর্তমান ভোটার ২ লাখ ৭৫ হাজার ১৭৭ জন।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে