খান রফিক, বরিশাল
নদী আর খালে ঘেরা বরিশাল নগরের বিভিন্ন সড়ক কয়েক বছর ধরে বর্ষা এলেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। কেবল কীর্তনখোলা তীরের এলাকা নয়, নগরের প্রধান প্রধান সড়কেও নদীর পানি ঢুকছে।
সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, নানা কারণে নদীর গভীরতা কমে নগরে প্রবেশ করছে কীর্তনখোলার পানি। গত কয়েক বছর কীর্তনখোলা নদীর পানি বারবার বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। গতকাল বুধবারও পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে আবার ডুবেছে নগরের বিভিন্ন সড়ক।
এদিকে অবস্থা মোকাবিলায় নগরের ৭ খাল খননে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প নিলেও তা ভেস্তে যাচ্ছে। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ ক্রমে বাড়ছে। নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, বরিশাল নগরের ২২টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ কিলোমিটার। খাল ভরাট করে সড়ক করা হয়েছে। এখন ৫-৬টি খালের অস্তিত্ব আছে। তবে ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় ওই খালগুলোতেও পানি প্রবাহিত হয় না। প্রায় আধা কিলোমিটার প্রশস্ত কীর্তনখোলা নদীও ছোট হয়ে গেছে। যেটুকু আছে তা নিয়মিত খনন করা হয় না। এসব কারণই এখন অতিরিক্ত জোয়ার ও বৃষ্টিতে বরিশাল নগর প্লাবিত হচ্ছে।
কাজী শিবলু বলেন, নগরের ৭টি খাল খননে পাউবো ৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে সিটি করপোরেশনে ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে কীর্তনখোলার জোয়ারের পানি বারবার ড্রেন দিয়ে প্রবেশ করে প্লাবিত হয় নগরের প্রধান সড়ক। নগরের নিম্নাঞ্চল হিসেবে পরিচিত কীর্তনখোলার তীরঘেঁষা জয়নগর, আমানতগঞ্জ, ভাটিখানা, পলাশপুর, চরআইচা, ধান গবেষণা রোডের জনপদ কোমরপানিতে তলিয়ে যায়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরের ওই এলাকাগুলো গত মঙ্গলবার থেকে প্লাবিত হয়ে আছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কীর্তনখোলার নাব্যতা হ্রাস, নগরের খাল ভরাট করে সরু ড্রেন নির্মাণ এবং বিদ্যমান খালগুলোতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বারবার প্লাবিত হচ্ছে বরিশাল নগর।
কীর্তনখোলায় পানি পরিমাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী তাজুল ইসলাম এসব বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, গেল কয়েক বছরে কীর্তনখোলা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এ জন্য তাঁদের ধারণা কীর্তনখোলার নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে নদী উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
পাউবোর গেজ রিডার আবদুর রহমান গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় জানান, তখন পর্যন্ত কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল বুধবার কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমা (২.৫৫ সেমি) অতিক্রম করে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটারে।
বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উদয়ন স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহিমুল হাসান এমদাদ বলে, কয়েক বছর ধরে কীর্তনখোলার পানিতে বাড়ির আশপাশ তলিয়ে যায়। একই অবস্থা পাশের রূপাতলী হাউজিং, পূর্ব রূপাতলী, চরআইচা খেয়াঘাট।
নগরের নবগ্রাম সড়কসংলগ্ন মনসুর কোয়ার্টার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম আক্কাস জানান, তাঁর এলাকায় ৩০ ফুট খাল ছিল, যা দিয়ে নৌকা চলত। সেই খাল ভরাট করে নালার মতো ড্রেন করায় কীর্তনখোলার জোয়ারের পানি কিংবা বৃষ্টিতে নিত্যদিন সড়ক তলিয়ে যায়।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক এর আগে বলেছেন, নগরের খাল উদ্ধার, খনন ও সৌন্দর্যকরণের জন্য ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ৪ বছর আগে মন্ত্রণালয়ে পেশ করেছেন। এর সঙ্গে পাউবো ৭ কোটি টাকার যে প্রকল্প নিয়েছে তা সাংঘর্ষিক।
তবে নদী খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, বিসিসির ওই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কি না, তাতে শঙ্কিত নগরবাসী। এভাবে রাজনৈতিক রশি টানাটানিতে নগরবাসী দুর্ভোগে পড়ছেন। পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেছেন, নগরের ৭ খাল খননে টেন্ডার আহ্বান করলেও বিসিসির আপত্তির কারণে তা স্থগিত রয়েছে।
নদী আর খালে ঘেরা বরিশাল নগরের বিভিন্ন সড়ক কয়েক বছর ধরে বর্ষা এলেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। কেবল কীর্তনখোলা তীরের এলাকা নয়, নগরের প্রধান প্রধান সড়কেও নদীর পানি ঢুকছে।
সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, নানা কারণে নদীর গভীরতা কমে নগরে প্রবেশ করছে কীর্তনখোলার পানি। গত কয়েক বছর কীর্তনখোলা নদীর পানি বারবার বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। গতকাল বুধবারও পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে আবার ডুবেছে নগরের বিভিন্ন সড়ক।
এদিকে অবস্থা মোকাবিলায় নগরের ৭ খাল খননে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প নিলেও তা ভেস্তে যাচ্ছে। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ ক্রমে বাড়ছে। নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, বরিশাল নগরের ২২টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ কিলোমিটার। খাল ভরাট করে সড়ক করা হয়েছে। এখন ৫-৬টি খালের অস্তিত্ব আছে। তবে ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় ওই খালগুলোতেও পানি প্রবাহিত হয় না। প্রায় আধা কিলোমিটার প্রশস্ত কীর্তনখোলা নদীও ছোট হয়ে গেছে। যেটুকু আছে তা নিয়মিত খনন করা হয় না। এসব কারণই এখন অতিরিক্ত জোয়ার ও বৃষ্টিতে বরিশাল নগর প্লাবিত হচ্ছে।
কাজী শিবলু বলেন, নগরের ৭টি খাল খননে পাউবো ৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে সিটি করপোরেশনে ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে কীর্তনখোলার জোয়ারের পানি বারবার ড্রেন দিয়ে প্রবেশ করে প্লাবিত হয় নগরের প্রধান সড়ক। নগরের নিম্নাঞ্চল হিসেবে পরিচিত কীর্তনখোলার তীরঘেঁষা জয়নগর, আমানতগঞ্জ, ভাটিখানা, পলাশপুর, চরআইচা, ধান গবেষণা রোডের জনপদ কোমরপানিতে তলিয়ে যায়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরের ওই এলাকাগুলো গত মঙ্গলবার থেকে প্লাবিত হয়ে আছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কীর্তনখোলার নাব্যতা হ্রাস, নগরের খাল ভরাট করে সরু ড্রেন নির্মাণ এবং বিদ্যমান খালগুলোতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বারবার প্লাবিত হচ্ছে বরিশাল নগর।
কীর্তনখোলায় পানি পরিমাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী তাজুল ইসলাম এসব বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, গেল কয়েক বছরে কীর্তনখোলা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এ জন্য তাঁদের ধারণা কীর্তনখোলার নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে নদী উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
পাউবোর গেজ রিডার আবদুর রহমান গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় জানান, তখন পর্যন্ত কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল বুধবার কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমা (২.৫৫ সেমি) অতিক্রম করে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটারে।
বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উদয়ন স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহিমুল হাসান এমদাদ বলে, কয়েক বছর ধরে কীর্তনখোলার পানিতে বাড়ির আশপাশ তলিয়ে যায়। একই অবস্থা পাশের রূপাতলী হাউজিং, পূর্ব রূপাতলী, চরআইচা খেয়াঘাট।
নগরের নবগ্রাম সড়কসংলগ্ন মনসুর কোয়ার্টার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম আক্কাস জানান, তাঁর এলাকায় ৩০ ফুট খাল ছিল, যা দিয়ে নৌকা চলত। সেই খাল ভরাট করে নালার মতো ড্রেন করায় কীর্তনখোলার জোয়ারের পানি কিংবা বৃষ্টিতে নিত্যদিন সড়ক তলিয়ে যায়।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক এর আগে বলেছেন, নগরের খাল উদ্ধার, খনন ও সৌন্দর্যকরণের জন্য ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ৪ বছর আগে মন্ত্রণালয়ে পেশ করেছেন। এর সঙ্গে পাউবো ৭ কোটি টাকার যে প্রকল্প নিয়েছে তা সাংঘর্ষিক।
তবে নদী খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, বিসিসির ওই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কি না, তাতে শঙ্কিত নগরবাসী। এভাবে রাজনৈতিক রশি টানাটানিতে নগরবাসী দুর্ভোগে পড়ছেন। পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেছেন, নগরের ৭ খাল খননে টেন্ডার আহ্বান করলেও বিসিসির আপত্তির কারণে তা স্থগিত রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে