ফের বাড়ছে ইটের দাম

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৬
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৬

অসময়ে বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সাতটি ইটভাটার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একদিকে কয়লার দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইটের দামও বেড়েছিল। অপরদিকে অসময়ে বৃষ্টিতে কাঁচা ও শুকনো ইট নষ্ট হওয়ায় ইটের দাম দ্বিতীয় দফায় বাড়বে বলে মনে করছেন ভাটা সংশ্লিষ্টরা। ফলে বিপাকে পড়বেন এলাকার বাসাবাড়ি নির্মাণ ও ঠিকাদারি কাজে সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে মাধাইনগর ও নওগাঁ ইউনিয়নে এমএমবি ব্রিকস, এসএমবি ব্রিকস, সততা ব্রিকস, সাদিয়া ব্রিকস, বন্যা ব্রিকস, নাবিলা ব্রিকস ও মায়িশা ব্রিকস—মোট সাতটি ইটভাটা আছে। আর এসব ভাটার উৎপাদিত ইট বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ সব ধরনের ঠিকাদারি কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে।

কয়লার দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ইট তৈরিতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ইটভাটার মালিকেরা ইতিমধ্যে প্রায় সব ধরনের নতুন ইটের দাম ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন এলাকার বাসাবাড়ি নির্মাণ ও ঠিকাদারি কাজে সংশ্লিষ্ট লোকজন।

কিন্তু তারপরও অসময়ে বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ওই সমস্ত ইটভাটার তৈরিকৃত কাঁচা ইট নষ্ট হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ভাটা মালিকেরা। ফলে ইটের দাম আরেক দফা বাড়া নিয়ে আশঙ্কায় আছেন বাসাবাড়ি নির্মাণ ও ঠিকাদারি কাজে সংশ্লিষ্ট লোকজন।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ওই সাতটি ইটভাটায় রোদে শুকাতে দেওয়া কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টিতে ভিজে ও ভেঙে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আবার কোনো কোনো ইটভাটায় নতুন বানানো কাঁচা ইট বৃষ্টির কারণে ভেঙে কাদায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া ইট পোড়ানোর আগে শুকানো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা অধিকাংশ ইট বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

সাদিয়া ইটভাটার মালিক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরে প্রতি হাজার ইটের দাম ছিল ৭ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার টাকা। কয়লার দাম, শ্রমিক মজুরি ও মাটির দাম বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে ইটের দাম প্রতি হাজার ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার টাকা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিতে ইটভাটার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ইটের দাম বেড়ে ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা হতে পারে।

মেসার্স এমএমবি ব্রিকসের মালিক মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে তাঁর ইটভাটায় নতুন তৈরি করা ইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এমন পরিস্থিতিতে এ বছর আর ভাটা চালু করা সম্ভব হবে কি না ভাবছেন। এমনিতেই চলতি মৌসুমে ইট পোড়ানোর কয়লার দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর আবার বৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়ায় ইটের দাম আবারও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

অপর দিকে মেসার্স এসএমবি ব্রিকসের মো. শাহ আলম বলেন, বৃষ্টিতে ইট ভাটার ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এ মৌসুমে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃষ্টিতে উপজেলার সাতটি ভাটারই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি ইটভাটায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বছর কয়লার দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, আর শ্রমিকের মজুরি ও মাটির দামও বেশি। তারপরও এত কিছুর মধ্যেও ইটভাটাগুলো সচল ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হওয়ায় এখন ভাটাগুলো চালু রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত