স্বপ্না রানি সহজ ভাষায় যা বললেন, সেটাই পুরো দলের কথা। প্রায় নতুন একটা দলের সামনে যে চ্যালেঞ্জ, স্পষ্ট ভাষায় বললেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের সহ-অধিনায়ক। গত বছর নিজেদের মাঠে যে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা, সেই শিরোপা আরও একবার ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ সাইফুল বারী টিটুর দলের জন্য। 

গত বছর কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। দীর্ঘদিনের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের অধীনে সেটাই ছিল বাংলাদেশের শেষ শিরোপা। শামসুন্নাহার জুনিয়র, রুপনা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা, উন্নতি খাতুনদের মতো পরীক্ষিত ফুটবলারদের শেষ বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টও ছিল সেটা। ছোটন সরে যাওয়ার পর দেশের নারী ফুটবলে বড় এক পালাবদল ঘটে গেছে, পরিবর্তন এসেছে বয়সভিত্তিক দলেও। অনূর্ধ্ব-২০ সাফ এবার হবে অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলারদের নিয়ে। আগামী শুক্রবার থেকে কমলাপুর স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে নেপালের বিপক্ষে স্বাগতিকদের যে দলটা খেলবে, সেখানে জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে পাঁচ ফুটবলারের। 

জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকারের হাতে উঠেছে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড। স্বল্পভাষী আফঈদা গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ফাইনাল খেলা এবং হাসি মুখে টুর্নামেন্ট শেষ করা।’ সহ-অধিনায়ক স্বপ্না কূটনৈতিক সুরে নয়, সরাসরি বললেন, ‘এর আগে আমরা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, (এবার অনূর্ধ্ব-১৯), তো আমরা তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’  

চার দলের সাফে স্বাগতিক বাংলাদেশ রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলবে ভারত, নেপাল ও ভুটানের বিপক্ষে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল ৮ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে খেলবে। ফাইনালে যেতে প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জয়টা গুরুত্বপূর্ণ টিটুর দলের জন্য। দলের নতুনদের নিয়ে টুর্নামেন্টে বড় কোনো ভুল দেখতে চান না বাংলাদেশ কোচ, ‘নতুনদের পরিণতবোধ কম এবং এটাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ যে ওদের দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা করতে হবে। খেলা আমাদের নিজেদের মাঠে। এখানে প্রতিদিন অনুশীলন করেছি, এই সুবিধা আমাদের দ্রুত নেওয়া, অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলো কাটিয়ে ওঠা। আমার মনে হয় এগুলো গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। অনূর্ধ্ব-১৭ দল থেকে যারা এই দলে এসেছে...অনেক সময় চাপ তাদের জন্য নিজেদের সেরাটা মেলে ধরার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। আমি চাই না, তারা এই চাপটা অনুভব করুক।’