রিমন রহমান, রাজশাহী
মাত্র এক দশক আগেও সেলুনে নাপিতের কাজ করতেন তিনি। এখন করেন ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবসা। লোক দেখানো এ ব্যবসার আড়ালে চলে আরেকটি কাজ। ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা নিয়ে তিনি জুয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। এখন বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়েও চালাচ্ছেন রমরমা জুয়া।
এই ব্যক্তির নাম মিনারুল ইসলাম নাইম। তাঁর গ্রামের বাড়ি নাটোরের বনপাড়া। তবে জমি কিনে বাড়ি করেছেন রাজশাহী শহরের আলীর মোড়ে। রাজশাহীতে ‘লাবিব ইন্টারনেট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন কয়েক বছর আগে। লাবিবের কার্যালয় নগরীর বহরমপুর মোড়ে। এখান থেকেই নাইম জুয়ার সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানা গেছে।
ফুটবল বা ক্রিকেট, যেকোনো খেলা হলেই রাজশাহীতে রমরমা জুয়া শুরু হয়। কোন দল কেমন করবে, কোন খেলোয়াড় কতটি উইকেট নেবেন, ফুটবলে গোল হবে কতটি, কে জিতবে—এসব বিষয় নিয়েই বাজি ধরেন তাঁরা। বাজিগরদের দুই পক্ষের মধ্যে থাকেন একজন। তিনিই দুই পক্ষের কাছ থেকে টাকা বুঝে নেন। যিনি জেতেন, তাঁর কাছে টাকা বুঝিয়ে দেন। আর এটি করে দেওয়ার জন্য জুয়ার টাকার একটা কমিশন কেটে রাখেন তিনি।
সম্প্রতি শুরু হওয়া ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়েও রাজশাহীতে রমরমা জুয়া শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতেই পাওয়া যায় মনিরুল ইসলাম নাইমের সন্ধান। পরিচয় গোপন করে তাঁকে বাজি ধরে দেওয়ার প্রস্তাব করা হলে তিনি এতে রাজি হন। বলেন, এখন তিনি অনলাইনে বাজি করিয়ে দিচ্ছেন। যে যাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী বাজি ধরেন। তবে পরিচয় দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরে সবই অস্বীকার করেন নাইম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর দশেক আগে নাটোরের বনপাড়া থেকে রাজশাহী আসেন নাইম। শুরুতে শহরের বহরমপুর এলাকায় ফুটপাতে থাকা এক ব্যক্তির সেলুনে তিনি নাপিতের কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে নাপিতের কাজ ছেড়ে একজন চিকিৎসকের চেম্বারে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপরই জুয়ার সাম্রাজ্যে ঢুকে পড়েন নাইম।
ক্রিকেটের আইপিএল, বিপিএল, বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছে; এ রকম পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের খেলা নিয়েই জুয়া সাজাতে থাকেন তিনি। জুয়ার কমিশন তাঁর কাছে হয়ে ওঠে আলাদিনের চেরাগ। প্রত্যেক ম্যাচে দুই থেকে চার লাখ টাকা কমিশন ঢুকতে থাকে পকেটে।
নাইমের অধীনে জুয়া খেলতেন এ রকম একজন বলেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে জুয়ার সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ নাইমের হাতে। এখনো তাঁর অধীনে অন্তত ১০০ জুয়াড়ি খেলা নিয়ে জুয়া খেলেন। জুয়াড়িদের যে-ই হারুক না কেন, সব সময় জয় নাইমের। এভাবে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।
জানা গেছে, নাইমের জুয়ার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক পরিবার।
অভিযোগ রয়েছে, নাইমের ব্যাপারে সব তথ্য থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না পুলিশ। খেলা চললেই মোটা অঙ্কের টাকা চলে যায় পুলিশের কাছেও। খেলা বন্ধ থাকলে লাবিব ইন্টারনেটের কার্যালয়ে সরাসরি তাসের মাধ্যমে জুয়া চলে বলেও জানা গেছে।
পরিচয় দিয়ে এই জুয়া পরিচালনার ব্যাপারে জানতে চাইলে নাইম তা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, বছর দশেক আগে তিনি নাপিতের কাজ করলেও গ্রামের জায়গা-জমি বেঁচে শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাই নাপিতের কাজ তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। জুয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। তবে তিনি যে জুয়া চালান তাঁর এমন স্বীকারোক্তির অডিও আজকের পত্রিকার কাছে সংরক্ষিত আছে।
খেলা নিয়ে এমন জুয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘যারা এসব জুয়া পরিচালনা করে, তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা অনুসন্ধান চালানো হয়। তাদের আইনের আওতায় আনাও হয়। আমাদের সাইবার মনিটরিং সিস্টেমের সক্ষমতা আরও বাড়ছে। এখন থেকে এদের ব্যাপারে আরও ভালো করে দৃষ্টি রাখা যাবে। জুয়াড়ি এবং জুয়ার কারিগরদের দমন করতে আমরা আরও কঠোর হব।’
মাত্র এক দশক আগেও সেলুনে নাপিতের কাজ করতেন তিনি। এখন করেন ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবসা। লোক দেখানো এ ব্যবসার আড়ালে চলে আরেকটি কাজ। ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা নিয়ে তিনি জুয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। এখন বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়েও চালাচ্ছেন রমরমা জুয়া।
এই ব্যক্তির নাম মিনারুল ইসলাম নাইম। তাঁর গ্রামের বাড়ি নাটোরের বনপাড়া। তবে জমি কিনে বাড়ি করেছেন রাজশাহী শহরের আলীর মোড়ে। রাজশাহীতে ‘লাবিব ইন্টারনেট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন কয়েক বছর আগে। লাবিবের কার্যালয় নগরীর বহরমপুর মোড়ে। এখান থেকেই নাইম জুয়ার সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানা গেছে।
ফুটবল বা ক্রিকেট, যেকোনো খেলা হলেই রাজশাহীতে রমরমা জুয়া শুরু হয়। কোন দল কেমন করবে, কোন খেলোয়াড় কতটি উইকেট নেবেন, ফুটবলে গোল হবে কতটি, কে জিতবে—এসব বিষয় নিয়েই বাজি ধরেন তাঁরা। বাজিগরদের দুই পক্ষের মধ্যে থাকেন একজন। তিনিই দুই পক্ষের কাছ থেকে টাকা বুঝে নেন। যিনি জেতেন, তাঁর কাছে টাকা বুঝিয়ে দেন। আর এটি করে দেওয়ার জন্য জুয়ার টাকার একটা কমিশন কেটে রাখেন তিনি।
সম্প্রতি শুরু হওয়া ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়েও রাজশাহীতে রমরমা জুয়া শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতেই পাওয়া যায় মনিরুল ইসলাম নাইমের সন্ধান। পরিচয় গোপন করে তাঁকে বাজি ধরে দেওয়ার প্রস্তাব করা হলে তিনি এতে রাজি হন। বলেন, এখন তিনি অনলাইনে বাজি করিয়ে দিচ্ছেন। যে যাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী বাজি ধরেন। তবে পরিচয় দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরে সবই অস্বীকার করেন নাইম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর দশেক আগে নাটোরের বনপাড়া থেকে রাজশাহী আসেন নাইম। শুরুতে শহরের বহরমপুর এলাকায় ফুটপাতে থাকা এক ব্যক্তির সেলুনে তিনি নাপিতের কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে নাপিতের কাজ ছেড়ে একজন চিকিৎসকের চেম্বারে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপরই জুয়ার সাম্রাজ্যে ঢুকে পড়েন নাইম।
ক্রিকেটের আইপিএল, বিপিএল, বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছে; এ রকম পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের খেলা নিয়েই জুয়া সাজাতে থাকেন তিনি। জুয়ার কমিশন তাঁর কাছে হয়ে ওঠে আলাদিনের চেরাগ। প্রত্যেক ম্যাচে দুই থেকে চার লাখ টাকা কমিশন ঢুকতে থাকে পকেটে।
নাইমের অধীনে জুয়া খেলতেন এ রকম একজন বলেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে জুয়ার সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ নাইমের হাতে। এখনো তাঁর অধীনে অন্তত ১০০ জুয়াড়ি খেলা নিয়ে জুয়া খেলেন। জুয়াড়িদের যে-ই হারুক না কেন, সব সময় জয় নাইমের। এভাবে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।
জানা গেছে, নাইমের জুয়ার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক পরিবার।
অভিযোগ রয়েছে, নাইমের ব্যাপারে সব তথ্য থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না পুলিশ। খেলা চললেই মোটা অঙ্কের টাকা চলে যায় পুলিশের কাছেও। খেলা বন্ধ থাকলে লাবিব ইন্টারনেটের কার্যালয়ে সরাসরি তাসের মাধ্যমে জুয়া চলে বলেও জানা গেছে।
পরিচয় দিয়ে এই জুয়া পরিচালনার ব্যাপারে জানতে চাইলে নাইম তা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, বছর দশেক আগে তিনি নাপিতের কাজ করলেও গ্রামের জায়গা-জমি বেঁচে শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাই নাপিতের কাজ তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। জুয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। তবে তিনি যে জুয়া চালান তাঁর এমন স্বীকারোক্তির অডিও আজকের পত্রিকার কাছে সংরক্ষিত আছে।
খেলা নিয়ে এমন জুয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘যারা এসব জুয়া পরিচালনা করে, তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা অনুসন্ধান চালানো হয়। তাদের আইনের আওতায় আনাও হয়। আমাদের সাইবার মনিটরিং সিস্টেমের সক্ষমতা আরও বাড়ছে। এখন থেকে এদের ব্যাপারে আরও ভালো করে দৃষ্টি রাখা যাবে। জুয়াড়ি এবং জুয়ার কারিগরদের দমন করতে আমরা আরও কঠোর হব।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে