ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমেও বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। অতিমাত্রার এই বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে রেহাই দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন এখানকার মানুষ। তবে বিদ্যুতের ঘনঘন বিভ্রাটের কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতিকে দায়ী করছে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছর পুরো গরমের সময়েই ছিল ব্যাপক বিদ্যুৎবিভ্রাট। চলতি বছরে আগের মতোই বিদ্যুতের বিভ্রাট শুরু হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ব্যবসায়ী বাবুল সরকার বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কিছুক্ষণের জন্য এলেও আবার চলে যায়। মাত্রাতিরিক্ত গরমের মধ্যেও বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো দোকানে বসতে পারছি না।
একই এলাকার হাসেম উদ্দিন বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ। যেকোনো দিন বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করাতে পারে। আমরা জনগণ শান্তিতে থাকতে চাই। মাসে মাসে বিল পরিশোধ করেও কেন আমাদের এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এর জন্য কারা দায়ী। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় আমাদের সন্তানেরা ঠিকমতো পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না।’
নতুন বাজার এলাকার দোকানি আলী আকবর বলেন, ‘সরকার সব সময় বলে আসছে দেশে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। মানুষ সব সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে। কিন্তু কই বাস্তবে তো আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পারছি না। ঈদের পর থেকে রাত ৮টার পর দোকানপাট খোলা রাখা যাবে না। এখন প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। খুব কষ্টের মধ্যে বেচাকেনা করতে হয়।’
হালুয়াঘাট উপজেলার কৃষক শামসুল আলম মিন্টু বলেন, ‘বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার খবর থাকে না। এখন তো সেচপাম্প নেই, তাহলে বিদ্যুতের এমন করুণ অবস্থা কেন? ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি গরমে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খামারের মুরগি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘সরকার সব সময় বলে বিদ্যুতে বাংলাদেশে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু কই কাজের সময় তো মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। শুধু কথার মধ্যে থাকলে হবে না। সরকারকে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহের রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল) থেকে দৈনিক ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা রয়েছে। কিন্তু গ্যাসের স্বল্পতার কারণে কিছুদিন আগেও ১০০ মেগাওয়াট দিতে পারলেও বর্তমানে ৬ থেকে ১০ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারছে। এ ছাড়া জামালপুর জেলার বেসরকারি মালিকানাধীন ৯৫ মেগাওয়াটের একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখান থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না। মূলত এই কারণে ময়মনসিংহে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে।
ময়মনসিংহে ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমেও বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। অতিমাত্রার এই বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে রেহাই দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন এখানকার মানুষ। তবে বিদ্যুতের ঘনঘন বিভ্রাটের কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতিকে দায়ী করছে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছর পুরো গরমের সময়েই ছিল ব্যাপক বিদ্যুৎবিভ্রাট। চলতি বছরে আগের মতোই বিদ্যুতের বিভ্রাট শুরু হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ব্যবসায়ী বাবুল সরকার বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কিছুক্ষণের জন্য এলেও আবার চলে যায়। মাত্রাতিরিক্ত গরমের মধ্যেও বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো দোকানে বসতে পারছি না।
একই এলাকার হাসেম উদ্দিন বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ। যেকোনো দিন বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করাতে পারে। আমরা জনগণ শান্তিতে থাকতে চাই। মাসে মাসে বিল পরিশোধ করেও কেন আমাদের এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এর জন্য কারা দায়ী। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় আমাদের সন্তানেরা ঠিকমতো পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না।’
নতুন বাজার এলাকার দোকানি আলী আকবর বলেন, ‘সরকার সব সময় বলে আসছে দেশে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। মানুষ সব সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে। কিন্তু কই বাস্তবে তো আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পারছি না। ঈদের পর থেকে রাত ৮টার পর দোকানপাট খোলা রাখা যাবে না। এখন প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। খুব কষ্টের মধ্যে বেচাকেনা করতে হয়।’
হালুয়াঘাট উপজেলার কৃষক শামসুল আলম মিন্টু বলেন, ‘বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার খবর থাকে না। এখন তো সেচপাম্প নেই, তাহলে বিদ্যুতের এমন করুণ অবস্থা কেন? ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি গরমে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খামারের মুরগি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘সরকার সব সময় বলে বিদ্যুতে বাংলাদেশে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু কই কাজের সময় তো মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। শুধু কথার মধ্যে থাকলে হবে না। সরকারকে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহের রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল) থেকে দৈনিক ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা রয়েছে। কিন্তু গ্যাসের স্বল্পতার কারণে কিছুদিন আগেও ১০০ মেগাওয়াট দিতে পারলেও বর্তমানে ৬ থেকে ১০ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারছে। এ ছাড়া জামালপুর জেলার বেসরকারি মালিকানাধীন ৯৫ মেগাওয়াটের একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখান থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না। মূলত এই কারণে ময়মনসিংহে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে