ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
হিজরত ইসলামের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ ও যুগান্তকারী ঘটনা। মক্কার কাফেরদের অত্যাচার-নির্যাতন, অমানবিক আচরণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে এবং তারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে মুসলমানদের তিনি মদিনায় হিজরত করার নির্দেশ দেন এবং নিজেও মদিনায় হিজরত করেন। ফলে হিজরতের মাধ্যমে মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের পথ খুলে যায়। তাই এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক হিসেবে খলিফা হজরত ওমর (রা.) হিজরি সনের গোড়াপত্তন করেন এবং মুসলমানদের জন্য পৃথক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করেন। (আল-কামিল ফিত-তারিখ লি-ইবনিল আছির, ১/৪)
হিজরি সনের তাৎপর্য
ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান হিজরি সন অনুযায়ী পালন করতে হয়। যেমন রমজানের রোজা, আইয়ামে বিজের রোজা, হজ, আশুরা, ঈদ, শবে বরাত, শবে কদর প্রভৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত বিধিনিষেধ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া জাকাতের বছর গণনা, সন্তানের বয়স গণনা এবং পূর্ণ দুই বছর সন্তানকে মায়ের দুধ পান করানোর হিসাব—সবই হিজরি সন তথা চান্দ্রমাস অনুযায়ী হয়ে থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘লোকে তোমাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলো, এটি মানুষ এবং হজের জন্য সময় নির্দেশক।’ (সুরা বাকারা: ১৮৯)
চাঁদ দেখে মাসের হিসাব সহজেই আয়ত্ত করা যায়। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, গ্রামবাসী-মরুবাসী-উপজাতি–সবার জন্যই চান্দ্রমাসের হিসাব সহজ। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সূর্যকে তেজস্কর ও চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং এর মনজিল নির্দিষ্ট করেছেন, যাতে তোমরা বছর গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পারো।’ (সুরা ইউনুস: ৫)
বারো মাসের নামকরণ
হিজরি সনের বারো মাসের প্রতিটির নামকরণের আলাদা গল্প রয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো—
কোরআন-হাদিসে হিজরি সন
হিজরি সনের মাসগুলোর কথা কোরআন-হাদিসে আলোচিত হয়েছে। নিঃসন্দেহে তা হিজরি সনের গৌরবময় অধ্যায়। আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাস—এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী রূপে কোরআন নাজিল হয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘হজ হয় সুবিদিত মাসসমূহে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭) ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘সুবিদিত মাসসমূহ হলো—শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের প্রথম দশক।’ (বুখারি: ১৪৮৪)
আল্লাহ আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর গণনায় মাস বারোটি। তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।’ (সুরা তওবা: ৩৬) এ প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেন, ‘চারটি নিষিদ্ধ মাসের তিন মাস ধারাবাহিক—জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। আর রজব যা জমাদিউস সানি ও শাবানের মধ্যের মাস।’ (বুখারি: ৩০২৫; মুসলিম: ৪৪৭৭)
সফর মাস প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেন, ‘সফর মাসে অকল্যাণ নেই।’ (বুখারি: ৫৪২৫; মুসলিম: ৫৯২৬)
রবিউল আওয়াল মাস সম্পর্কে উরওয়া ইবনে যুবায়ের (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সবাইকে নিয়ে ডান দিকে মোড় নিয়ে বনু আমর ইবনে আউফ গোত্রে নামলেন। দিনটি ছিল রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার।’ (বুখারি: ৩৬৯৪)
ধর্মীয় বিধিবিধান পালনের স্বার্থে যথাসময়ে চাঁদ দেখার মাধ্যমে হিজরি বর্ষের হিসাব রাখা জরুরি। মুসলমানদের জন্য ঐতিহ্য ও গৌরবের হিজরি বর্ষ এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই।
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা, সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
হিজরত ইসলামের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ ও যুগান্তকারী ঘটনা। মক্কার কাফেরদের অত্যাচার-নির্যাতন, অমানবিক আচরণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে এবং তারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে মুসলমানদের তিনি মদিনায় হিজরত করার নির্দেশ দেন এবং নিজেও মদিনায় হিজরত করেন। ফলে হিজরতের মাধ্যমে মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের পথ খুলে যায়। তাই এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক হিসেবে খলিফা হজরত ওমর (রা.) হিজরি সনের গোড়াপত্তন করেন এবং মুসলমানদের জন্য পৃথক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করেন। (আল-কামিল ফিত-তারিখ লি-ইবনিল আছির, ১/৪)
হিজরি সনের তাৎপর্য
ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান হিজরি সন অনুযায়ী পালন করতে হয়। যেমন রমজানের রোজা, আইয়ামে বিজের রোজা, হজ, আশুরা, ঈদ, শবে বরাত, শবে কদর প্রভৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত বিধিনিষেধ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া জাকাতের বছর গণনা, সন্তানের বয়স গণনা এবং পূর্ণ দুই বছর সন্তানকে মায়ের দুধ পান করানোর হিসাব—সবই হিজরি সন তথা চান্দ্রমাস অনুযায়ী হয়ে থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘লোকে তোমাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলো, এটি মানুষ এবং হজের জন্য সময় নির্দেশক।’ (সুরা বাকারা: ১৮৯)
চাঁদ দেখে মাসের হিসাব সহজেই আয়ত্ত করা যায়। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, গ্রামবাসী-মরুবাসী-উপজাতি–সবার জন্যই চান্দ্রমাসের হিসাব সহজ। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সূর্যকে তেজস্কর ও চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং এর মনজিল নির্দিষ্ট করেছেন, যাতে তোমরা বছর গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পারো।’ (সুরা ইউনুস: ৫)
বারো মাসের নামকরণ
হিজরি সনের বারো মাসের প্রতিটির নামকরণের আলাদা গল্প রয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো—
কোরআন-হাদিসে হিজরি সন
হিজরি সনের মাসগুলোর কথা কোরআন-হাদিসে আলোচিত হয়েছে। নিঃসন্দেহে তা হিজরি সনের গৌরবময় অধ্যায়। আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাস—এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী রূপে কোরআন নাজিল হয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘হজ হয় সুবিদিত মাসসমূহে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭) ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘সুবিদিত মাসসমূহ হলো—শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের প্রথম দশক।’ (বুখারি: ১৪৮৪)
আল্লাহ আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর গণনায় মাস বারোটি। তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।’ (সুরা তওবা: ৩৬) এ প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেন, ‘চারটি নিষিদ্ধ মাসের তিন মাস ধারাবাহিক—জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। আর রজব যা জমাদিউস সানি ও শাবানের মধ্যের মাস।’ (বুখারি: ৩০২৫; মুসলিম: ৪৪৭৭)
সফর মাস প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেন, ‘সফর মাসে অকল্যাণ নেই।’ (বুখারি: ৫৪২৫; মুসলিম: ৫৯২৬)
রবিউল আওয়াল মাস সম্পর্কে উরওয়া ইবনে যুবায়ের (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সবাইকে নিয়ে ডান দিকে মোড় নিয়ে বনু আমর ইবনে আউফ গোত্রে নামলেন। দিনটি ছিল রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার।’ (বুখারি: ৩৬৯৪)
ধর্মীয় বিধিবিধান পালনের স্বার্থে যথাসময়ে চাঁদ দেখার মাধ্যমে হিজরি বর্ষের হিসাব রাখা জরুরি। মুসলমানদের জন্য ঐতিহ্য ও গৌরবের হিজরি বর্ষ এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই।
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা, সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে