তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
‘একটা সময় জনবল কম ছিল। কিন্তু গৃহায়ণের প্রকল্প ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন ঢাকাসহ আটটি বিভাগে পূর্ণাঙ্গ জনবল কাঠামো আছে। কিন্তু প্রকল্প নেই বললেই চলে।’ কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী। তিনি জানান, গত চার বছরে মাত্র পাঁচটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তা-ও সব শুরু হয়নি ঠিকমতো। অথচ ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে মোট ৪২টি। এর মধ্যে ফ্ল্যাট প্রকল্প ১৮টি আর প্লট প্রকল্প ২৪টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্থার লোকবল বেড়েছে। কিন্তু কাজের পরিধি কমেছে।
জানা গেছে, বেশির ভাগ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা আগে বাস্তবায়িত হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ নিয়েই সময় পার করছেন। স্ব-অর্থায়নে চলা সংস্থাটি এরই মধ্যে আর্থিকভাবেও দুর্বল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের সদস্য (প্রকৌশল ও সমন্বয়) মো. মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন নতুন করে কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা যাবে। প্রকল্প কমেছে কি না, তা ঠিক বলতে পারছি না।’
জাগৃকের নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে মোট ৪৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৪২টি। বাকি পাঁচটি প্রকল্প গত চার বছরে পাস হয়েছে। প্লটের ২৭টি প্রকল্পে ৫ হাজার ৪৮৩টি প্লট এবং ফ্ল্যাটের ২০টি প্রকল্পে ৫ হাজার ৬৯৬টি ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়েছে। এগুলো রাজধানীসহ ২১ জেলা শহর ও ৫টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। গত চার বছরে মধ্যে মাত্র পাঁচটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো মোহাম্মদপুরে দোলনচাঁপা ও কনকচাঁপা ফ্ল্যাট প্রকল্প (২০২১ সালের মার্চে শুরু), ময়মনসিংহ জেলা সদরে ফ্ল্যাট প্রকল্প (২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নেওয়া), রাজশাহীর পবায় গৃহায়ণ পদ্মা প্লট প্রকল্প (২০২২ সালের জানুয়ারিতে শুরু), বাগেরহাটে হজরত খান জাহান আলী প্লট প্রকল্প (জানুয়ারি ২০২২) এবং ময়মনসিংহের তারাকান্দায় প্লট প্রকল্প (২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নেওয়া)।
জাগৃকের চট্টগ্রাম ডিভিশনে প্রায় দুই বছর ধরে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল সরকার বলেন, ‘আমার জানামতে, ২০২০ সালের পর থেকে এ ডিভিশনে কোনো নতুন প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আসেনি। তবে কিছু প্রস্তাবিত প্রকল্প আছে।’
জাগৃকের সবচেয়ে বড় বিভাগ মিরপুরে তিন বছরের বেশি সময় ধরে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা বিভাগ-১) জোর্য়াদার তাবেদুন নবী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় তিনটি প্রকল্প রয়েছে। এগুলো এখনো পাস হয়নি। তবে এ বিভাগে যে বড় দুটি প্রকল্প রয়েছে—স্বপ্ননগর-১ এবং স্বপ্ননগর-২ ছয়-সাত বছর আগে অনুমোদন পেয়েছিল। গত তিন বছরে এ বিভাগে কোনো প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আসেনি।’
একাধিক কর্মকর্তা জানান, জাগৃকের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ইচ্ছা করলেই অনেক বড় প্রকল্পও বাস্তবায়ন করতে পারবে। ঢাকার তিনটি বিভাগসহ সব বিভাগে জনবল বাড়ানো হয়েছে। সেই হিসাবে প্রকল্প বাড়ানোর কথা থাকলেও তা দিন দিন কমছে। এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যে প্রভাবশালীদের বিশেষ আগ্রহে কিছু প্রকল্প পাস হচ্ছে। আর নিজেদের অধিগ্রহণ করা শত শত একর জমি পড়ে আছে। অনেক জমি দিন দিন বেহাতও হচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকার মিরপুরের বিভিন্ন সেকশনে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের জমি বেদখল হয়েছে ১০ হাজার ৮৮৯ বিঘা; সরকারি হিসাবে যার বাজারমূল্য ৫৪ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।
জানা যায়, এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর চাপে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জাগৃক একটি প্লট প্রকল্প হাতে নিলেও তার পরিবেশ ছাড়পত্র মেলেনি। মূলত সংরক্ষিত পাহাড় ও বন কেটে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ৪৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ওই প্রকল্পে ৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য। এই টাকা নিজেদের পকেটে নিতে প্রভাবশালী একটি মহল পাহাড় ও বনের জমির আমমোক্তারনামা নিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে মাস দুয়েক আগে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রকল্প বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পটি বাতিল হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।
‘একটা সময় জনবল কম ছিল। কিন্তু গৃহায়ণের প্রকল্প ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন ঢাকাসহ আটটি বিভাগে পূর্ণাঙ্গ জনবল কাঠামো আছে। কিন্তু প্রকল্প নেই বললেই চলে।’ কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী। তিনি জানান, গত চার বছরে মাত্র পাঁচটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তা-ও সব শুরু হয়নি ঠিকমতো। অথচ ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে মোট ৪২টি। এর মধ্যে ফ্ল্যাট প্রকল্প ১৮টি আর প্লট প্রকল্প ২৪টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্থার লোকবল বেড়েছে। কিন্তু কাজের পরিধি কমেছে।
জানা গেছে, বেশির ভাগ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা আগে বাস্তবায়িত হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ নিয়েই সময় পার করছেন। স্ব-অর্থায়নে চলা সংস্থাটি এরই মধ্যে আর্থিকভাবেও দুর্বল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের সদস্য (প্রকৌশল ও সমন্বয়) মো. মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন নতুন করে কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা যাবে। প্রকল্প কমেছে কি না, তা ঠিক বলতে পারছি না।’
জাগৃকের নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে মোট ৪৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৪২টি। বাকি পাঁচটি প্রকল্প গত চার বছরে পাস হয়েছে। প্লটের ২৭টি প্রকল্পে ৫ হাজার ৪৮৩টি প্লট এবং ফ্ল্যাটের ২০টি প্রকল্পে ৫ হাজার ৬৯৬টি ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়েছে। এগুলো রাজধানীসহ ২১ জেলা শহর ও ৫টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। গত চার বছরে মধ্যে মাত্র পাঁচটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো মোহাম্মদপুরে দোলনচাঁপা ও কনকচাঁপা ফ্ল্যাট প্রকল্প (২০২১ সালের মার্চে শুরু), ময়মনসিংহ জেলা সদরে ফ্ল্যাট প্রকল্প (২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নেওয়া), রাজশাহীর পবায় গৃহায়ণ পদ্মা প্লট প্রকল্প (২০২২ সালের জানুয়ারিতে শুরু), বাগেরহাটে হজরত খান জাহান আলী প্লট প্রকল্প (জানুয়ারি ২০২২) এবং ময়মনসিংহের তারাকান্দায় প্লট প্রকল্প (২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নেওয়া)।
জাগৃকের চট্টগ্রাম ডিভিশনে প্রায় দুই বছর ধরে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল সরকার বলেন, ‘আমার জানামতে, ২০২০ সালের পর থেকে এ ডিভিশনে কোনো নতুন প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আসেনি। তবে কিছু প্রস্তাবিত প্রকল্প আছে।’
জাগৃকের সবচেয়ে বড় বিভাগ মিরপুরে তিন বছরের বেশি সময় ধরে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা বিভাগ-১) জোর্য়াদার তাবেদুন নবী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় তিনটি প্রকল্প রয়েছে। এগুলো এখনো পাস হয়নি। তবে এ বিভাগে যে বড় দুটি প্রকল্প রয়েছে—স্বপ্ননগর-১ এবং স্বপ্ননগর-২ ছয়-সাত বছর আগে অনুমোদন পেয়েছিল। গত তিন বছরে এ বিভাগে কোনো প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আসেনি।’
একাধিক কর্মকর্তা জানান, জাগৃকের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ইচ্ছা করলেই অনেক বড় প্রকল্পও বাস্তবায়ন করতে পারবে। ঢাকার তিনটি বিভাগসহ সব বিভাগে জনবল বাড়ানো হয়েছে। সেই হিসাবে প্রকল্প বাড়ানোর কথা থাকলেও তা দিন দিন কমছে। এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যে প্রভাবশালীদের বিশেষ আগ্রহে কিছু প্রকল্প পাস হচ্ছে। আর নিজেদের অধিগ্রহণ করা শত শত একর জমি পড়ে আছে। অনেক জমি দিন দিন বেহাতও হচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকার মিরপুরের বিভিন্ন সেকশনে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের জমি বেদখল হয়েছে ১০ হাজার ৮৮৯ বিঘা; সরকারি হিসাবে যার বাজারমূল্য ৫৪ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।
জানা যায়, এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর চাপে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জাগৃক একটি প্লট প্রকল্প হাতে নিলেও তার পরিবেশ ছাড়পত্র মেলেনি। মূলত সংরক্ষিত পাহাড় ও বন কেটে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ৪৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ওই প্রকল্পে ৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য। এই টাকা নিজেদের পকেটে নিতে প্রভাবশালী একটি মহল পাহাড় ও বনের জমির আমমোক্তারনামা নিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে মাস দুয়েক আগে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রকল্প বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পটি বাতিল হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে