বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার বেড়ার কাজিরহাট-মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা নৌপথে আবার সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। ঘাটের একমাত্র পন্টুনে রো রো ফেরি ভিড়তে পারছে না। ফলে এ নৌপথে চলাচল করা রো রো ফেরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনটি ছোট (ডাম্প) ফেরি দিয়ে চলছিল পরিবহন পারাপার।
তিনটির মধ্যে ফেরি ‘কপোতি’ গত রোববার থেকে বিকল। চলছে ‘কদম’ ও ‘ক্যামেলিয়া’ ফেরি। সে কারণে ঘাটে আসা পরিবহনগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গতকাল সোমবার সকালে কাজিরহাট ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাট থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায় দেড় শ যানবাহনের সারি। এতে করে পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড শীতে তাঁরা রাস্তার ওপর রাতযাপন করছেন। টার্মিনালেও নেই পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার।
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর থেকে ডালভর্তি ট্রাক নিয়ে ঢাকায় উদ্দেশে যাত্রা করা পাবনার ট্রাকচালক নেয়ামত আলী বলেন, এই নৌপথটি তাঁদের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানি খরচ কমাতে তাঁরা এ নৌপথ ব্যবহার করে ঢাকায় যাতায়াত করেন। অনেক সময় ঘাটে এসে সঙ্গে সঙ্গে ফেরিতে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু বেশির ভাগ সময় কপালে জোটে দুর্ভোগ। ঘাটের বিশৃঙ্খলার জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
গত রোববার ঘাটে এসে গতকাল সোমবার সকালেও ফেরিতে উঠতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাকচালক জানে আলম। তিনি বলেন, দিনাজপুর থেকে চাল নিয়ে ঘাটে এসে আটকা পড়েছেন। এখানে রাস্তার ওপর অবস্থান করে রাতযাপন করতে হয়েছে। খাওয়া-থাকা সমস্যার পাশাপাশি চুরি-ছিনতাইয়ের আতঙ্ক নিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, রাস্তার ওপর অবস্থান করা পণ্য পরিবহনগুলোর নিরাপত্তার জন্য একটি টহল দল দিন-রাত অবস্থান করছে। তারা সবসময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বিআইডব্লিউটিসি) মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে এ নৌপথে দুটি রো রো ফেরি (বড়) ও দুটি ছোট (ডাম্প) ফেরি দিয়ে পরিবহন পারাপার করা হচ্ছিল। এতে করে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছিল। তবে সম্প্রতি নদীর পানি নিচে নেমে গেলে পন্টুন জটিলতায় রো রো ফেরি দুটি ঘাটে ভিড়তে পারছিল না। পরে রো রো ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ও রো রো ফেরি গোলাম মওলাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ছোট ফেরি ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০টি পরিবহন পার করতে পারছে। তবে প্রতিদিন যে পরিমাণ পরিবহন এ ঘাটে আসছে, তাতে জরুরিভাবে নতুন পন্টুন স্থাপন ও ফেরির সংখ্যা বাড়ানো না হলে এ বিড়ম্বনা কাটবে না।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতবছর কাজিরহাট-আরিচা নৌপথটি চালু হয়। ফলে পাবনা, নাটোর ও রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলার পণ্যবাহী পরিবহন এ নৌপথ ব্যবহার করে এর গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর ও বিআইডব্লিউটিসির সমন্বয়হীনতার কারণে নৌপথটি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকেরা মনে করেন।
পাবনার বেড়ার কাজিরহাট-মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা নৌপথে আবার সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। ঘাটের একমাত্র পন্টুনে রো রো ফেরি ভিড়তে পারছে না। ফলে এ নৌপথে চলাচল করা রো রো ফেরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনটি ছোট (ডাম্প) ফেরি দিয়ে চলছিল পরিবহন পারাপার।
তিনটির মধ্যে ফেরি ‘কপোতি’ গত রোববার থেকে বিকল। চলছে ‘কদম’ ও ‘ক্যামেলিয়া’ ফেরি। সে কারণে ঘাটে আসা পরিবহনগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গতকাল সোমবার সকালে কাজিরহাট ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাট থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায় দেড় শ যানবাহনের সারি। এতে করে পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড শীতে তাঁরা রাস্তার ওপর রাতযাপন করছেন। টার্মিনালেও নেই পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার।
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর থেকে ডালভর্তি ট্রাক নিয়ে ঢাকায় উদ্দেশে যাত্রা করা পাবনার ট্রাকচালক নেয়ামত আলী বলেন, এই নৌপথটি তাঁদের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানি খরচ কমাতে তাঁরা এ নৌপথ ব্যবহার করে ঢাকায় যাতায়াত করেন। অনেক সময় ঘাটে এসে সঙ্গে সঙ্গে ফেরিতে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু বেশির ভাগ সময় কপালে জোটে দুর্ভোগ। ঘাটের বিশৃঙ্খলার জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
গত রোববার ঘাটে এসে গতকাল সোমবার সকালেও ফেরিতে উঠতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাকচালক জানে আলম। তিনি বলেন, দিনাজপুর থেকে চাল নিয়ে ঘাটে এসে আটকা পড়েছেন। এখানে রাস্তার ওপর অবস্থান করে রাতযাপন করতে হয়েছে। খাওয়া-থাকা সমস্যার পাশাপাশি চুরি-ছিনতাইয়ের আতঙ্ক নিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, রাস্তার ওপর অবস্থান করা পণ্য পরিবহনগুলোর নিরাপত্তার জন্য একটি টহল দল দিন-রাত অবস্থান করছে। তারা সবসময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বিআইডব্লিউটিসি) মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে এ নৌপথে দুটি রো রো ফেরি (বড়) ও দুটি ছোট (ডাম্প) ফেরি দিয়ে পরিবহন পারাপার করা হচ্ছিল। এতে করে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছিল। তবে সম্প্রতি নদীর পানি নিচে নেমে গেলে পন্টুন জটিলতায় রো রো ফেরি দুটি ঘাটে ভিড়তে পারছিল না। পরে রো রো ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ও রো রো ফেরি গোলাম মওলাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ছোট ফেরি ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০টি পরিবহন পার করতে পারছে। তবে প্রতিদিন যে পরিমাণ পরিবহন এ ঘাটে আসছে, তাতে জরুরিভাবে নতুন পন্টুন স্থাপন ও ফেরির সংখ্যা বাড়ানো না হলে এ বিড়ম্বনা কাটবে না।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতবছর কাজিরহাট-আরিচা নৌপথটি চালু হয়। ফলে পাবনা, নাটোর ও রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলার পণ্যবাহী পরিবহন এ নৌপথ ব্যবহার করে এর গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর ও বিআইডব্লিউটিসির সমন্বয়হীনতার কারণে নৌপথটি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকেরা মনে করেন।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে