নওগাঁর মহাদেবপুরে উপজেলার ভিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রসুলপুর ভোটকেন্দ্রের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ওই কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। এদিকে ধামইরহাটে ইউপি নির্বাচনে খেলনা ইউপির ভোটের ফলাফল বাতিল ও ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাজমুল হোসেন।

নওগাঁয় মহাদেবপুরের ভিমপুর ইউপি নির্বাচনে গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার ভিমপুর ইউপির রসুলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়।

মানববন্ধনে রসুলপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ভোটার অংশ নেন। এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফ আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীমতি পরিমনা তৈ, সত্যেন্দ্রনাথ, জগেন্দ্রনাথ, রতন চন্দ্র তৈ, চিত্তরঞ্জন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা অভিযোগ তুলে বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রামপ্রসাদ ভদ্রের (আনারস) সঙ্গে যোগসাজশে তাঁকে বেশি ভোট দেখানোর অপকৌশলের বিষয়টি এলাকাবাসী বুঝতে পারেন এবং তাঁরা প্রতিবাদ করেন। পরে কর্মকর্তারা ওই কেন্দ্রে ফলাফল না জানিয়ে ব্যালট বাক্স নিয়ে চলে যান। এখানে ভোটের ফলাফলে কারচুপি হয়েছে বলে দাবি করেন বক্তারা।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ ভোটের ফলাফল কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। গণনার সময় কেন্দ্রের বাইরে হট্টগোল শুরু হয়। তবে তাৎক্ষণিক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে এবং ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়।

মহাদেবপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনার একটি আবেদন পেয়েছিলাম। তবে ফলাফল ঘোষণা শেষে ব্যালট বাক্সটি সিলগালা করা হয়। তখন সেটি পুনরায় গণনার কোনো সুযোগ ছিল না।’

এদিকে, নওগাঁর ধামইরহাটে ইউপি নির্বাচনে উপজেলার খেলনা ইউপির ভোটের ফলাফল বাতিল ও ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাজমুল হোসেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা গেটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

নৌকার প্রার্থী মো. নাজমুল হোসেন বলেন, ভোট গণনার সময় ঘোড়া প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুস সালামের সমর্থকেরা কয়েকটি কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এ কারণে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় ভোট গণনার জন্য আবেদন করেন।

এ বিষয়ে ঘোড়া প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুস সালাম বলেন, তাঁর সমর্থকেরা কয়েকটি কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়টি মিথ্যা।

উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক ও খেলনা ইউনিয়ন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, সকাল থেকে এখানে নির্বাচন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো ভোট কারচুপির হয়নি।