আবির হাকিম, ঢাকা
টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মা-মেয়ে। ভেতরে ঢুকতে গিয়ে দুবার ফিরে এসেছেন। জায়গাটি স্যাঁতসেঁতে, দুর্গন্ধযুক্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। এর মধ্যেই একপাশে গোসল করছেন একজন পুরুষ। আরেক পাশে প্রস্রাব করছেন দুজন। টয়লেটের দেখাশোনার দায়িত্বেও আছেন একজন পুরুষ। উপায় খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে নাকে কাপড় চেপে ভেতরে ঢুকলেন মা-মেয়ে।
গুলিস্তান পাবলিক টয়লেটের সামনে সম্প্রতি এমন দৃশ্য দেখা যায়। মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন অনেকেই। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই টয়লেটে পানি নেওয়ার পাত্রটির হাতলের একটি অংশ ভাঙা। ট্যাপ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। দেয়ালজুড়ে লেখা অশ্লীল সব কথাবার্তা।
বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইডের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রতিদিন ৫০ লাখের বেশি মানুষ চলাচল করে। এতসংখ্যক মানুষের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সচল পাবলিক টয়লেট রয়েছে ১০৩টি। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে ৪৩টি ও ডিএসসিসিতে ৬০টি। এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পর্যাপ্ত টয়লেট না থাকায় ফুটপাতসহ যত্রতত্র প্রস্রাব করছে পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান ১ ও ২, বনানী, গুলিস্তান, আজিমপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার পাবলিক টয়লেটেই স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। কোথাও দরজা ভাঙা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নেই, অপরিচ্ছন্ন কমোড, কলগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট। সবচেয়ে বেহাল চিত্র দেখা গেছে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটটিতে। সেখানে দেখা যায় দরজাগুলো নড়বড়ে এবং কোনোটিতেই ছিটকিনি নেই। পানির পাইপ নষ্ট থাকায় বাইরে রাখা ড্রাম থেকে ভাঙা মগে করে পানি নিয়ে ব্যবহার করতে হয়। টয়লেটের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা শাহনাজ বেগমের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে টাকা তোলার দায়িত্ব আমার। যারা ইজারা নিয়েছে, তারা ঠিক না করলে আমার তো কিছু করার নাই।’
পাবলিক টয়লেট ঘিরে রাজধানীবাসীর ভোগান্তির বিষয়ে পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, একটি আধুনিক শহর গড়ার অন্যতম অনুষঙ্গ পাবলিক টয়লেট। ভোগান্তি কমাতে দুই সিটি করপোরেশনে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ আরও বাড়াতে হবে। শুধু বাড়ালেই হবে না, সেগুলো ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও তদারক করতে হবে।
ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক টয়লেটগুলো ইজারা দেওয়ার সময় নিয়মিত পরিষ্কার করা, ব্লিচিং পাউডার ছিটানো, হাত ধোয়ার সাবান সরবরাহসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া থাকে। চুক্তিতে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থার কথাও বলা আছে। কিন্তু বাস্তবে সেসব শর্ত মানেন না ইজারাদারেরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘পাবলিক টয়লেটের মান সংরক্ষণে আমাদের পরিবেশ উন্নয়নবিষয়ক স্থায়ী কমিটি রয়েছে। এ কমিটি আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জায়গার অভাবে আমাদের ২৭টি পাবলিক টয়লেটের কাজ ঝুলে আছে।’
স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, রাজধানীতে রাস্তায় প্রতি আধা কিলোমিটারে একটি টয়লেট দরকার। সে হিসাবে ঢাকার দুই সিটিতে অন্তত ৭০০ পাবলিক টয়লেট করা প্রয়োজন। যেগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিচালনা করা দরকার।
সার্বিক বিষয়ে ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য রাজধানীর ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ে কমপক্ষে যেন একটি করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা যায়। পরবর্তী সময়ে জরিপ করে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে।’
টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মা-মেয়ে। ভেতরে ঢুকতে গিয়ে দুবার ফিরে এসেছেন। জায়গাটি স্যাঁতসেঁতে, দুর্গন্ধযুক্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। এর মধ্যেই একপাশে গোসল করছেন একজন পুরুষ। আরেক পাশে প্রস্রাব করছেন দুজন। টয়লেটের দেখাশোনার দায়িত্বেও আছেন একজন পুরুষ। উপায় খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে নাকে কাপড় চেপে ভেতরে ঢুকলেন মা-মেয়ে।
গুলিস্তান পাবলিক টয়লেটের সামনে সম্প্রতি এমন দৃশ্য দেখা যায়। মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন অনেকেই। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই টয়লেটে পানি নেওয়ার পাত্রটির হাতলের একটি অংশ ভাঙা। ট্যাপ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। দেয়ালজুড়ে লেখা অশ্লীল সব কথাবার্তা।
বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইডের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রতিদিন ৫০ লাখের বেশি মানুষ চলাচল করে। এতসংখ্যক মানুষের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সচল পাবলিক টয়লেট রয়েছে ১০৩টি। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে ৪৩টি ও ডিএসসিসিতে ৬০টি। এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পর্যাপ্ত টয়লেট না থাকায় ফুটপাতসহ যত্রতত্র প্রস্রাব করছে পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান ১ ও ২, বনানী, গুলিস্তান, আজিমপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার পাবলিক টয়লেটেই স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। কোথাও দরজা ভাঙা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নেই, অপরিচ্ছন্ন কমোড, কলগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট। সবচেয়ে বেহাল চিত্র দেখা গেছে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটটিতে। সেখানে দেখা যায় দরজাগুলো নড়বড়ে এবং কোনোটিতেই ছিটকিনি নেই। পানির পাইপ নষ্ট থাকায় বাইরে রাখা ড্রাম থেকে ভাঙা মগে করে পানি নিয়ে ব্যবহার করতে হয়। টয়লেটের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা শাহনাজ বেগমের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে টাকা তোলার দায়িত্ব আমার। যারা ইজারা নিয়েছে, তারা ঠিক না করলে আমার তো কিছু করার নাই।’
পাবলিক টয়লেট ঘিরে রাজধানীবাসীর ভোগান্তির বিষয়ে পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, একটি আধুনিক শহর গড়ার অন্যতম অনুষঙ্গ পাবলিক টয়লেট। ভোগান্তি কমাতে দুই সিটি করপোরেশনে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ আরও বাড়াতে হবে। শুধু বাড়ালেই হবে না, সেগুলো ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও তদারক করতে হবে।
ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক টয়লেটগুলো ইজারা দেওয়ার সময় নিয়মিত পরিষ্কার করা, ব্লিচিং পাউডার ছিটানো, হাত ধোয়ার সাবান সরবরাহসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া থাকে। চুক্তিতে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থার কথাও বলা আছে। কিন্তু বাস্তবে সেসব শর্ত মানেন না ইজারাদারেরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘পাবলিক টয়লেটের মান সংরক্ষণে আমাদের পরিবেশ উন্নয়নবিষয়ক স্থায়ী কমিটি রয়েছে। এ কমিটি আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জায়গার অভাবে আমাদের ২৭টি পাবলিক টয়লেটের কাজ ঝুলে আছে।’
স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, রাজধানীতে রাস্তায় প্রতি আধা কিলোমিটারে একটি টয়লেট দরকার। সে হিসাবে ঢাকার দুই সিটিতে অন্তত ৭০০ পাবলিক টয়লেট করা প্রয়োজন। যেগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিচালনা করা দরকার।
সার্বিক বিষয়ে ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য রাজধানীর ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ে কমপক্ষে যেন একটি করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা যায়। পরবর্তী সময়ে জরিপ করে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে