নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
উদ্বোধন করা হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত রাঙামাটির নানিয়ারচর সেতু। এতে ছয় দশকের ‘দুঃখ’ ঘুচেছে নানিয়ারচরসহ তিন উপজেলাবাসীর। গত বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চলের সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতুর মাধ্যমে অল্প সময়ে রাঙামাটির লংগদু, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা হয়ে বাঘাইছড়ির সাজেকে পৌঁছানো যাবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উদ্বোধনের পর পরই রাঙামাটি ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকেরা সেতুর পাশের অপরূপ দৃশ্য দেখতে ভিড় করছে। এটি ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির ৬০ বছর পর নির্মিত নানিয়ারচর সেতুতেই স্বপ্ন বুনেছেন রাঙামাটির দুর্গম তিন উপজেলার মানুষ। চেঙ্গী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু দিয়ে শুধু নানিয়ারচর উপজেলায় নয়, সহজেই যাওয়া যাবে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায়।
গত বুধবার সেতু উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের নানিয়ারচর সেতুর বাস্তবায়নের মাধ্যমে শান্তিচুক্তিতে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, ‘স্বপ্নের সেতুটি উদ্বোধন হওয়ায় আমাদের অনেক দিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো। এই সেতু উদ্বোধনের ফলে পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটবে। পর্যটনশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।’ সেতু উদ্বোধনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ হায়াত কামনা করেন।
জানতে চাইলে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘ নানিয়ারচর সেতুটি উদ্বোধনের ফলে স্থানীয় মানুষের দীর্ঘ বছরের কষ্ট লাঘব হলো।’
৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নানিয়ারচর সেতুর মাধ্যমে এ অঞ্চলের চারটি উপজেলাসহ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সেতুটি পর্যটন ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাংসদ দীপংকর তালুকদার সেতুটির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
নানিয়ারচর সেতু প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেতুর নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইসি ব্রিগেডের ২০ ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)। ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি থেকে বাঘাইছড়িতে সড়কপথে যেতে পারি দিতে হতো প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ। লংগদু যেতেও প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পারি দিতে হয়। এই উপজেলাগুলোর সঙ্গে রাঙামাটি সদরের কোনো বাস সার্ভিস চালু নেই। নৌপথেই একমাত্র ভরসা ছিল। কিন্তু নানিয়ারচর সেতুর মাধ্যমে সেই দুর্গম পরিস্থিতি অনেকটাই লাঘব হবে। এখন রাঙামাটি থেকে নানিয়ারচরের হয়ে লংগদু সদরে যাওয়া যাবে। একইভাবে রাঙামাটি থেকে নানিয়ারচরের হয়ে বাঘাইছড়িতে যাওয়া যাবে। নানিয়ারচর সেতু হওয়ায় এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি লংগদু বা বাঘাইছড়ি যাওয়া সম্ভব হবে।
উদ্বোধন করা হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত রাঙামাটির নানিয়ারচর সেতু। এতে ছয় দশকের ‘দুঃখ’ ঘুচেছে নানিয়ারচরসহ তিন উপজেলাবাসীর। গত বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চলের সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতুর মাধ্যমে অল্প সময়ে রাঙামাটির লংগদু, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা হয়ে বাঘাইছড়ির সাজেকে পৌঁছানো যাবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উদ্বোধনের পর পরই রাঙামাটি ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকেরা সেতুর পাশের অপরূপ দৃশ্য দেখতে ভিড় করছে। এটি ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির ৬০ বছর পর নির্মিত নানিয়ারচর সেতুতেই স্বপ্ন বুনেছেন রাঙামাটির দুর্গম তিন উপজেলার মানুষ। চেঙ্গী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু দিয়ে শুধু নানিয়ারচর উপজেলায় নয়, সহজেই যাওয়া যাবে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায়।
গত বুধবার সেতু উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের নানিয়ারচর সেতুর বাস্তবায়নের মাধ্যমে শান্তিচুক্তিতে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, ‘স্বপ্নের সেতুটি উদ্বোধন হওয়ায় আমাদের অনেক দিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো। এই সেতু উদ্বোধনের ফলে পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটবে। পর্যটনশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।’ সেতু উদ্বোধনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ হায়াত কামনা করেন।
জানতে চাইলে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘ নানিয়ারচর সেতুটি উদ্বোধনের ফলে স্থানীয় মানুষের দীর্ঘ বছরের কষ্ট লাঘব হলো।’
৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নানিয়ারচর সেতুর মাধ্যমে এ অঞ্চলের চারটি উপজেলাসহ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সেতুটি পর্যটন ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাংসদ দীপংকর তালুকদার সেতুটির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
নানিয়ারচর সেতু প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেতুর নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইসি ব্রিগেডের ২০ ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)। ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি থেকে বাঘাইছড়িতে সড়কপথে যেতে পারি দিতে হতো প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ। লংগদু যেতেও প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পারি দিতে হয়। এই উপজেলাগুলোর সঙ্গে রাঙামাটি সদরের কোনো বাস সার্ভিস চালু নেই। নৌপথেই একমাত্র ভরসা ছিল। কিন্তু নানিয়ারচর সেতুর মাধ্যমে সেই দুর্গম পরিস্থিতি অনেকটাই লাঘব হবে। এখন রাঙামাটি থেকে নানিয়ারচরের হয়ে লংগদু সদরে যাওয়া যাবে। একইভাবে রাঙামাটি থেকে নানিয়ারচরের হয়ে বাঘাইছড়িতে যাওয়া যাবে। নানিয়ারচর সেতু হওয়ায় এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি লংগদু বা বাঘাইছড়ি যাওয়া সম্ভব হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে