বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বই পড়ার আগ্রহ থাকলেও আগে তা নিয়মিত ছিল না। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্য হওয়ার পর বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাদের দেখে আরও নতুন সদস্য হচ্ছেন। একসঙ্গে অনেকে বই পড়ায় আনন্দ পাচ্ছে। নতুন একটা জগতের সন্ধান পেয়েছে তাঁরা। এতে জ্ঞানের পরিধি বাড়ছে, অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে।
এ কথাগুলোই বলছিল বান্দরবানে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্যরা। পাহাড়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম। এই বই পড়া কর্মসূচির সদস্য রাসেল, নয়ন, নেসার, রাবেয়া, তন্বীসহ অনেকে।
‘আলোকিত মানুষ চাই’ স্লোগানে গড়ে ওঠা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল কার্যালয় রাজধানীতে অবস্থিত। তবে এর কার্যক্রম রাজধানীর সীমানা ছাড়িয়ে পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে বিস্তৃত করেছে।
তিন বছর আগে বান্দরবান সদরে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম শুরু করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। মূলত বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াতেই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বান্দরবান শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকা চষে বেড়ায়। করোনা পরিস্থিতিতে বান্দরবানে কাজের কিছুটা ব্যাঘাত হয়। তবে গত বছরের জুলাই থেকে আবার পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বান্দরবান ইউনিটের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, বান্দরবান ইউনিট মোট ৪৩টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ঘুরে বেড়ায়। প্রতিটি স্থানে ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা অবস্থান করে। সেখানে সদস্যদের মধ্যে বই দেওয়া-নেওয়া হয়। সরকারি বন্ধ ও সপ্তাহে শুক্রবার ব্যতীত বাকি ছয় দিন ‘ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’ বান্দরবান শহর ও সদর উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ চষে বেড়ায়। বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ চলে।
হামিদ মিয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়তে হলে আগে সদস্য হতে হয়। এ জন্য চার ধরনের সদস্য করা হয়। এর মধ্যে সাধারণ সদস্যের এককালীন ফি ১০০ টাকা, বিশেষ সদস্যের ২০০, অগ্রবর্তী সদস্যের ৫০০, বিশেষ অগ্রবর্তী সদস্যকে এককালীন ফি ৮০০ টাকা দিতে হয়। তবে সব সদস্যের মাসিক বই রক্ষণাবেক্ষণ ফি ১০ টাকা। সাধারণত একটি বই বাড়ি নিয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা যায়। তবে বড় বই হলে, বা বিশেষ কারণ থাকলে তা অনুমতি নিয়ে আরও বেশি সময় রাখা যায়।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে সপ্তাহে কবে, কোথায়, কখন ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি অবস্থান নেবে, সদস্যদের তালিকা দেওয়া হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জনসমাগমপূর্ণ উন্মুক্ত স্থানে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম চালানো হয়। বান্দরবান সদরে সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র (টিটিসি), গোয়ালিয়াখোলা, রেইছা, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল, সিঅ্যান্ডবি কলোনি, আর্মিপাড়া, মেম্বারপাড়া, সুয়ালক, রাজারমাঠ, বান্দরবান সরকারি কলেজ ও সরকারি উচ্চবিদ্যালয় বইভর্তি গাড়ি থামে।
হামিদ মিয়া বলেন, বর্তমানে বান্দরবান ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মোট সদস্য ৭০০ জন। প্রতি মাসে গড়ে ৫০ জন্য সদস্য করার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে এখন মাসে ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। সদস্যের বাইরেও অনেকে আগ্রহ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কাছে আসেন এবং নানা তথ্য জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
লাইব্রেরি কর্মকর্তা বলেন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বান্দরবানে কেবল কাগজে ছাপা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতেই না, অনলাইনে পড়ার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতি মাসে নির্ধারিত নিয়মে এ প্রতিযোগিতা হয় এবং বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্যরা জানায়, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির বইগুলোর অধিকাংশই পুরোনো। আরও নতুন বই রাখা হলে তাঁদের উপকার হবে।
বই পড়ার আগ্রহ থাকলেও আগে তা নিয়মিত ছিল না। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্য হওয়ার পর বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাদের দেখে আরও নতুন সদস্য হচ্ছেন। একসঙ্গে অনেকে বই পড়ায় আনন্দ পাচ্ছে। নতুন একটা জগতের সন্ধান পেয়েছে তাঁরা। এতে জ্ঞানের পরিধি বাড়ছে, অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে।
এ কথাগুলোই বলছিল বান্দরবানে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্যরা। পাহাড়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম। এই বই পড়া কর্মসূচির সদস্য রাসেল, নয়ন, নেসার, রাবেয়া, তন্বীসহ অনেকে।
‘আলোকিত মানুষ চাই’ স্লোগানে গড়ে ওঠা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল কার্যালয় রাজধানীতে অবস্থিত। তবে এর কার্যক্রম রাজধানীর সীমানা ছাড়িয়ে পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে বিস্তৃত করেছে।
তিন বছর আগে বান্দরবান সদরে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম শুরু করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। মূলত বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াতেই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বান্দরবান শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকা চষে বেড়ায়। করোনা পরিস্থিতিতে বান্দরবানে কাজের কিছুটা ব্যাঘাত হয়। তবে গত বছরের জুলাই থেকে আবার পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বান্দরবান ইউনিটের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, বান্দরবান ইউনিট মোট ৪৩টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ঘুরে বেড়ায়। প্রতিটি স্থানে ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা অবস্থান করে। সেখানে সদস্যদের মধ্যে বই দেওয়া-নেওয়া হয়। সরকারি বন্ধ ও সপ্তাহে শুক্রবার ব্যতীত বাকি ছয় দিন ‘ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’ বান্দরবান শহর ও সদর উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ চষে বেড়ায়। বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ চলে।
হামিদ মিয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়তে হলে আগে সদস্য হতে হয়। এ জন্য চার ধরনের সদস্য করা হয়। এর মধ্যে সাধারণ সদস্যের এককালীন ফি ১০০ টাকা, বিশেষ সদস্যের ২০০, অগ্রবর্তী সদস্যের ৫০০, বিশেষ অগ্রবর্তী সদস্যকে এককালীন ফি ৮০০ টাকা দিতে হয়। তবে সব সদস্যের মাসিক বই রক্ষণাবেক্ষণ ফি ১০ টাকা। সাধারণত একটি বই বাড়ি নিয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা যায়। তবে বড় বই হলে, বা বিশেষ কারণ থাকলে তা অনুমতি নিয়ে আরও বেশি সময় রাখা যায়।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে সপ্তাহে কবে, কোথায়, কখন ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি অবস্থান নেবে, সদস্যদের তালিকা দেওয়া হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জনসমাগমপূর্ণ উন্মুক্ত স্থানে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম চালানো হয়। বান্দরবান সদরে সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র (টিটিসি), গোয়ালিয়াখোলা, রেইছা, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল, সিঅ্যান্ডবি কলোনি, আর্মিপাড়া, মেম্বারপাড়া, সুয়ালক, রাজারমাঠ, বান্দরবান সরকারি কলেজ ও সরকারি উচ্চবিদ্যালয় বইভর্তি গাড়ি থামে।
হামিদ মিয়া বলেন, বর্তমানে বান্দরবান ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মোট সদস্য ৭০০ জন। প্রতি মাসে গড়ে ৫০ জন্য সদস্য করার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে এখন মাসে ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। সদস্যের বাইরেও অনেকে আগ্রহ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কাছে আসেন এবং নানা তথ্য জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
লাইব্রেরি কর্মকর্তা বলেন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বান্দরবানে কেবল কাগজে ছাপা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতেই না, অনলাইনে পড়ার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতি মাসে নির্ধারিত নিয়মে এ প্রতিযোগিতা হয় এবং বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্যরা জানায়, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির বইগুলোর অধিকাংশই পুরোনো। আরও নতুন বই রাখা হলে তাঁদের উপকার হবে।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে