ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম ও তাঁর স্বামী হায়দার মোল্যাসহ তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া খাসজমিতে প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করার কথা থাকলেও রুপা বেগমের আপন ছোট ভাই মোকাদ্দেস হোসেন পেয়েছেন সরকারি প্রকল্পের গৃহহীনদের ঘর।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে সালথা উপজেলার ২০০টি অসহায় ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন’ পরিবারকে জমি ও ঘর উপহার দেয় সরকার। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় খাসজমিতে ঘরগুলো নির্মাণ করার কথা থাকলেও কিছু কিছু উপকারভোগীকে টাকার বিনিময়ে নিজ নিজ বাড়িতে ঘর দেওয়া হয়। তাদের কয়েকজন সম্পদশালী। একজনের ছেলে ইতালি ও মালয়েশিয়া প্রবাসী, যার বাড়িতে একতলা ভবন নির্মাণ চলছে। তাদের ঘর দিয়েছেন সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম ও তাঁর স্বামী হায়দার মোল্যা। এ ছাড়া মাঝারদিয়া ইউনিয়নে তৃতীয় পর্যায়ে ৯৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের ৩০ নম্বর ক্রমিকের ঘরের মালিক মাঝারদিয়া গ্রামের মো. হালিম মাতুব্বরের ছেলে মোকাদ্দেস হোসেন। তিনি সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগমের আপন ছোট ভাই। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। এ ছাড়া ঘরগুলো সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হলেও কিছু কিছু উপকারভোগীর কাছ থেকে ১০-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বামী। এসব অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগীরা।
সালথা থানা সূত্রে জানা গেছে, সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের মো. মিরাজ হোসেনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বামী। ঘর না পেয়ে পরে সেই টাকা চাইতে গেলে মিরাজ হোসেনকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দেন রুপা বেগম ও হায়দার মোল্যা। এ ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট সালথা থানায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, তাঁর স্বামী ও ছোট ভাই মোকাদ্দেস মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় রুপা বেগম কিছুদিন পলাতক থাকার পর ৩১ আগস্ট ফরিদপুরের জজকোর্ট থেকে জামিন নেন।
এর আগে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি গ্রামের আব্দুর রহমান নামের এক ভিক্ষুককে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা নেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী হায়দার মোল্যা। পরে সেই টাকা চাইতে গেলে ওই ভিক্ষুককে বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দেন রুপা বেগমের স্বামী ও ভাই মোকাদ্দেস। পরে এ ঘটনায় সালথা থানায় ১৫ আগস্ট চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন ভিক্ষুক আব্দুর রহমান। মামলায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগমের স্বামী হায়দার মোল্যা ও ভাই মোকাদ্দেস মাতুব্বরকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় হায়দার মোল্যাকে ১৫ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করে ১৬ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ দিন কারাভোগের পর ৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের জজকোর্ট থেকে জামিন নেন তিনি।
সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টির জমির আলী বলেন, ‘পরিবার নিয়ে আমি ফরিদপুরে ফুটপাতে একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগমের স্বামী হায়দার মোল্যা ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। ধারদেনা করে তাঁকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পর আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ঘর দেননি।’
উপজেলার নারানদিয়ার গ্রামের বাসিন্দা মিনারা বেগম বলেন, ‘ঘরের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি তাঁকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা না দেওয়ায় ঘর পাইনি।’
সালথা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘টাকা নেওয়া তো দূরের কথা, ঘর পাইয়ে দিয়ে আমি কারও কাছ থেকে একটি মিষ্টিও খাইনি।’
তবে নিজের ভাইয়ের নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই অতিদরিদ্র মানুষ, আমার ভাইয়ের নামে কোনো জমি নেই।’
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. তাছলিমা আকতার বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত দিতে বলেন। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
ফরিদপুরের সালথায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম ও তাঁর স্বামী হায়দার মোল্যাসহ তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া খাসজমিতে প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করার কথা থাকলেও রুপা বেগমের আপন ছোট ভাই মোকাদ্দেস হোসেন পেয়েছেন সরকারি প্রকল্পের গৃহহীনদের ঘর।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে সালথা উপজেলার ২০০টি অসহায় ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন’ পরিবারকে জমি ও ঘর উপহার দেয় সরকার। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় খাসজমিতে ঘরগুলো নির্মাণ করার কথা থাকলেও কিছু কিছু উপকারভোগীকে টাকার বিনিময়ে নিজ নিজ বাড়িতে ঘর দেওয়া হয়। তাদের কয়েকজন সম্পদশালী। একজনের ছেলে ইতালি ও মালয়েশিয়া প্রবাসী, যার বাড়িতে একতলা ভবন নির্মাণ চলছে। তাদের ঘর দিয়েছেন সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম ও তাঁর স্বামী হায়দার মোল্যা। এ ছাড়া মাঝারদিয়া ইউনিয়নে তৃতীয় পর্যায়ে ৯৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের ৩০ নম্বর ক্রমিকের ঘরের মালিক মাঝারদিয়া গ্রামের মো. হালিম মাতুব্বরের ছেলে মোকাদ্দেস হোসেন। তিনি সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগমের আপন ছোট ভাই। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। এ ছাড়া ঘরগুলো সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হলেও কিছু কিছু উপকারভোগীর কাছ থেকে ১০-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বামী। এসব অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগীরা।
সালথা থানা সূত্রে জানা গেছে, সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের মো. মিরাজ হোসেনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বামী। ঘর না পেয়ে পরে সেই টাকা চাইতে গেলে মিরাজ হোসেনকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দেন রুপা বেগম ও হায়দার মোল্যা। এ ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট সালথা থানায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, তাঁর স্বামী ও ছোট ভাই মোকাদ্দেস মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় রুপা বেগম কিছুদিন পলাতক থাকার পর ৩১ আগস্ট ফরিদপুরের জজকোর্ট থেকে জামিন নেন।
এর আগে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি গ্রামের আব্দুর রহমান নামের এক ভিক্ষুককে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা নেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী হায়দার মোল্যা। পরে সেই টাকা চাইতে গেলে ওই ভিক্ষুককে বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দেন রুপা বেগমের স্বামী ও ভাই মোকাদ্দেস। পরে এ ঘটনায় সালথা থানায় ১৫ আগস্ট চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন ভিক্ষুক আব্দুর রহমান। মামলায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগমের স্বামী হায়দার মোল্যা ও ভাই মোকাদ্দেস মাতুব্বরকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় হায়দার মোল্যাকে ১৫ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করে ১৬ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ দিন কারাভোগের পর ৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের জজকোর্ট থেকে জামিন নেন তিনি।
সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টির জমির আলী বলেন, ‘পরিবার নিয়ে আমি ফরিদপুরে ফুটপাতে একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগমের স্বামী হায়দার মোল্যা ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। ধারদেনা করে তাঁকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পর আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ঘর দেননি।’
উপজেলার নারানদিয়ার গ্রামের বাসিন্দা মিনারা বেগম বলেন, ‘ঘরের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি তাঁকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা না দেওয়ায় ঘর পাইনি।’
সালথা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘টাকা নেওয়া তো দূরের কথা, ঘর পাইয়ে দিয়ে আমি কারও কাছ থেকে একটি মিষ্টিও খাইনি।’
তবে নিজের ভাইয়ের নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই অতিদরিদ্র মানুষ, আমার ভাইয়ের নামে কোনো জমি নেই।’
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. তাছলিমা আকতার বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত দিতে বলেন। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে