আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
মনিরামপুরের তাহেরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রিপা খাতুন। তিনি গত বছর সরকারি খাসজমিতে একটি ঘর পেয়ে পরিবার নিয়ে সেখানে উঠেছেন। সরকারি ঘর পেলেও এ নারীর ভাগ্যে জোটেনি জমির মালিকানা। ঘরে ওঠার সময় নায়েবের কথামতো জমির দলিল খরচ হিসেবে ২ হাজার ২৯০ টাকা দিয়েছেন তিনি। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার এর বছর পার হয়েছে রিপা খাতুনের। আজও জমির মালিকানা স্বত্ব পাননি তিনি।
রিপা খাতুনের মতো তাহেরপুর পল্লিতে অজুবা বেগম ও রাবেয়া বেগমসহ বসবাস সাতটি ভূমিহীন পরিবারের। তাঁরা সবাই ২ হাজার ২৯০ টাকা করে দলিল খরচ দিয়েছেন, কিন্তু মালিকানা স্বত্ব মেলেনি এ পল্লির কারও।
রিপা খাতুন বলেন, ‘আমাদের কিছু নেই। তাহেরপুরে খাস জমিতে বহু বছর ধরে আছি। আগে নিজেদের ঝুপড়ি ঘরে থাকতাম। এক বছর আগে আমাদের ঘর ভেঙে দিয়ে সরকার পাকা ঘর করে দিয়েছে। নতুন ঘরে উঠেছি এক বছর। তখন পৌরসভার নায়েব জমির দলিল দেবে বলে ২ হাজার ২৯০ টাকা নিয়েছেন। গতবছর জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে শুনেছি। আমাদের কোনো কাগজপত্র দেননি। নায়েব অফিসে গেলে আজ না কাল করে ফিরিয়ে দিচ্ছে।’
পৌর এলাকার হাকোবা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীনদের সরকারি ঘর রয়েছে ১৬টি। এ পল্লির বাসিন্দারা ঘরে উঠেছেন ১১ মাস আগে। তাঁরাও জমির কোনো কাগজপত্র পাননি।
ওই পল্লির ৪ নম্বর ঘরের বাসিন্দা রুমা বেগম। তিনি বলেন, ‘শুধু ঘর দিয়েছে। আমাদের কাছ থেকে দলিল বাবদ কোনো খরচ নেননি। কোনো কাগজপত্রও দেয়নি। দলিল দেবে কি দেবে না কিচ্ছু জানি না।’
একই বক্তব্য হাকোবা আশ্রয়ণ পল্লির গৃহবধূ রুপালি ও নাজমা খাতুনের। তাঁরা বলেন, একবার সরকারি লোক এসে আমাদের ঘরে তুলে দিয়ে গেছে। এরপর থেকে জমির দলিলের ব্যাপারে আমাদের কোন দিন ডাকেনি।
গত বছর মনিরামপুরে বিভিন্ন এলাকায় খাস জমিতে ভূমিহীনদের জন্য সরকারি ২৯২টি ঘর নির্মিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসের তত্ত্বাবধানে দুই শতক জমির ওপরে নির্মিত প্রতিটি চারচালা ঘরে রয়েছে পাকা শৌচাগার, রান্না ঘর, বারান্দাসহ দুটি কক্ষ।
গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চে ঘরগুলো হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। ভূমিহীনদের নামে দুই শতক জমি নিবন্ধন করে ঘর হস্তান্তরের সময় জমির দলিল হস্তান্তর করার কথা থাকলেও পৌর এলাকার বাসিন্দাদের বেলায় তা কার্যকর হয়নি।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার তাহেরপুর ও হাকোবা এলাকায় নির্মিত ২৩টি ঘর মালিকের কেউ এখনো জমির মালিকানা স্বত্ব হাতে পাননি। তবে উপজেলা ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৌর এলাকায় মোট ৩৮টি সরকারি ঘর হয়েছে। তাঁদের কাউকে এখনো দলিল দেওয়া হয়নি। কাগজপত্র ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মনিরামপুর পৌরসভা ভূমি অফিসের সাবেক সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (বর্তমান কর্মস্থল যশোর সদর) হাদিউজ্জামান বলেন, ‘জমির নিবন্ধন, নামজারি ও নকল তোলা বাবদ তাহেরপুর আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২৯০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। জমি বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁদের কাগজপত্র ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘পৌর এলাকার সরকারি জমিগুলো অকৃষি খাস জমি। এগুলো জেলা প্রশাসক বরাদ্দ দিতে পারেন না। এ জন্য ভূমিহীনদের জন্য নির্ধারণ করা জমির কাগজপত্র (৩৮টি ফাইল) ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর তথ্য চেয়ে মন্ত্রণালয় প্রথমবার ফাইল ফেরত দিয়েছেন। আমরা আবার কাগজপত্র ঠিক করে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে বরাদ্দ পেলে ভূমিহীনদের জমির দলিলপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
মনিরামপুরের তাহেরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রিপা খাতুন। তিনি গত বছর সরকারি খাসজমিতে একটি ঘর পেয়ে পরিবার নিয়ে সেখানে উঠেছেন। সরকারি ঘর পেলেও এ নারীর ভাগ্যে জোটেনি জমির মালিকানা। ঘরে ওঠার সময় নায়েবের কথামতো জমির দলিল খরচ হিসেবে ২ হাজার ২৯০ টাকা দিয়েছেন তিনি। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার এর বছর পার হয়েছে রিপা খাতুনের। আজও জমির মালিকানা স্বত্ব পাননি তিনি।
রিপা খাতুনের মতো তাহেরপুর পল্লিতে অজুবা বেগম ও রাবেয়া বেগমসহ বসবাস সাতটি ভূমিহীন পরিবারের। তাঁরা সবাই ২ হাজার ২৯০ টাকা করে দলিল খরচ দিয়েছেন, কিন্তু মালিকানা স্বত্ব মেলেনি এ পল্লির কারও।
রিপা খাতুন বলেন, ‘আমাদের কিছু নেই। তাহেরপুরে খাস জমিতে বহু বছর ধরে আছি। আগে নিজেদের ঝুপড়ি ঘরে থাকতাম। এক বছর আগে আমাদের ঘর ভেঙে দিয়ে সরকার পাকা ঘর করে দিয়েছে। নতুন ঘরে উঠেছি এক বছর। তখন পৌরসভার নায়েব জমির দলিল দেবে বলে ২ হাজার ২৯০ টাকা নিয়েছেন। গতবছর জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে শুনেছি। আমাদের কোনো কাগজপত্র দেননি। নায়েব অফিসে গেলে আজ না কাল করে ফিরিয়ে দিচ্ছে।’
পৌর এলাকার হাকোবা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীনদের সরকারি ঘর রয়েছে ১৬টি। এ পল্লির বাসিন্দারা ঘরে উঠেছেন ১১ মাস আগে। তাঁরাও জমির কোনো কাগজপত্র পাননি।
ওই পল্লির ৪ নম্বর ঘরের বাসিন্দা রুমা বেগম। তিনি বলেন, ‘শুধু ঘর দিয়েছে। আমাদের কাছ থেকে দলিল বাবদ কোনো খরচ নেননি। কোনো কাগজপত্রও দেয়নি। দলিল দেবে কি দেবে না কিচ্ছু জানি না।’
একই বক্তব্য হাকোবা আশ্রয়ণ পল্লির গৃহবধূ রুপালি ও নাজমা খাতুনের। তাঁরা বলেন, একবার সরকারি লোক এসে আমাদের ঘরে তুলে দিয়ে গেছে। এরপর থেকে জমির দলিলের ব্যাপারে আমাদের কোন দিন ডাকেনি।
গত বছর মনিরামপুরে বিভিন্ন এলাকায় খাস জমিতে ভূমিহীনদের জন্য সরকারি ২৯২টি ঘর নির্মিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসের তত্ত্বাবধানে দুই শতক জমির ওপরে নির্মিত প্রতিটি চারচালা ঘরে রয়েছে পাকা শৌচাগার, রান্না ঘর, বারান্দাসহ দুটি কক্ষ।
গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চে ঘরগুলো হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। ভূমিহীনদের নামে দুই শতক জমি নিবন্ধন করে ঘর হস্তান্তরের সময় জমির দলিল হস্তান্তর করার কথা থাকলেও পৌর এলাকার বাসিন্দাদের বেলায় তা কার্যকর হয়নি।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার তাহেরপুর ও হাকোবা এলাকায় নির্মিত ২৩টি ঘর মালিকের কেউ এখনো জমির মালিকানা স্বত্ব হাতে পাননি। তবে উপজেলা ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৌর এলাকায় মোট ৩৮টি সরকারি ঘর হয়েছে। তাঁদের কাউকে এখনো দলিল দেওয়া হয়নি। কাগজপত্র ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মনিরামপুর পৌরসভা ভূমি অফিসের সাবেক সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (বর্তমান কর্মস্থল যশোর সদর) হাদিউজ্জামান বলেন, ‘জমির নিবন্ধন, নামজারি ও নকল তোলা বাবদ তাহেরপুর আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২৯০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। জমি বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁদের কাগজপত্র ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘পৌর এলাকার সরকারি জমিগুলো অকৃষি খাস জমি। এগুলো জেলা প্রশাসক বরাদ্দ দিতে পারেন না। এ জন্য ভূমিহীনদের জন্য নির্ধারণ করা জমির কাগজপত্র (৩৮টি ফাইল) ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর তথ্য চেয়ে মন্ত্রণালয় প্রথমবার ফাইল ফেরত দিয়েছেন। আমরা আবার কাগজপত্র ঠিক করে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে বরাদ্দ পেলে ভূমিহীনদের জমির দলিলপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে